Posts

Showing posts from March, 2025

আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কী? আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মানদন্ড লিখ

আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কী?  আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মানদন্ড লিখ   অথবা, আচরণবাদ কী? আচরণবাদের বৈশিষ্ট্য সমাজবিজ্ঞানের যেসব শাখা রয়েছে তাদের মধ্যে প্রত্যকটির আলাদা সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তারা মানব জীবনের কোন একটি বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা করে। প্রতিটি বিষয়বস্তুর  সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকে কোনো বিষয়বস্তুকে বিশ্লেষণের জন্য। রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান যেসব দৃষ্টিভঙ্গি করেছেন তার মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রত্যয় হলো আচরণবাদ। আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি উদ্ভব হয় ১৯০৮ সালে। আচরণবাদ/আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিঃ   ১৯০৮ সালের দিকে ইংরেজ সমাজবিজ্ঞানী গ্রাহাম ওয়ালস এর Human nature is politics ও আমেরিকার সমাজবিজ্ঞানী আর্থার বেন্টলি এর The process of government: A study of social pressure নামে দুটি বই প্রকাশিত হয়। উক্ত গ্রন্ধদ্বয়ে দুজনেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আচারনিষ্ঠ আইনসর্বস্ব আলোচনা ধারার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেনএবং সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরেনও নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনীতিকে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ  ডেভিড ট্রুম্যান ( David Truman) বলেন-“রাজনৈতিক আচরণ বলতে বুঝায়...

বন্যা কি? বন্যার ফলাফল বা ক্ষতিসমূহ লিখ

বর্তমানে প্রাকৃতিক দূর্যোগ হিসেবে যে নামটি সবচেয়ে বেশি শোনা যায় তা হলো বন্যা।বন্যা প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছরই বন্যা সংঘঠিত হয়ে থাকে।তবে এর মাত্রা প্রতিবছর সমান হয় না কোন বছর বেশি বা কোন বছর কম হয়। বন্যার ফলে ঘরবাড়ি নষ্ট সহ পশু-পাখি, প্রাণীর ও জীবন বিপন্ন হয়। বন্যাঃ বন্যা হলো এমন একটি জিনিস যেটির অর্থ এটায় যে খাল বিল নদী নালার পানি যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে জনপদে ঢুকে পড়ে। অর্থাৎ নদী-নালার পানি যখন স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেশি থাকে তখন তাকে বন্যা বলে। বন্যা হলো একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন্যা হল পানির অত্যধিক প্রবাহ যা সাধারণত শুষ্ক জমিকে নিমজ্জিত করে। অর্থাৎ বন্যা হলো এমন  একটি পানি প্রবাহ যা স্বাভাবিক অবস্থায় প্লাবনমুক্ত ভূমিকে প্লাবিত করে। "প্রবাহিত পানি" অর্থে শব্দটি জোয়ারের প্রবাহের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যেতে পারে।  বন্যার ফলাফলঃ নিম্নে বন্যার ফলাফল আলোচনা করা হলো- ১। বন্যার ফলে বিভিন্ন জীব বৈচিত্র নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন প্রাণীর আবাসন সমস্যা দেখা দেই। ২। বন্যার ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়। ৩। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়  ৪। বন্যা...

অপরাধ কী? অপরাধের কারণসমূহ লেখ

অপরাধ কি? অপরাধের কারণসমূহ আলোচনা কর। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে অনেক সহজতর। এর সাথে সাথে আমাদেরকেও দিয়েছে নানা ধরনের জটিল সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো অপরাধ প্রবণতা। মানুষের অবাঞ্ছিত আচরণই অপরাধ। বাংলাদেশের বড় বড় শহরগুলিতে অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যা নগরের জনগণকে অতিষ্ঠ করছে। অপরাধঃ অপরাধ হলো এমন এক ধরনের সমাজবিরোধী আচরণ বা কাজ যা জনসাধারণের স্বাভাবিক অনুভূতির বিরুদ্ধে কাজ করে ও দেশের আইনে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়ে থাকে। সমাজবিজ্ঞানী স্টেফেন এর মতে ''অপরাধ হলো সেই সকল কাজ যা করা বা না করর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।'' অধ্যাপক এফ আর খানের মতে ''যেসব আচরণ সমাজ ও নৈতিকতা বিরোধী তাকে অপরাধ বলে।'' স্টিফেন বলেছেন অপরাধ হলো সেই সব কাজ বা আচরণ না করা যার জন্য আইনে শাস্তিন বিধান রয়েছে।'' Readcliffe Brown  এর মতে ''যে প্রচলিত রীতিনীতি ভঙ্গ করলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে তাই অপরাধ।'' পরিশেষে বলা যায় যে সকল কাজ সমাজের চোখে অন্যায় এবং আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য সে সকল কাজই অপরাধ। অপরাধের কারণসমূহঃ অপরাধের পেছনে ব...

কিশোর অপরাধ কি? কিশোর অপরাধের প্রকৃতি আলোচনা কর।

কিশোর অপরাধ কি? কিশোর অপরাধের প্রকৃতি আলোচনা কর। কিশোর অপরাধের প্রবণতা সাম্প্রতিককালে একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। উন্নত দেশগুলিতে এ সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিল্পায়ন ও শহরায়নের সাথে সাথে কিশোর অপরাধ প্রবণতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর অপরাধঃ অপরিণত বয়স্ক ছেলেমেয়েদের অবাঞ্জিত কার্যকালাপই হলো কিশোর অপরাধ। অর্থাৎ অপরিণত বয়স্ক ছেলেমেয়েদের দ্বারা সংঘটিত দেশের আইন ও সমাজবিরোধী এবং সমাজের রীতিনীতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থি কার্যকলাপই কিশোর অপরাধ। সমাজবিজ্ঞানী বিসলার এর মতে ''কিশোর অপরাধ হচ্ছে প্রচরিত সামাজিক নিয়মকানুনের উপর অল্প বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের অবৈধ হস্তক্ষেপ।'' বার্টের মতে-''কোনো ছেলে মেয়েকে তখনই অপরাধী মনে করতে হবে যখন তার অসামাজিক কাজের জন্য আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োজন পড়ে।'' কিশোর অপরাধ সংক্রান্ত এ. ভি. জন এর মতে-''কিশোর অপরাধী হচ্ছে নির্দিষ্ট বয়ঃসীমার মধ্যে দেমের প্রচলিত আইন ভঙ্গকারী ও সামাজিক নিয়ম লঙ্ঘনকারী  যাকে চারিত্রিক সংশোধনের জন্য কোন বিশেষ কর্তৃপক্ষ বা বিচারের সম্মুখে হাজির করা হয়।'' কিশোর অপরাধের প্রকৃতিঃ অপরাধ ও কিশ...

মাদকাসক্তি কি? মাদকাসক্তির বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।

প্রশ্নঃ মাদকাসক্তি কী? মাদকাসক্তি পৃথিবীর জন্য ভয়ংকর সামাজিক সমস্যা। এর প্রভাবে ব্যক্তি থেকে শুরু করে দেশ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।মাদকদ্রব্য বন্ধ করতে না পারলে একসময়ে সমাজব্যবস্তা অচল হয়ে পড়বে।বিশ্ব আজ মাদকাসক্তির ক্রমবিস্তারে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য জাতিসংঘ ১৬ই জুন কে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মাদকাসক্তিঃ মাদকাসক্তির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো  Drug Addiction। Drug বলতে বুঝায় কোন রাসায়নিক দ্রব্যকে আর Addiction বলতে আসক্তিকে। সুতরাং বলা যায় জীবদেহে রাসায়নিক দ্রব্য গ্রহণে আসক্ত হ্যওয়াকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্তি এক প্রকার আত্মবিনাশকারী নেশা।এর প্রভাবে ব্যক্তির আচার-আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেই।প্রথম দিকে সেবনকারী দেহ ও মনের বিরুপ প্রতিক্রয়া দেখা দেই। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিশ্ব সংস্থার মতে, ''মাদকাসক্তি হলো মানসিক বা শারীরিক প্রতিক্রয়া, যা জীবিত প্রাণী ও মাদকের মিথস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়। এ প্রক্রিয়ার উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো হলো মাদকদ্রব্যটি কমবেশি নিয়মিত গ্রহণের দুর্দমনীয় ইচ্ছা, মাদকদ্রব্য সৃষ্টির ফল বা প্রতিক্রিয়া পাওয়...

সম্পত্তি কী? সম্পত্তি বলতে কি বুঝ?

সম্পত্তি কী? বেচে থাকা মানুষের চিরন্তর প্রত্যাশা। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে।আদিমকালে মানুষ যখন বনে জঙ্গলে, গুহায় বসবাস করতো তখন থেকেই  প্রকৃতির বিরুদ্ধে তোদের আমরণ সংগ্রাম করতে হয়েছে। জীবনধারনের জন্য সম্পত্তির গুরুত্ব অপরিসীম। কোন কিছুর উপর ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিরুঙ্কুশ মালিকানা বা অধিকারকে সম্পত্তি বলে। সম্পত্তিঃ  সাধারণ অর্থে সম্পত্তি হলো কোন বস্তু সম্পদের ওপর ব্যক্তির সমাজস্বীকৃত চূড়ান্ত মালিকানা। অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও উপযোগসম্বলিত মালিকানাধীন কোন বস্তুকে সম্পত্তি বলা যেতে পারে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ  বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবীদ বিভিন্নভাবে সম্পত্তিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তা নিম্নরুপ- কিংসলে ডেভিস (K. Davis)  তার গ্রন্থে বলেন-“সম্পত্তি সীমাবদ্ধ কোন কিছুতে মানুষের অধিকার এবং আইনগত বৈধতা ব্যতীত আর কিছুই নয়।” জন লক  এর মতে-“মানুষ নিজ দেহের শ্রম ও কাজের দ্বারা যে প্রয়োজনীয় বস্তু সংগ্রহ করে তাই ব্যক্তির সম্পত্তি।” এল. টি. হবহাউস (L. T. Hobhouse)  এর মতে-“সম্পত্তি এমন একটি প্রত্যয়কে ধারণ করে, যা বস্তুর উপর ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ। এ নিয়ন...

একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্য

একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্য 👉👍মানুষ সমাজে বসবাস করে তার নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্য। আর প্রতিতটি সমাজে একজন করে সুদক্ষ নেতার প্রয়োজন পড়ে। নেতা ছাড়া কোন সংগঠ বা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। সমাজ ও সংগঠনের অগ্রগতির একটি বিশেষ অঙ্গ হলো নেতৃত্ব। কারণ যোগ্য নেতৃত্ব সমাজ পরিবর্তনে  বিশেষ ভূমিকা রাখে।  সমাজ তথা একটি আদর্শ রাষ্ট্রে সব ধরনের কর্ম সম্পাদনের জন্য একজন আদর্শ নেতার কোন বিকল্প নেই। কারণ প্রতিটি দেশই কোন না কোন একজন আদর্শ নেতার নির্দেশে পরিচালিত হয়। মানব সমাজের পরিবর্তন শুধু নেতার কারণেই হয়। কারণ নেতা যদি ভালো হয় তবে গোটা সমাজ ও দেশের উন্নয়ন হয় আর নেতা যদি না ভালো হয় তবে সে সমাজ বা দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙাখলা দেখা দেয় যাতে করে জনজীবন হয়ে উঠে দূর্বিসহ। মানুষ সবসময় চায় একজন ভালো আদর্শ নেতার সংস্পর্শে থাকতে। কারণ একজন আদর্শ নেতার কাজ হলো জনগণের ভালো পরামর্শ প্রদান করা  এবং তাদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করা। তবে এ আদর্শ নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার মধ্যে কিছু গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্যঃ একজন আদর্শ নেতার বেশ কিছু গুণাবলি থাকে। এ...

রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

প্রশ্নঃ রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। অথবা, রাজনৈতিক সমাবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা কর। 👉👍ভূমিকাঃ  রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান হলো মূলত একটি মিশ্র প্রকৃতির বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সমন্বয়ে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান লাভ করে। এই দুই বিজ্ঞানের মধ্যে চলমান সংযোগ সম্পর্কের ফলে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব হয়েছে। বিশ শতাব্দির পূর্ব থেকেই মানুষের জ্ঞান চর্চার অগ্রগতির ফলে সমাজবিজ্ঞানের শাখা সমূহ পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই শাখাগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়। আর এই শাখাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের আবির্ভাব মূলত আধুনিককালে। যদিও এর আবির্ভাব আধুনিককালে তারপরও এর বিকাশ এখনও  বর্তমান। বর্তমানে বিশ্বের গতিশীল রাজনীতিতে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের নতুন নতুন ধারা সংযোজিত হচ্ছে যার ফলে মানুষের নিকট রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তাঃ  বর্তমান বিশ্বের গতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যতম শাখা হিসেবে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসী...

রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

প্রশ্নঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। ভূমিকাঃ রাষ্ট্র, সমাজ ও সামাজিক কার্যাবলি নিযয়ে যে বিজ্ঞান আলোচনা করে তা রাষ্ট্রবিজ্ঞান। মানব সমাজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে মানুষ সহজে রাষ্ট্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আধুনিক যুগে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব অনেক। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তাঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি সুবিন্যাস্ত ও ক্রিয়াশীল সামাজিক বিজ্ঞান।নিম্নে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- ১। সুনাগরিকতার জ্ঞান অর্জনঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো একটি নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান।রাষ্ট্রবিজ্ঞান নাগরিকের সামগ্রিক দিক সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। রাষ্ট্রনীতি বিষয়ক জ্ঞান ছাড়া নাগরিক জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশ অসম্ভব। ফলে সুনাগরিকতার জ্ঞান অর্জন সহজ হয়। যার কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ২। সচেতনতা বৃদ্ধিঃ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনার মাধ্যমে মানুষ রাষ্ট্রীয় জীবনের অনেক কিছু জানতে পারে। জন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইন ...

সমাজতন্ত্র কী? সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর

সমাজতন্ত্র কী অথবা, সমাজতন্ত্র বলতে কি বুঝায়। ভূমিকাঃ সমাজতন্ত্র সমাজব্যবস্থা অনেকটা সাম্যবাদী নীতির অনুরুপ সমাজতন্ত্রনীতি হলো গণতন্ত্রে স্বপদে নীতি। সমাজতন্ত্রঃ সমাজতন্ত্র হচ্ছে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের যন্ত্র উপাদান সম্পদ সবকিছু রাষ্ট্রে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে সম্পদ সবার মধ্যে সমানভাবে বন্টন করে দিবে। সম্পদের কোন ব্যক্তি মালিকানা থাকবে না। থাকবে না কোন শ্রেণি বৈষম্য। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ সমাজতন্ত্র বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন নিম্নে কয়েকজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর দেওয়া সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো- লেলিন এর মতে-“সমাজতান্ত্রিক সমাজ বলতে বোঝায় সেই সমাজ যেখানে পুজিপতিদেরসাহায্য ছাড়াই কার‌্য নির্বাহ হয়।  শ্রমজীবিদের সবচেয়ে অগ্রগামী অংশ যেখানে সর্বস্ব কিছুর হিসাব রাখে, নিয়ন্ত্রণ রাখে ও তদারক করে।” এঞ্জেলস বলেছেন যে, সমাজতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে যে প্রয়োজনের রাজ্য থেকে স্বাধীনতার রাজ্যে মানুষের উত্তরণ।” সমাজতন্ত্র হলো এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণগুলো সমাজের হাতে অর্পিত থাকে। সমাজতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর। সমাজতন...

বাংলাদেশে নারী শিক্ষার গুরুত্ব আলোচনা কর।

বাংলাদেশে নারী শিক্ষার গুরুত্ব আলোচনা কর। নারী শিক্ষা ব্যতীত সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বেগম রোকেয়া নারীকে একটি গাড়ির চাকার সাথে তুলনা করেছেন। একটি গাড়ি একটি চাকা চাড়া যেমন সঠিক গন্ত্যবে পৌছাতে পারে না তেমনি একটি জাতি নারী শিক্ষা ছাড়া উন্নতি করতে পারে না। তাই তো নেপোলিয়ান বলেছেন- আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও; আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দিব। বাংলাদেশে নারী শিক্ষার গুরুত্বঃ সামগ্রিক  জাতির   কল্যাণের জন্য নারী শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। নিম্নে নারী শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণণা করা হলো। ১। শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর প্রভাবঃ একজন সুশিক্ষিত মা তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে নিজ আদর্শে গড়ে তুলতে পারেন। কারণ ছেলে মেয়েদের উপর মায়ের প্রভাবই বেশি পড়ে। ছোটবেলা থেকেই সন্তান মায়ের কাছ থেকে তারা আচার আচরণ, আদব-কায়দা ইত্যাদি শিখে থাকে। শিক্ষা বিস্তারে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ২। স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রেঃ স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকালে নারীরা সবকিছুর জন্য তাদের স্বামীর উপর নির্ভরশীল ছিল। তারা ছিল অবহেলিত ও নির্যাতিত। গৃহের মধ্যই তাদের কার্যাদি সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু আজ ...

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কী

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কী? প্রকৃতি সম্পর্কে জানার কৌতুহল মানুষের যেমন সেই আদিকাল থেকেই তেমনি মানব সমাজ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ও অতি পুরাতন। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীরা প্রকৃতি সম্পর্কে জানার  জন্য কতিপয় পদ্ধতি ও কলা কৌশল উদ্ভাবন করেন। এসব পদ্ধতিকে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ নামে অভিহিত করা হয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এর এসব পরীক্ষণ নিরীক্ষণের পদ্ধতি ক্রমশ সামাজিক বিজ্ঞানেও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর সাথে সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর অনেক বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান বিধায় সামাজিক বিজ্ঞানীরা তাদের নিজস্ব কৌশলাদি আবিষ্কার করেন। সামাজিক বিজ্ঞানীরা তাদের সমস্যার রুপ, ধরন, ব্যাপকতা ইত্যাদি বিবেচনা করে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এসব আবিষ্কৃত পদ্ধতিসমূহ কখনো সামাজিক ক্রিয়াকলাপের বৈশিষ্ট্য অনুধাবনের জন্য কখনও সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য কখনও সামাজিক পরিবর্তনের রুপ ও ধরণ প্রত্যক্ষ করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। মূলত এভাবেই সামাজিক বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিঃ সাধারণভাবে বলা যায় বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধানসিদ্ধ উপায়ই হলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। অন্যভাবে বলা যায় বিজ্ঞানীগণ যে ...

গ্রামীণ সমাজ কাকে বলে?

প্রশ্নঃ গ্রামীণ সমাজ কাকে বলে? অথবা, গ্রামীণ সমাজ বলতে কি বুঝ? ভূমিকাঃ ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ আর এ কৃষি প্রধান দেশের ঐতিহ্যগত জনপদ গ্রামীণ জনপদ। এখানকার মোট জনসমষ্টির প্রায় ৮০ ভাগ মানুষই গ্রামে বসবাস করে। দেমের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬১.৩% সরাসসসরি কৃষির উপর নির্ভরশীল।মোট দেশজ উৎপাদনের ৪৫ ভাগ আসে কৃষি খাত হতে। এটি বাংলাদেশের সমাজকাঠামোর ঐতিহ্যগত পরিচয়। গ্রামীণ সমাজঃ সাধারণ অর্থে গ্রামীণ সমাজ বলতে এমন এক জনপদকে বোঝায় যেখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশ কৃষক এবং কৃষি কাজকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন জীবিকা আবর্তিত হয়। গ্রামীণ আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, লাঙল-জোয়ালসহ কৃষকের মাঠে গঠন, ফসলের মাঠ, সন্ধ্যায় তিমির অন্ধকার,  ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক  নিরব নিস্তবতা ইত্যাদি হচ্ছে গ্রামীণ সমাজের দৈনন্দিন চিত্র। নিভৃত পল্লী কিংবা গ্রাম সমাজের আর্থসামাজিক চিত্রে যে সামাজিক ব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় তাই গ্রামীণ সমাজ। গ্রামীণ সমাজের সামগ্রিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে গ্রামীণ সমাজের পরিবার কাঠামো যৌথ পরিবার কেন্দ্রিক। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ পরিবার কাঠামোতেও পরিবর্তন এসেছে। বর্ধিত এক পরিবার ...

সামাজিক গতিশীলতা কী? বাংলাদেশের সামাজিক গতিশীলতার প্রকৃতি ও স্বরুপ আলোচনা কর।

সামাজিক গতিশীলতা কী? মানুষ সামাজিক জীব সমাজে বসবাস করা হলো মানুষের ধর্ম। কারন মানুষ সবসময় সমাজে বসবাস করতে চায় নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্য। আর সমাজ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। কারন, সমাজের সকল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মানুষ সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। যা প্রাচীন কাল থেকে এক চিরন্তর গতিতে চলে আসছে। সমাজ হলো মানুষের অশ্রয়ের প্রধান জায়গা যেখানে মানুষ তার ইচ্ছামত বা খুশিমতো কাজ সম্পাদন করতে পারে কিছু সামাজিক নিয়মনীতি বজায় রেখে। তাই সমাজের সকল নাগরিকের মাঝে পরিবর্তনের একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়। সামাজিক গতিশীলতাঃ সামাজিক গতিশীলতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Social Mobility আর Social Mobility means movemnet of status.সামাজিক গতিশীলতার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি মানুষ তার সক্ষমতা অনুসারে Status পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। আমাদের দেশে গ্রাম থেকে শহরে সকল জায়গায় মানুষ সামাজিক গতিশীলতার জন্য কাজ করছে। যা সামাজিক পরিবর্তনকে আরো গতিশীল করতে সাহায্য করছে। মূলত সামাজিক গতিশীলতা হলো মানুষের মর্যাদা পরিবর্তনের একটি পদ্ধতি যা সাজের সকল মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। সামাজিক গতিশীলতা হলো ব্যক্তির স্বার্থে, স...

সংস্কৃতি কি? জ্ঞাতি সম্পর্ক কী? what is culture and kingship?

প্রশ্নঃ সংস্কৃতি কি? (What is culture?) সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের সামাজিক পরিচিতি। যেকোন সমাজে বিদ্যমান সামগ্রিক আচার-আচরণ, শিক্ষাদীক্ষা, রীতিনীতি, বিচার বুদ্ধি, আস্থা, বিশ্বাস, শিল্পকলা ইত্যাদি সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত রুপই হলো সংস্কৃতি। সামাজিক জীবনবোধ হতে সৃষ্ট প্রত্যয়টি হলো সংস্কৃতি। সংস্কৃতিঃ সংস্কৃতি শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Culture। Culture শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Colere থেকে যার অর্থ হলো কর্ষণ করা। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, সংস্কৃতি হলো কর্ষণের দ্বারা প্রাপ্ত বিষয়।অর্থাৎ বুৎপত্তিগত দৃষ্টিকোণ হতে  সংস্কৃতি হলো সংস্কারের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিষয়। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ সংস্কৃতি বিষয়ে যেসকল মনীষী মতামত প্রদান করেছেন তা নিম্নরুপ দেওয়া হল- নৃবিজ্ঞানী টেইলর এর মতে- ''সংস্কৃতি হলো এমন এক জটিল সত্তা যার ভেতরে রয়েছে জ্ঞান, আস্থা, বিশ্বাস, শিল্পকলা, নীতিবোধ আইন, প্রথা পদ্ধতি এবং সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের অর্জিত অন্য সকল দক্ষতা ও অভ্যাস।'' According to Mathew Arnold, ''Culture, Which is the study of perfection, leads us to conceive true human perfection, as a harmonious per...

ব্যবস্থা তত্ত্ব কি?

প্রশ্নঃ ব্যবস্থা তত্ত্ব কি? ভূমিকাঃ সমাজ রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিংশ শতাব্দিতে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা চেতনার উদ্ভব ঘটে। সামাজিক পেক্ষাপটকে বিশ্লেষণ করেই এসব তত্ত্বের উদ্ভাবনকে গ্রহণ করা হয়।ব্যবস্থা তত্ত্ব এমন একটি তত্ত্ব যা সমসাময়িক সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষণে সক্ষম একটি তাত্ত্বিক দৃষ্টভঙ্গি। যদিও অনেক আগে ব্যবস্থা তত্ত্বের উদ্ভব হয় তথাপি এর বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় বিংশ  শতকে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময়। ২য় বিশ্ব যুদ্ধ পরবর্তীসময়ে সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষণে এ তত্ত্ব ছিলো বিশেষভাবে উপযোগী একটি তত্ত্ব। বর্তমান সময়েও রাজনীতির বিশ্লেষণে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ডেভিড ইস্টান ১৯৫৩ সালে The political system  গ্রন্থে এ তত্ত্বটি প্রয়োগ করে। সামগ্রিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণকে সামনে রেখে এ তত্ত্বের উদ্ভব ঘটানো হয়। তাই সমাজ ও রাজনীতি ব্যাখা বিশ্লেষণে এই ব্যবস্থা তত্ত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্যবস্থা তত্ত্ব (System Theory): সাধানণত কোনো একটি বিষয়কে সামাজিকভাবে পর্যালোচনা করার জন্য যে তত্ত্ব ব্যবহৃত হয় তাকেই ব্যবস্থা তত্ত্ব বলে। এটি একটি সমন্বিত তত্ত্ব। এ তত্ত্বে অনেকগুলো একক...

সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব কী? পারসন্স এর প্যাটার্ন ভেরিয়েবল কী?

প্রশ্নঃ সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব? সমাজবিজ্ঞানে যে সকল প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। এ তত্ত্বের মাধ্যমেই মানুষ সমগ্র সমাজ সম্পর্কে এবং সমাজস্থ বিভিন্ন মানুষ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পর্কে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের সম্পরক নিয়ে আলোচনা করা হয়।এচাড়া ব্যক্তি ও সমাজজীবনের প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখ্যা একমাত্র সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বেই পাওয়া সম্ভব। সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বঃ অধ্যাপক জে. জে ম্যাকিউনিস বলেন ''সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব হলো এমন এক বিকৃতি যার সাথে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় (যেমন- কখন ও কিভাবে) সম্পর্কিত।'' রবার্ট কে মার্টনের মতে ''সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্ব হচ্ছে এমন কতকগুলো অভিজ্ঞতা দ্বারা লব্ধ প্রস্তাবনার সমষ্টি যারা যুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।'' কনসাইজ অক্সফোর্ড ডিকশোনারিতে বলা হয় ''সমাজতান্ত্রিক তত্ত্ব হচ্ছে প্রত্যাহিক উদ্দেশ্যর একটি নির্দেশক অনুমান বা কল্পনা ব্যাখ্যাকারী কোনোকিছু যা ঘটনার নিরপেক্ষতার মূল সূত্র সমূহের উপর প্রতিষ্ঠিত। উপসংহারঃ পরিশেষে বলা...

শ্রেণি ও জাতিবর্ণের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

Image
প্রশ্নঃ শ্রেণি ও জাতিবর্ণের মধ্যে পার্থক্য সামাজিক জীব হিসেবে  মানুষ সমাজে বসবাস করে। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি ও সমাজের লোক বসবাস করে। জাতিবর্ণ প্রথা এমন একটি স্তরবিন্যাস যা কোনো সমাজকে বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত করে। শ্রেণি ও জাতিবর্ণের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। পুঁজিবাদি সমাজে সমাজ দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত যথা- পুঁজিপতি শ্রেণি ও শ্রমিক শ্রেণি। জাতিবর্ণ ও শ্রেণির মধ্যে পার্থক্যঃ নিম্নে জাতিবর্ণ ও শ্রেণির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হল। ১। উন্মুক্ত ও বহু ব্যবস্থাঃ জাতিবর্ণ হলো একটি বড় ব্যবস্থা অন্যদিকে শ্রেণি হলো উন্মুক্ত ব্যবস্থা । কোন বিশেষ জাতিবর্ণের সদস্য অন্য কোনো জাতিবর্ণের সদস্যপদ অর্জন করতে পারে না। তার জম্ম ও মৃত্যু একই জাত বর্নের মধ্য সীমিত। অন্যদিকে কোন বিশেষ শ্রেণীর সদস্য স্বীয় প্রচেষ্টা বা অন্য কোন উপায়ে  অন্যান্য উঁচু বা নিচু শ্রেণীতে মিল হতে পারে। ২। বিবাহভিত্তিক গোষ্ঠীঃ জাতিবর্ণ হলো একটি অন্তঃগোত্র বিবাহভিত্তিক গোষ্ঠী। অন্যদিকে শ্রেণি হলো কোন বিবাহভিত্তিক  গোষ্ঠী নয়। জাতিবর্ণের কোন সদস্যকে নিজ জাতিতেই বিবাহ করতে হয়। অন্যদিকে এক শ্রেণির সদস্য অন্য জাতিতে বিবাহ করতে পা...

অপরাধ ও বিচ্যুতির মধ্যে পার্থক্য গুলি লেখ

প্রশ্নঃ অপরাধ ও বিচ্যুতির মধ্যে পার্থক্য কি কি? ভূমিকাঃ অপরাধ হলো আইন বিরোধী কাজ। যখন ব্যক্তি সমাজ স্বীকৃত পন্থায় আচরণ না করে সমাজের অস্বীকৃত পন্থায় আচরণ করে সমাজিক সংহতি ও মানুষের স্বাভাবিক যীবনযাত্রা বিঘ্নিত করে তখন এ ধরনের আচরণকে বিচ্যুত আচরণ বলে। অপরাধ ও বিচ্যুতির মধ্যে পার্থক্যঃ নিম্নে অপরাধ ও বিচ্যুতির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো- ১। সংজ্ঞাঃ আইন লঙ্ঘন করাই অপরাধ। সমাজ ও আইন কর্তৃক অস্বীকৃতি ও অস্বাভাবিক আচরণ হিসেবে চিহ্নিত। সমাজে এমন অনেক কাজ লক্ষ্য করা যায় যা আইনে নিষিদ্ধ না হলেও সামাজিক স্বাভাবিক ও কাঙ্খিত আচরণের পরিপন্থি তাকেই বিচ্যুতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২। আওতাঃ আইন বিরোধী বা আইন ভঙ্গমূলক কাজ অপরাধের আওতায় পড়ে। সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি কাজ যা আচরণ বিচ্যুতির পর্যায়ে পড়ে। ৩। সামাজিক পরিবর্তনঃ সামাজিক পরিবর্তনে প্রক্রিয়ায় সামাজিক বিচ্যুতিমূলক আচরণের কোনো দিক কখনো বা অপরাধমূলক আচরণে পরিণত হতে পারে। যাই সামাজিক পরিবর্তন ঘটুক না কেন অপরাধ সবসময় বিচ্যুতি আচরণের মধ্যে পড়ে। ৪। আচরণঃ সব অপরাধই সামাজিক বিচ্যুতির আচরণ। কিন্তু সব সামাজিক বিচ্যুতির আচরণ অপরাধ নয়। ৫। ধরণঃ...

নগর উন্নয়নের মৌল নীতিমালাসমূহ উল্লেখ কর

প্রশ্নঃ নগর উন্নয়নের মৌল নীতিমালাসমূহ উল্লেখ কর। নগর উন্নয়ন বলতে নগরের ক্রমাগত উন্নয়ন বা বিকাশকে বুঝায়। কোনো নির্দিষ্ট নগরের অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন, সমাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ণ, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বসিত স্থাপনার উন্নয়ন, নাগরিক সচেতনতার উন্নয়ন প্রভীতি যে কোন ধরনের উন্নয়ণ নগরের সাথে যুক্ত হলে তখন তাকে নগরের  উন্নয়ণ হিসেবে ধরা হয়। নগর উন্নয়নের মৌল নীতিমালাঃ নিম্নে নগর উন্নয়ণের কতিপয় নীতিমালা আলোচনা করা হলো- ১। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নঃ নগর উন্নয়ন করতে হলে ঐ এলাকার লোকজনের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হবে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য যে সব বিষয় প্রয়োজন সেগুলি স্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২। অর্থনৈতিক উন্নয়নঃ নগর উন্নয়ন করতে হলে অর্থনৈতিক অবসাঠামোগত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। কেননা আর্থিক অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নয়ন হলে নগরের উন্নয়ন সাধিত হবে। ৩। পৌর ব্যবস্থাপনাঃ পৌর ব্যবস্থাপনা পরিকল্পিতভাবে স্থাপন না করলে নগরের  উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। এজন্য পৌর ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য উপাদানগুলোর যথাযথ উন্নয়ন সাধন ...

বাংলাদেশে নদী ভাঙনের ফলাফল আলোচনা কর

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে নদী ভাঙনের ফলাফল আলোচনা কর। বাংলাদেশে নদী ভাঙন একটি চলমান প্রক্রিয়া।প্রায় প্রতি বছর এদেশের ৫% লোক নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। কারণ নদী ভাঙনের ফলে মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। নদী ভাঙনের ফলে মানুষের জীবন-যাত্রার মান অত্যন্ত নিম্নমানের হয়ে যায়। বাংলাদেশে নদী ভাঙনের প্রভাবসমূহঃ বাংলাদেশে নদী ভাঙনের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে কয়েকটি প্রভাব আলোচনা করা হলো। ১। দারিদ্র্য বৃদ্ধিঃ বর্তমানে নদী ভাঙনের ফলে নদী এলাকার লোকজনের দারিদ্র্যতার হার বৃদ্ধি পায়।  কারণ দারিদ্র্যের শর্তই হলো সম্পদ ধ্বংস। আর নদী ভাঙনের ফলে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে তারা সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ফলে তারা হতদরিদ্র হয়ে পড়ে। ২। উদ্বাস্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধিঃ বর্তমানে বাংলাদেশের উদ্বাস্তুর প্রধান কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি।নদী ভাঙনের ফলে মানুষ অনেক সময় শহরে স্থানান্তরিত হয়। এতে শহরে উদ্বাস্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সমাজজীবনের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। ৩। উৎপাদন হ্রাসঃ নদী ভাঙনের ফলে উৎপাদন হ্রাস পায়।কারণ নদী ভাঙনের ফলে ফসলের জমিসহ সকল ধরনের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তাই উৎপাদন কমে যায় । ৪। দ্রব্যমূল্য বৃদ...

দূর্যোগ কী? বাংলাদেশে দূর্যোগ সৃষ্টির পাঁচটি কারণ উল্লেখ কর।

দুর্যোগ কী? মানুষ তাঁর পারিপাশ্বিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রহ-গ্রহ্যান্তরে পাড়ি জমানোর চেষ্টায় বিভোর। কখনো কখনও মানুষ তার চলার পথে সম্মুখীন হয়েছে বাধা বিপত্তির। এসব বাধব-বিপত্তি মানুষকে করে ছন্দহীন, অসহায় এ সম্বলহীন। আর মানুষের জীবনেরুপ পরিস্থিতর উদ্ভব হওয়াকে বলা হয় দুর্যোগ। দুর্যোগঃ দুর্যোগে ইংরেজি প্রতিশব্দ Disastre. যা ফরাসি শব্দ Disaster থেকে এসেছে। আবার অনেকে মনে করেন শব্দটি ইতালিয়ান শব্দ Disastro থেকে বা গ্রিক শব্দ Dis ও aster  শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। Dis শব্দের অর্থ খারাপ বা মন্দ এবং aster শব্দের অর্থ তারা। গ্রিকরা মনে করতে আকাশের কোন তাঁর খারাপ অবস্থানে খারাপ ঘটনা ঘটবে। শব্দের বুৎপত্তিগতভাবে দুর্যোগ বলতে বোঝায় এমন অবস্থাকে যা মানুষকে মন্দ বা অকল্যাণকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করে। সাধারণভাবে দুর্যোগ বলতে বুঝায় মানুষের জীবন, সমাজ ও পরিবেশে সৃষ্ট অস্বাভাবিক অবস্থাকে যা মানুষের ক্ষতি সাধন করে। বিশেষভাবে বলা যায় যে দুর্যোগ হলো মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন প্রণালিকে ব্যাহত সৃষ্টিকারী অনাকাঙ্খিত চরম দূর্বিসহ পরিস্থিতি যার মোকাবেলা করা খুবই কষ্টকর বিষয়। According to Oxford A...

উদারতাবাদ কী? উদারতাবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ

Image
উদারতাবাদ কী? উদারতাবাদের প্রজ্ঞাবাদীর আন্দোলনও বলা যেতে পারে। নৈরাজ্যবাদী সামন্তাবাদের বিরুদ্ধে প্রজ্ঞাবাদীরা বা প্রজ্ঞাগোষ্ঠীরা যে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করে তাকে উদারতাবাদ বলে। উদারতাবাদঃ উদারতাবাদ বলতে বোঝায় এমন এক মতবাদ যে মতবাদে ব্যক্তির সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও কল্যানকে মহা মূল্যবান মনে করা হয়। ব্যক্তিগত মালিকানা ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বিকাশের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ইংরেজি liberty বা Liberality থেকে Liberism শব্দটি এসেছে। যার অর্থ হলো উদারতাবাদ। উদারতাবাদ মূলত সামন্তপ্রথার বিরুদ্ধে ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অনুকুলে কাজ করে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ উদারতাবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মতবাদ ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো জর্জ চেরি এর মতে-“উদারতাবাদে ব্যক্তি তার বুদ্ধি স্বাধীনতা ভোগ করে এবং যুক্তিবোধকে তার সকল সদস্য সমাধানকে কাজে লাগিয়ে এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে যার মধ্যে ব্যক্তির আশা আকাঙ্খা অর্জিত হয়। J.itallowell বলেন-“উদারতাবাদ নিছক তথা কোনো অর্থহীন চিন্তাভাবনা নয়। বরং এটি একটি জীবন দর্শন বটে। জীবনদর্শন হিসেবে এটি মানুষের সামাজিক, রাজনৈতি...

নেতৃত্ব কী? নেতৃত্ব কাকে বলে?

নেতৃত্ব কী? নেতৃত্ব কাকে বলে? ভূমিকাঃ মানুষ সামাজিক জীব মানুষ সমাজ গঠন করেছে নিজের চাহিদা পূরণের জন্য।আর মানুষ যখন সমাজ গঠন করার ইচ্ছা পোষণ করেছে তখন কেউ না কেউ এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। সমাজের সাথে নেতৃত্বের যথেষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। কারণ সমাজ হলো মানুষ গঠনের কারিগর আর নেতা তৈরী হয় সমাজ থেকে।কোন দেশ, জাতি , সমাজ নেতৃত্ব ছাড়া চলতে পারে না কারণ নেতৃত্ব হলো দিকনির্দেশনা যা প্রদান করতে পারে একজন নেতা। নেতার নেতৃত্ব মেনে চললে সমাজের অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।কারণ সমাজে সব সময় সমস্যা থাকবে আর এ সমস্যা দূর করতে নেতার নেতৃত্ব মেনে চলতে হবে। নেতৃত্বঃ নেতৃত্ব হলো সাধারণ নেতার নির্দেশ। অর্থাৎ নেতৃত্ব হলো কোন কাজ করার আদেশ, নিশেধ বা পরামর্শ বিশেষ। নেতৃত্ব সাধারণত দিক নির্দেশনা অর্থে ব্যবহৃত হয় তা নয়। নতুন নতুন বিপ্লব ঘটানোর জন্য নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নেতৃত্ব সাধারণত নেতা কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এক কথায় বলা যায় দেশ বা সমাজকে পরিচালনার জন্য এক বিশেষ পদ্ধতি হলো নেতৃত্ব। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে নেতৃত্বের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কয়েকটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা প্...

নির্বাচন কাকে বলে? What is Election?

  নির্বাচন কাকে বলে? What is Election? বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান। আর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভোট প্রদান করে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের যাবতীয় কর্মকান্ডের মধ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা যায়। গণতন্ত্র হলো জনগণের জন্য শাসন ব্যবস্থা। জনগণ হলো একটি দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল উৎস। জনগণের বিভিন্ন মৌলিক অধিকারসহ অন্যান্য অধিকার টিকিয়ে রাখা বা আদায় করা সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচন হলো একটি দেশের প্রতিনিধি নির্বাচন করার পদ্ধতি। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয়। নির্বাচনঃ নির্বাচন শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Election. নির্বাচন হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। কারণ আমাদের দেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক অধিকা রক্ষা করার জন্য । কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের জনগণ তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এর জন্য ভোট প্রদান করা বাধ্যতামূলক। ভোট প্রদানের মাধ্যমে একটি দেশের জনগণ তার পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে যে সিস্টেমের মাধ্যমে নির্বাচিত করে ...

পরিমিত বিন্যাস কি? পরিমিত বিন্যাসের ব্যবহারগুলি লিখ।

  প্রশ্নঃ পরিমিতি বিন্যাস কি অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে সমস্ত অবিচ্ছিন্ন চলকের বিন্যাসকে এক বিন্যাসে প্রতিষ্ঠিত করার বহু প্রচেষ্ঠা করা হয়েছিল। তখনই এই বিন্যাসকে পরিমিত বিন্যাস নামে অভিহিত করা হতে থাকে। পরিমিত বিন্যাসের অনুমান ছাড়া নমুনাজ বিন্যাসগুলোর অস্তিত্ব থাকে না। পরিমিত বিন্যাসের সংজ্ঞাঃ দ্বিপদী বিন্যাসের চেষ্টার সংখ্যা খুব বেশি এবং প্রতিবার চেষ্টায় সফলতা ও বিফলতার সম্ভবনা প্রায় সমান হলে দ্বিপদী বিন্যাসের সীমিত রুপকে পরিমিত বিন্যাস (Normal Distribution) বলে । অন্যকথায়, যে রাশিমালা বা বিন্যাসের সংখ্যামানগুলো নিয়মিতভাবে বিন্যস্ত থাকে এবং এটি লেখচিত্রে উপস্থাপন করলে সুষম রেখা পাওয়া যায় তাকে পরিমিত বিন্যাস হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করা হয়। এখানে  Normal বলতে Typical or most often observed distribution কে বুঝানো হয় না। বরং Notom বা আদর্শিক বিষয় হিসেবে এখানে Normal শব্দটিকে বুঝানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণভাবেই একটি কল্পনাপ্রসূত বা Hypothentical distribution. পরিমিত বিন্যাসের ব্যবহারঃ পরিসংখ্যানিক কাজে পরিমিত বিন্যাসের বহুল ব্যবহার সর্বজন স্বীকৃত। নিম্নে পরিমিত বিন্যাসের ব্যবহার  আলোচন...