নির্বাচন কি? What is Election?
ভূমিকাঃ- বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান। আর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভোট প্রদান করে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের যাবতীয় কর্মকান্ডের মধ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করা যায়। গণতন্ত্র হলো জনগণের জন্য শাসন ব্যবস্থা। জনগণ হলো একটি দেশের শাসন ব্যবস্থার মূল উৎস। জনগণের বিভিন্ন মৌলিক অধিকারসহ অন্যান্য অধিকার টিকিয়ে রাখা বা আদায় করা সম্ভব নয়। কারণ নির্বাচন হলো একটি দেশের প্রতিনিধি নির্বাচন করার পদ্ধতি। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয়।
নির্বাচনঃ নির্বাচন শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Election. নির্বাচন হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। আধুনিক গণতন্ত্রে প্রতিনিধি বাছাইয়ের উপায় হিসেবে নির্বাচন পদ্ধতি ব্যবহার করা কারণ আমাদের দেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক অধিকা রক্ষা করার জন্য । কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের জনগণ তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এর জন্য ভোট প্রদান করা বাধ্যতামূলক। ভোট প্রদানের মাধ্যমে একটি দেশের জনগণ তার পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে যে সিস্টেমের মাধ্যমে নির্বাচিত করে তাকেই নির্বাচন বলে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হবার জন্য দিকনির্দেশনা খুজে পায়।
প্রামান্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নির্বাচনের বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কয়েকটি সংজ্ঞা প্রদান করা হলো।
এইচ মিয়ো (Meyo) বলেন নির্বাচন হচ্ছে সরকারকে জনগণের নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায়।
Oxford English Leaner's Dictionary তে বলা হয়েছে করে রাজনৈতিক পদের জন্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া।
oxford dicttionary ভাষায় নির্বাচন হলো এমন কোনো পদ বিশেষ নির্বাচন হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক পদের জন্য ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে নির্বাচন করার প্রক্রিয়াকে বুঝায়।
মোট কথা হলো নির্বাচন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের যাবতীয় শর্তাবলির গতি ত্বরান্বিত হয়। নির্বাচন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয় রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য।
নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা:
নির্বাচন কেবল একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তি। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর ঘটে। নির্বাচন না থাকলে শাসনের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নরুপ-
-
জনগণের মতামত প্রকাশ পায়
-
নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়
-
সরকার গঠন ও প্রশাসন পরিচালিত হয়
-
মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়
-
সাংবিধানিক কাঠামো টিকে থাকে
এছাড়া, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে শাসকদের একটি জবাবদিহিমূলক সম্পর্ক তৈরি হয়। এতে করে রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হয়।
উপরের আলোচনা হতে পরিশেষে বলা যায় যে, নির্বাচন গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ। একটি দেশের যাবতীয় গণতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সাংবিধানিক সকল প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এটি জনগণের অধিকার প্রয়োগের একটি বৈধ মাধ্যম, যার মাধ্যমে তারা শাসকদের নির্ধারণ করে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ নেয়। সুষ্ঠু নির্বাচন একটি জাতির রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিচায়ক।

No comments:
Post a Comment