Showing posts with label চাকরি. Show all posts
Showing posts with label চাকরি. Show all posts

NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন প্রস্তুতি বিস্তারিত গাইডলাইন

 NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন প্রস্তুতি: প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা গাইড

বাংলাদেশে বেসরকারি স্কুল–কলেজ–মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য NTRCA (Non-Government Teachers’ Registration and Certification Authority) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর লক্ষাধিক প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধন পেতে NTRCA পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হওয়ায় এখানে সফল হতে চাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, সঠিক বই, অনুশীলন এবং বুদ্ধিমান প্রস্তুতি।

NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন প্রস্তুতি


NTRCA পরীক্ষা কী ও কেমন হয়?

NTRCA পরীক্ষায় সাধারণত তিন ধাপ থাকে:

 প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (MCQ – ১০০ নম্বর): এখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এই চার বিষয়ে প্রশ্ন আসে।

লিখিত পরীক্ষা (২০০ নম্বর): এই ধাপই মেরিট তালিকা নির্ধারণের সবচেয়ে বড় অংশ।

বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন থাকে যেমন বাংলা শিক্ষক হলে বাংলা বিষয়, ইংরেজি হলে ইংরেজি বিষয়।

ভাইভা (২০–২৫ নম্বর): চাকরির সুযোগ পেতে লিখিত + ভাইভা সম্মিলিত স্কোর বিবেচনা করা হয়।


NTRCA সিলেবাস পরিপূর্ণ ধারণা

প্রিলিমিনারি (MCQ) সিলেবাস:

* বাংলা -২৫

* ইংরেজি -২৫

* গণিত + যুক্তি -২৫

* সাধারণ জ্ঞান- ২৫

মোট: ১০০ প্রশ্ন, সময়: ১ ঘণ্টা


NTRCA প্রস্তুতির জন্য কোন বই প্রয়োজন?

বাংলা: বাংলা ব্যাকরণ (যেকোনো স্ট্যান্ডার্ড গাইড), NTRCA বাংলা প্রশ্নব্যাংক

 ইংরেজি: English Grammar (Tense, Voice, Narration), NTRCA প্রিলিমিনারি ইংরেজি গাইড, Vocabulary List

গণিত: চাকরি বাজার গণিত, NTRCA সমাধান বই, যুক্তি ও ধাঁধা সমাধান বই

সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক ঘটনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি


লিখিত পরীক্ষা (বিষয়ভিত্তিক)

আপনার নির্দিষ্ট বিষয়ের টেক্সটবুক, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের বই, বিষয়ভিত্তিক NTRCA লিখিত গাইড

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ভালো করার কৌশল

বাংলা: বাংলায় সাধারণত ব্যাকরণ বেশি আসে।যেমন- সমাস, সন্ধি, শব্দ গঠন, লিংকিং, বাগধারা, বানান শুদ্ধকরন, সাহিত্যিক পরিচিতি, অনুচ্ছেদ

প্রতিদিন অন্তত ৩০–৪০ মিনিট বাংলা অনুশীলন করুন।


ইংরেজি: NTRCA ইংরেজি তুলনামূলক সহজ হয়।Grammar, Synonym/Antonym, Correct Sentence, Comprehension

প্রস্তুতি টিপস: প্রতিদিন Vocabulary পড়ুন।Grammar নিয়ম মুখস্থ নয় ব্যবহার শিখুন। Passage অনুশীলন করুন


গণিত ও যুক্তি: শতকরা, লাভ/ক্ষতি, সময় ও কাজ, অনুপাত, সংখ্যা পদ্ধতি, যুক্তি (series, patterns)

টিপস: প্রতিদিন ১৫–২০টি সমস্যা, পুরোনো প্রশ্ন সমাধান, শর্টকাট মেথড শিখুন।


সাধারণ জ্ঞান: ইতিহাস, ভূগোল, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সাম্প্রতিক ঘটনা। প্রতিদিন খবর পড়ুন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করুন।



লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি মেরিটের মূল অংশ

লিখিত পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নম্বর বেশি পেলে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

লিখিত পরীক্ষায় যা করতে হবে:

* বিষয়ভিত্তিক গভীর ধারণা

* পরিষ্কার হাতের লেখা

* পয়েন্ট আকারে উত্তর

* উদাহরণসহ ব্যাখ্যা

* সময় ব্যবস্থাপনা

* পূর্ববর্তী প্রশ্ন সমাধান

যে বিষয় পড়াতে চান সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল পর্যন্ত ধারণা থাকা ভালো।


৬ মাসের প্রস্তুতির পরিকল্পনা (ধাপে ধাপে)

১ম ও ২য় মাস (বেসিক)

* বাংলা/ইংরেজি/গণিত বেসিক

* Vocabulary

* বাংলা ব্যাকরণ

* গণিতের বেসিক সূত্র

* সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তি


 ৩য় ও ৪র্থ মাস (প্র্যাকটিস)

* মডেল টেস্ট শুরু

* কঠিন অধ্যায় সমাধান

* বিষয়ভিত্তিক পড়া

* রিজনিং গভীরভাবে


৫ম মাস (লিখিত প্রস্তুতি)

* দীর্ঘ প্রশ্ন অনুশীলন

* পয়েন্ট আকারে উত্তর লেখা

* বিষয়ের গভীর অধ্যয়ন


৬ষ্ঠ মাস (ফাইনাল প্রস্তুতি)

* পূর্ণাঙ্গ রিভিশন

* মক-টেস্ট

* সময় ব্যবস্থাপনা ট্রেনিং

* দুর্বল অংশ ঠিক করা


মডেল টেস্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ?

মডেল টেস্ট দিলে, সময় কমে যায়, দ্রুত উত্তর করার দক্ষতা বাড়ে, বাস্তব পরীক্ষার মতো পরিস্থিতি বুঝে যায়, নিজের দুর্বলতা ধরা পড়ে,  আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

NTRCA পরীক্ষায় সময় অত্যন্ত মূল্যবান তাই মডেল টেস্ট যত বেশি দেবেন, সফলতার সম্ভাবনা তত বেশি।


ভাইভা প্রস্তুতি অবহেলা করলে চলবে না

ভাইভায় সাধারণত প্রশ্ন আসে:

* নিজের পরিচয়

* কেন শিক্ষক হতে চান?

* আপনার বিষয়ের মৌলিক প্রশ্ন

* শিক্ষণ পদ্ধতির ধারণা

* বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

* শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা

* পরিবার ও শিক্ষাগত যোগ্যতা


ভাইভা টিপস: পরিপাটি পোশাক, আত্মবিশ্বাস, সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট উত্তর, ভদ্র আচরণ, হাস্যোজ্জ্বল মুখ।


গুরুত্বপূর্ণ টিপস যা NTRCA-তে সফল করবে

  • নিয়মিত পড়াশোনা কমপক্ষে প্রতিদিন ৩–৪ ঘণ্টা
  • বাংলায় ৮০% নম্বর তোলা সম্ভব ভালোভাবে পড়ুন
  • গণিতে ভুল কমান
  • ইংরেজিতে ভোকাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ
  • সাধারণ জ্ঞান পেতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন
  • নোট তৈরি করুন রিভিশনে সুবিধা হবে
  • মোবাইল/ফেসবুকের সময় কমান
  • স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন


পরীক্ষার দিন কীভাবে প্রশ্ন সমাধান করবেন?

* প্রথমে সহজ প্রশ্নগুলো করুন

* কঠিন প্রশ্ন শেষে

* সময় বাঁচাতে স্কিপ করতে শিখুন

* ইংরেজি বা গণিতে আটকে যাবেন না

* প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে উত্তর দিন

* শেষ ৩ মিনিটে রিভিউ করুন

* ঘাবড়াবেন না; শান্ত থাকুন


NTRCA পরীক্ষা কঠিন মনে হলেও পরিকল্পিত পড়াশোনা ও নিয়মিত অনুশীলন থাকলে সহজেই উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং সঠিক প্রস্তুতি।

যারা প্রতিদিন একটু একটু করে পড়েন, মডেল টেস্ট দেন, বিষয়ভিত্তিক বই পড়েন এবং লিখিত অনুশীলন করেন তাদের NTRCA পাস করা খুবই সহজ হয়ে যায়।


শিক্ষকতা এমন একটি মহান পেশা যা শুধু চাকরি নয় এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার একটি সুযোগ। তাই মন দিয়ে পড়ুন, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন ইনশাআল্লাহ আপনি একজন নিবন্ধিত শিক্ষক হবেন।

সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি: একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড

সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি: একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড


বাংলাদেশে সরকারি চাকরি সব সময়ই একটি মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী পেশা হিসেবে বিবেচিত। স্থায়ী বেতন কাঠামো, চাকরির নিরাপত্তা, সামাজিক সম্মান সব মিলিয়ে লক্ষাধিক তরুণ-তরুণী সরকারি চাকরিকে তাদের ক্যারিয়ারের প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখেন। তবে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফলতার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মিত অনুশীলন এবং ধৈর্য। এই পোস্টে আলোচনা করা হলো যে কোনো ধরনের সরকারি চাকরির জন্য কেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন, কীভাবে পড়তে হবে এবং পরীক্ষার দিন কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।
সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি


প্রস্তুতি শুরু করার আগে লক্ষ্য স্থির করুন

সরকারি চাকরির প্রস্তুতি শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে
আপনি কোন ধরনের চাকরি চান?
  •  BCS
  • ব্যাংক জব (Sonali, Janata, Bangladesh Bank ইত্যাদি)
  • NTRCA
  • Primary Teacher Recruitment
  • Police, Ansar, Defence
  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা
লক্ষ্য পরিষ্কার হলে সেই অনুযায়ী সিলেবাস, বই, প্রস্তুতির ধরন সবকিছু নির্ধারণ করা সহজ হয়।

সিলেবাস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা

প্রথম ধাপে সিলেবাস হলো আপনার রোডম্যাপ।
বেশিরভাগ সরকারি চাকরির লিখিত বা MCQ পরীক্ষায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থাকে:

* বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
* ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণ
* গণিত ও যুক্তি
* সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক)
* বিজ্ঞান (কিছু ক্ষেত্রে)
* কম্পিউটার জ্ঞান (আইটি সম্পর্কিত পদে)

সিলেবাস বিশ্লেষণ করে ভাগ করে পড়তে হবে,
যেমন: বাংলা (৫০ মার্ক), ইংরেজি (৫০), গণিত (৩০), জিকে (৪০)।


একটি সুশৃঙ্খল স্টাডি-প্ল্যান তৈরি করুন

সরকারি চাকরির জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি দরকার। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩–৬ ঘণ্টা পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

উদাহরণ স্টাডি-প্ল্যান:

সকাল-বাংলা + ইংরেজি
দুপুর-গণিত + যুক্তি 
রাত -সাধারণ জ্ঞান + পূর্ববর্তী প্রশ্ন সমাধান
যাদের সময় কম, তারা সপ্তাহভিত্তিক স্টাডি প্ল্যান করতে পারেন।


কোন বইগুলো পড়বেন

বই নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু বহুল ব্যবহৃত বই হলো:
বাংলা: নুরুল ইসলাম টিপু – “বাংলা ব্যাকরণ”, সামসুল আলম (BCS বাংলা)

ইংরেজি: Wren & Martin, BCS English Grammar (Prof. Zinnur Rahman)

গণিত ও যুক্তি: তুষার প্রকাশন, চাকরি বাজার গণিত, রিজনিং (Munir Hasan)

সাধারণ জ্ঞান: Current Affairs Book, দৈনিক পত্রিকার চলতি ঘটনা

সঠিক বই বেছে নিয়ে নিয়মিত রিভিশন করলে প্রস্তুতি অনেক শক্তিশালী হয়।


পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন সমাধান

সরকারি চাকরির প্রস্তুতিতে পুরনো প্রশ্ন হলো সোনার খনি।
এর কারণ-
* প্রশ্নের ধরন বোঝা যায়
* পুনরাবৃত্ত প্রশ্ন পাওয়া যায়
* সময় ব্যবস্থাপনা শেখা যায়
কমপক্ষে ৫–১০ বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করা উচিত।



নিয়মিত মক-টেস্ট দিন

মক-টেস্ট ছাড়া সরকারি চাকরির পরীক্ষা জয় করা কঠিন। মক-টেস্টে:

* সময় ব্যবস্থাপনা শেখা যায়
* নিজের দুর্বলতা বোঝা যায়
* পরীক্ষা ভীতি দূর হয়

সপ্তাহে অন্তত ২–৩টি মক-টেস্ট দিন।



পড়াশোনার ধরণ কেমন হবে


১) Active Learning: স্রেফ পড়লেই হবে না; নোট করে পড়ুন, আন্ডারলাইন করুন, মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করুন।

২) Revision-Based Study: প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার পুরনো বিষয় পুনরাবৃত্তি করুন।
“যত পড়বেন, তত ভুলবেন; যত রিভিশন করবেন, তত মনে থাকবে।”

৩) Short Notes তৈরি করুন: পরীক্ষার আগের ১৫ দিন শুধু শর্ট নোট আপনাকে বাঁচাবে।

৪) ফোকাস & কনসিস্টেন্সি বজায় রাখুন: প্রতিদিন অল্প অল্প করেও পড়ুন হঠাৎ অনেক পড়া টেকসই নয়।



সময় ব্যবস্থাপনা

MCQ পরীক্ষায় সময় খুব মূল্যবান।
৩০–৬০ মিনিটে ৫০–১০০টি প্রশ্ন করতে হয়।
তাই পরীক্ষা আগে:
* দ্রুত পড়ার অভ্যাস
* গণিত দ্রুত সমাধানের কৌশল
* অনুমান নির্ভর উত্তর কম করা
  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চলতি ঘটনার (Current Affairs) প্রস্তুতি

যে কোনো সরকারি চাকরিতে চলতি ঘটনা নিশ্চিত আসে।
সুতরাং:

* প্রতিদিন পত্রিকা পড়ুন
* মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বুক পড়ুন
* গুরুত্বপূর্ণ দিবস, পুরস্কার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশের সাম্প্রতিক ঘটনা মনে রাখুন


অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করুন

আজকাল অনলাইনে প্রচুর নোট, লেকচার, ভিডিও, মডেল টেস্ট পাওয়া যায়।
যেমন:

* YouTube ক্লাস
* অনলাইন মক-টেস্ট
* সরকারি চাকরির প্রস্তুতিমূলক গ্রুপ
* PDF নোট

এগুলো আপনার প্রস্তুতিকে আরও সহজ করবে।


মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি বজায় রাখুন

সরকারি চাকরির প্রস্তুতি দীর্ঘমেয়াদী। তাই:

* স্ট্রেস কমিয়ে রাখতে হবে
* ঘুম ঠিক রাখতে হবে
* অতিরিক্ত মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলতে হবে
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন

শরীর ও মন ভালো না থাকলে পড়াশোনা ফলপ্রসূ হয় না।


পরীক্ষার আগের প্রস্তুতি


পরীক্ষার ৭–১০ দিন আগে:

* সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রিভিশন
* শর্ট নোট পড়া
* মক-টেস্ট দেওয়া
* দুর্বল বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়া
* পরীক্ষার সিলেবাস আবার দেখে নেওয়া



পরীক্ষার দিন কী করবেন


পরীক্ষা কেবল পড়াশোনার নয় ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তারও পরীক্ষা।

পরীক্ষার দিনে করণীয়:

* সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছান
* রিল্যাক্স থাকুন
* সহজ প্রশ্ন আগে করুন
* কঠিন প্রশ্ন পরে
* উত্তর দেবেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে

ভুল এড়িয়ে চলুন:

* একই প্রশ্নে বেশি সময় নষ্ট করা
* অনুমান নির্ভর অতিরিক্ত উত্তর দেওয়া
* প্যানিক মোডে চলে যাওয়া


লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি

লিখিত পরীক্ষায়:

* বিশ্লেষণধর্মী উত্তর
* পয়েন্ট আকারে লেখা
* সুন্দর হাতের লেখা

মৌখিক পরীক্ষায়:

* আত্মবিশ্বাস
* পোশাক-পরিচ্ছদ
* স্পষ্ট উচ্চারণ
* দেশ ও পদের বিষয়ে ধারণা



নিয়মিত নিজেকে মোটিভেট রাখুন

সরকারি চাকরির প্রস্তুতিতে হতাশা আসবেই।
তাই:

* নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন
* সাফল্যের উদাহরণ পড়ুন
* নিজের অগ্রগতি ট্র্যাক করুন
* নেতিবাচক পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন

মনে রাখবেন- ধৈর্য, পরিশ্রম ও সঠিক প্রস্তুতিই সাফল্যের চাবিকাঠি।
সরকারি চাকরির প্রস্তুতি সহজ নয়; তবে অসম্ভবও নয়।
পরিকল্পিত পড়াশোনা, নিয়মিত অনুশীলন, সঠিক বই, মক-টেস্ট এবং ইতিবাচক মনোভাব এগুলো আপনার সফলতার পথ তৈরি করবে।

আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন ৩–৬ ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন, তবে অবশ্যই সরকারি চাকরিতে সফল হতে পারবেন।

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস, মার্কস, বই, মডেল টেস্ট, লিখিত ও ভাইভা প্রস্তুতি


বাংলাদেশে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের চাকরি সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকারি চাকরিগুলোর একটি। কারণ এই চাকরিতে রয়েছে সরকারি চাকরির মর্যাদা, স্থানীয়ভাবে পোস্টিংয়ের সুযোগ, নারীদের জন্য আদর্শ কর্মপরিবেশ, স্থায়ী চাকরি + গ্রেডভিত্তিক বেতন, সমাজে সম্মান, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ।
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি


প্রতিবার লক্ষাধিক প্রার্থী আবেদন করে, আর প্রশ্নপত্রও কঠিন হয়ে আসছে। তাই প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে সফল হতে হলে চাই সঠিক প্রস্তুতি, মনোযোগ এবং নিয়মিত অনুশীলন। 


প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ধাপ


প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তিন ধাপ থাকে:

১) MCQ পরীক্ষা মোট ৮০ নম্বর

 বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-২০, সাধারণ জ্ঞান-২০

২) লিখিত পরীক্ষা (২০ নম্বর) জেলায় জেলায় প্রশ্ন ভিন্ন হতে পারে।

৩) মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা ২০ নম্বর)

মোট = ১২০ নম্বর ।এই তিন ধাপ মিলিয়ে চূড়ান্ত মেরিট তৈরি হয়।

কীভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন?

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে ভরসা একটি বিষয় বেসিক দক্ষতা। যার লেখাপড়া মোটামুটি ভালো এবং নিয়মিত অনুশীলন করে, সে সহজেই পাস করতে পারে।

প্রথমে যা করতে হবে-
  • সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নেওয়া
  • কোন কোন বিষয়ের কোন অধ্যায় বেশি আসে তা জানা
  • সময় ভাগ করে পড়ার অভ্যাস তৈরি
  • নোট তৈরি করার অভ্যাস
  • মডেল টেস্টে অংশ নেওয়া
  • এটাই হবে প্রস্তুতির প্রথম ধাপ।


প্রস্তুতিতে কোন বই লাগবে?

বাংলা: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ বাংলা প্রস্তুতি গাইড, বাংলা ব্যাকরণ (মূল grammar বই)

 ইংরেজি: English Grammar Basic, Primary English Guide, Vocabulary Book (Synonym–Antonym–Idioms)

গণিত:চাকরি বাজার গণিত, প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ গণিত, সাধারণ গণিত প্র্যাকটিস সেট

সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা, সংবিধানের মৌলিক জ্ঞান।


বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি কেমন হবে?

 বাংলা: প্রায় সবসময় ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন আসে।

সন্ধি, সমাস, বাক্য শুদ্ধি, সমার্থক–বিপরীত, প্রবাদ–বাক্য, বানান

পদ্ধতি:
প্রতিদিন ১ ঘণ্টা বাংলা, সপ্তাহে ২ দিন মডেল টেস্ট, ভুলগুলো আলাদা খাতায় নোট করা


ইংরেজি: ইংরেজিতে Grammar + Vocabulary সবচেয়ে বেশি আসে।
Parts of speech, Tense, Voice, Narration, Article, Preposition, Synonym/Antonym, Meaningful, Sentence

পদ্ধতি: প্রতিদিন ১০–১৫টি নতুন ইংরেজি শব্দ মুখস্থ, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট grammar অনুশীলন, ছোট ছোট Passage পড়ে অনুশীলন


গণিত: গণিত প্রাইমারি নিয়োগে সবচেয়ে বেশি নম্বর তোলার সুযোগ দেয়।
যে অধ্যায়গুলো বেশি আসে: শতকরা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত, ভগ্নাংশ, সংখ্যা পদ্ধতি, সময় ও কাজ, ক্ষেত্রফল, সাধারণ গণনা

পদ্ধতি: প্রতিদিন ২০টি গণিত সমস্যা সমাধান কঠিন অধ্যায়গুলো বারবার সমাধান, শর্টকাট মেথড শেখা, পুরনো প্রশ্ন সমাধান


সাধারণ জ্ঞান: এখানে সাধারণত খুব সহজ প্রশ্ন আসে:
বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, ভূগোল, বাংলাদেশের অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিজ্ঞান–প্রযুক্তি, সাম্প্রতিক ঘটনা

পদ্ধতি: প্রতিদিন পত্রিকা পড়া, মাসিক Current Affairs দেখা, গুরুত্বপূর্ণ দিবস, ব্যক্তিত্ব, ঘটনা মুখস্থ রাখা



কীভাবে সময় ভাগ করবেন? (ডেইলি রুটিন)

আপনার যদি দিনে ৩-৪ ঘণ্টা সময় থাকে, তাহলে রুটিন এমন হতে পারে:
১ ঘণ্টা বাংলা, ১ ঘণ্টা ইংরেজি, ১.৫ ঘণ্টা গণিত,৩০ মিনিট সাধারণ জ্ঞান, সপ্তাহে ১ দিন মডেল টেস্ট, সময় কম থাকলে বিষয়গুলো পালা করে পড়ুন।


মডেল টেস্ট কেন জরুরি?

মডেল টেস্ট দিলে
✔ সময় ব্যবস্থাপনা শেখা যায়
✔ প্রশ্নের ধরন বোঝা যায়
✔ নিজের দুর্বলতা বোঝা যায়
✔ বাস্তব পরীক্ষার চাপ কমে যায়

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে সময় খুব কম থাকায় মডেল টেস্ট অনুশীলন না করলে পরীক্ষায় পাস করা কঠিন।


লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি


লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত থাকে- প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ, শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন, গণিত সমস্যা ব্যাখ্যাসহ সমাধান

লিখিত অংশে নম্বর কম হলে মোট মেরিট খারাপ হয়ে যায়। তাই: সুন্দর হাতের লেখা, পরিচ্ছন্ন উপস্থাপনা, পয়েন্ট আকারে লেখা, ব্যাকরণগত ভুল কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



ভাইভা/মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি


ভাইভায় সাধারণত করা হয়;
  • নিজের পরিচয়
  • কেন শিক্ষক হতে চান
  • প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য
  • জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা
  • শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা কৌশল
  • বাংলাদেশের ইতিহাস–মুক্তিযুদ্ধ
  • পরিবার-শিক্ষাগত যোগ্যতা

ভাইভায় ভালো করতে হলে:
  •  আত্মবিশ্বাসী হতে হবে
  • ভদ্রভাবে কথা বলতে হবে
  • পরিপাটি পোশাক পরতে হবে
  • সঠিক উত্তর সংক্ষেপে দিতে হবে


৩ মাসের আদর্শ প্রস্তুতি পরিকল্পনা

প্রথম মাস:

বাংলা + ইংরেজি ব্যাকরণ, গণিত বেসিক, সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তি, প্রতিদিন Vocabulary

দ্বিতীয় মাস:

কঠিন গণিত অধ্যায়, বাংলা–ইংরেজি অনুশীলন, মডেল টেস্ট সপ্তাহে ২ দিন, চলতি ঘটনা প্রস্তুতি

তৃতীয় মাস:

পুরনো প্রশ্ন সমাধান, পূর্ণ সিলেবাস রিভিশন, লিখিত অনুশীলন, মক-টেস্ট নিয়মিত

পরীক্ষার দিন কী করবেন?

  • সময়মতো হলে পৌঁছান
  • প্রশ্নের কঠিন অংশ বাদ দিয়ে সহজ অংশ আগে করুন
  • কোন প্রশ্নে ১ মিনিটের বেশি সময় নষ্ট করবেন না
  • নেগেটিভ মার্কিং থাকলে অনুমান কম করুন
  • শেষ ৫ মিনিট উত্তর চেক করুন

শেষ কথা প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে সফলতার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন ধৈর্য, নিয়মিত অনুশীলন, বেসিক জ্ঞান এবং আত্মবিশ্বাস। এই চাকরির প্রস্তুতি খুব কঠিন নয়, তবে অবহেলা করলে নম্বর পাওয়া কঠিন।
যারা নিয়মিত পড়ে, মডেল টেস্ট দেয়, নিজের ভুল ঠিক করে তাদের সফল হওয়া নিশ্চিত।

শিক্ষকতা শুধু একটি চাকরি নয়; এটি সমাজ গড়ার পবিত্র দায়িত্ব। তাই মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি নিন, পরিশ্রম করুন ইনশাআল্লাহ সাফল্য আসবেই।

বাংলাদেশে ব্যাংক জব প্রস্তুতি কীভাবে শুরু করবেন

বাংলাদেশে ব্যাংক জব প্রস্তুতি: কীভাবে শুরু করবেন (সম্পূর্ণ গাইড)

ভূমিকা:- বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পেশাগত ক্ষেত্রগুলোর একটি। নিরাপদ কর্মজীবন, উন্নত বেতন কাঠামো, আধুনিক অফিস পরিবেশ এবং ক্যারিয়ার গ্রোথ সব মিলিয়ে ব্যাংক জব এখন হাজারো তরুণ-তরুণীর প্রথম পছন্দ। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোর চাকরির প্রতিযোগিতা এতটাই বেশি যে এখানে সফল হতে হলে পরিকল্পিত, নিয়মিত এবং ধৈর্যশীল প্রস্তুতি নেওয়া অপরিহার্য। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব ব্যাংক জবের প্রস্তুতি কীভাবে শুরু করতে হবে, কোন বই পড়তে হবে, কীভাবে অনুশীলন করতে হবে, পরীক্ষার কৌশল কী, এবং সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কোন ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।

বাংলাদেশে ব্যাংক জব প্রস্তুতি


ব্যাংকের ধরন:

বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের ব্যাংক চাকরি আছে:

১) বাংলাদেশ ব্যাংক:

এখানে প্রতিযোগিতা সবচেয়ে বেশি এবং প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন। লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

২) সরকারি ব্যাংক (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, কৃষি ব্যাংক):

এগুলোতে নিয়োগ পরিচালনা করে Bankers Selection Committee (B SC), MCQ + Written + Viva হয়।

৩) বেসরকারি ব্যাংক:

এদের নিয়োগ যেকোনো সময় হতে পারে। সাধারণত MCQ এবং Viva এর মাধ্যমেই নিয়োগ দেওয়া হয়।

আপনি কোন পথটি বেছে নিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে প্রস্তুতির ধরন।



প্রশ্নের ধরন / মার্কস বণ্টন

সাধারণত MCQ পরীক্ষায় যে বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন আসে:

  • বাংলা  ১৫-২০
  • ইংরেজি  ১৫-২০
  • গণিত  ২৫-৩০
  • সাধারণ জ্ঞান ১০-১৫
  • যুক্তি / রিজনিং ১৫-২০
  • বাংলাদেশ ব্যাংকে গণিত কিছুটা কঠিন হয় এবং রিডিং কমপ্রিহেনশন থাকে।


কোন বই পড়বেন

বাংলা:

  • নুরুল ইসলাম টিপু - বাংলা ব্যাকরণ
  • MP3 বাংলা
  • প্রিলিমিনারি বাংলা প্রশ্নব্যাংক


ইংরেজি:

  • English Grammar (মূল ব্যাকরণ বই)
  • চাকরি প্রস্তুতি ইংরেজি (বিশেষ করে ব্যাকরণ + ভোকাবুলারি)
  • নিয়মিত Vocabulary চর্চা করতে হবে Synonym, Antonym, Idiom, Phrasal Verb ইত্যাদি।


গণিত:

  • তুষার প্রকাশন গণিত
  • চাকরি বাজার গণিত
  • Professor’s Banking Math
  • গণিতে শতভাগ অনুশীলন জরুরি।


সাধারণ জ্ঞান:

  • সাম্প্রতিক ঘটনার বই
  • বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
  • অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সংক্রান্ত নোট


রিজনিং:

  • Bank IQ & Reasoning Guide
  • সহজ যুক্তি সমাধান বই


কীভাবে পড়তে হবে-একটি কার্যকর স্টাডি প্ল্যান

ব্যাংক জবের প্রস্তুতি নিতে হলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩–৪ ঘণ্টা পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।


দৈনিক স্টাডি রুটিন

সকাল: ইংরেজি + Vocabulary

দুপুর/বিকেল: গণিত + রিজনিং

রাত: বাংলা + সাধারণ জ্ঞান

সপ্তাহে ১ দিন: শুধুই মক-টেস্ট

এভাবে পড়লে প্রতিটি বিষয়েই সমান দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।


দৈনিক অনুশীলন পরীক্ষা

ব্যাংক পরীক্ষার সময় খুব কম । ১০০ মার্কের প্রশ্ন উত্তর করতে হয় মাত্র ৬০-৭০ মিনিটে।

অর্থাৎ প্রতি প্রশ্নে আপনি পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ সেকেন্ড।

তাই নিয়মিত মক-টেস্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক। মক-টেস্ট দিলে যা লাভ হবে

  • সময় ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়
  • প্রশ্ন বাছাই দক্ষতা বাড়ে
  • ভুল প্রশ্ন চিহ্নিত হয়
  • বাস্তব পরীক্ষার মতো চাপ সামলাতে শেখা যায়

সপ্তাহে কমপক্ষে ২টি মক-টেস্ট দিতে হবে।


গণিতে দক্ষতা বাড়ানোর কৌশলঅনেকেই বলে ব্যাংক গণিত নাকি কঠিন আসলে এটি কঠিন নয়, নিয়মিত অনুশীলন না করলে কঠিন মনে হয়।

গণিতের কোন অধ্যায়গুলো বেশি আসে?

শতকরা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত, সময় ও কাজ, সাধারণ সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদ, চার্ট/গ্রাফ বিশ্লেষণ


কীভাবে অনুশীলন করবেন?

  • প্রতিদিন অন্তত ২০টি সমস্যা সমাধান
  • কঠিন অধ্যায়গুলো আলাদা নোট করুন
  • পুরনো ব্যাংক প্রশ্ন সমাধান করুন
  • গণিতের শর্টকাট পদ্ধতি শিখুন


ইংরেজি: ইংরেজি পাস ব্যর্থতা্ নির্ধারণের প্রধান বিষয়। কারন, ব্যাংক চাকরিতে ইংরেজির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে সাধারণত Grammar + Vocabulary + Comprehension আসে।


ইংরেজি ভালো করার সহজ উপায়:

প্রতিদিন ২০-৩০টি শব্দ মুখস্থ করা

নিয়মিত Grammar অনুশীলন

ছোট ছোট ইংরেজি অনুচ্ছেদ পড়ে অনুশীলন

ভুল হলে কেন ভুল হলো লিখে রাখুন


বাংলা প্রস্তুতি

বাংলায় সাধারণত ব্যাকরণ থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। যেমন, সমাস, সন্ধি, বাক্য শুদ্ধকরণ, অশুদ্ধ শব্দ, সমার্থক-বিপরীত শব্দ, বাগধারা

বাংলা খুব সহজ মার্ক এনে দেয় তাই যেভাবেই হোক বাংলা মার্ক ৮০-৯০% তোলার চেষ্টা করতে হবে।


ব্যাংকিং জ্ঞান: বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য জরুরি পড়তে হবেঃ

ব্যাংকের ধরণ, ঋণ নীতি, সুদের ধরণ, RTGS, EFTN, চেক, ডিমান্ড ড্রাফট, মুদ্রানীতি, GDP, Inflation, FDI ইত্যাদি অর্থনৈতিক টার্ম


লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি (বাংলাদেশ ব্যাংক)

লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত থাকে:

ব্যাখ্যামূলক গণিত

ব্যাংকিং/অর্থনীতি বিষয়ক লেখা

সারাংশ লেখা

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন

যে যত বেশি লিখিত অনুশীলন করবে, তার স্কোর তত ভালো হবে।


মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি

ইন্টারভিউতে সাধারণত জিজ্ঞেস করা হয়-

নিজের পরিচয়

কেন ব্যাংকে চাকরি করতে চান

ব্যাংকিং নীতি

বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি

পরিবার ও শিক্ষাগত যোগ্যতা

কম্পিউটার সম্পর্কিত ধারণা

স্বাক্ষাৎকারের সময় শান্ত, আত্মবিশ্বাসী এবং ভদ্র হতে হবে।


সময় ব্যবস্থাপনা পরীক্ষার দিন

সহজ প্রশ্ন আগে করুন

গণিতে কঠিন প্রশ্নে সময় নষ্ট করবেন না

নেগেটিভ মার্ক থাকলে অনুমান কম করবেন

পুরো প্রশ্নপত্র একবার দেখে তারপর শুরু করুন


৩ মাসের প্রস্তুতি পরিকল্পনা

১ম মাস: Grammar + Math বেসিক, Vocabulary, রিজনিং বেসিক, বাংলা ব্যাকরণ

২য় মাস: কঠিন গণিত অনুশীলন, ব্যাংকিং নোট, কমপ্রিহেনশন, মক-টেস্ট (সপ্তাহে ২ দিন)

৩য় মাস: পুরনো প্রশ্ন সমাধান, পূর্ণাঙ্গ রিভিশন, মক-টেস্ট (সপ্তাহে ৩ দিন), দুর্বল বিষয়গুলো ঠিক করা


শেষ কথা ব্যাংক চাকরি পেতে হলে নিয়মিত অনুশীলন, স্মার্ট স্টাডি প্ল্যান এবং চূড়ান্ত মনোযোগই সফলতার পথ খুলে দেয়। যাদের ধৈর্য বেশি, নিয়মিত পড়ার অভ্যাস আছে, তারা অবশ্যই ব্যাংক জবে সফল হতে পারবেন। সঠিক প্রস্তুতি থাকলে ব্যাংক জব কখনোই কঠিন নয়। বরং সুশৃঙ্খলভাবে চেষ্টা করলে খুব দ্রুত চাকরি পাওয়া যায়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

সেকশন- ২, মিরপুর, ঢাকা–১২১৬

www.dpe.gov.bd


‘‘তারিখঃ ০৫ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ’’

২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্মারক নং: ৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০১০.২৫–২০৭

বিষয়: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “সহকারী শিক্ষক” পদে নিয়োগ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫


প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। রংপুর, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রত্যেক জেলার স্থায়ী নাগরিক এই নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: সহকারী শিক্ষক

বেতনস্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ (গ্রেড-১৩) বেতনস্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী) 

পদসংখ্যা- ১০,২১৯

বয়সসীমা- ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স হবে যথাক্রমে ২১-৩২ বৎসর।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

(ক)  যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ সহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী।

(খ) শিক্ষা জীবনে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ ও  তৃতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

অনলাইনের ফরমপূরণ নির্দেশিকা

শর্তাবলী:

(১) আগ্রহী প্রার্থীগণকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন শুরু: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ১০:৩০ মিনিটে। আবেদন শেষ: ২১ নভেম্বর ২০২৫ রাত ১১:৫৯ মিনিটে

(২) আবেদন লিংক  ওয়েবসাইট এ গিয়ে আবেদন করতে হবে। সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণের পর “Draft Applicant’s Copy” প্রিন্ট করে নিজের দেওয়া তথ্য সঠিক হয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে।;

(৩) আবেদন ফি জমা দেওয়ার পূর্বে Draft Applicant's Copy একাধিকবার পড়ে আবেদনে প্রদত্ত সকল তথ্যের যথার্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।যদি কোন ভুল পরিলক্ষিত হয় তাহলে আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে না এবং  নতুন করে Application Form সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে নতুন User ID ও Unpaid স্ট্যাটাস সম্পন্ন Draft Applicant's Copy প্রিন্ট নিয়ে পুনরায় প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে হবে।

(8) তথ্য সঠিক নিশ্চিত হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক সিমের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।

ফি নির্ধারিত হয়েছে ১০০ টাকা + সার্ভিস চার্জ ১২ টাকা = মোট ১১২ টাকা।;

(৫) আবেদন ফি পরিশোধের পর আবেদনে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে আবেদনকারীকে User ID-সহ একটি Password দেয়া হবে। এরপরে http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের Download Applicant's Copy" ট্যাবে ক্লিক করে মোবাইলে প্রাপ্ত নিজ User ID ও Password দিয়ে Submit করে Paid স্ট্যাটাস সম্পন্ন Final Applicant's Copy পাওয়া যাবে। যা রঙিন প্রিন্ট কপি বের করতে হবে ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষ অবধি সংরক্ষণ করতে হবে। কেবলমাত্র আবেদন ফি পরিশোধের মাধ্যমে আবেদন কাজ চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয় তারপর আবেদনে আর কোন তথ্য সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা একই প্রার্থীর নতুনভাবে Application Form পূরণের নতুন কোন সুযোগ থাকে না;

(৬) পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থাদি চূড়ান্ত করার পর প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীকে SMS-এর মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের লিংক প্রদান করা হবে যা ব্যবহার করে আবেদনকারী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।কোন কারনে যদি User ID ও Password ভূলে যান পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন হয় তবে  উক্ত লিংকে প্রবেশ করে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পুনরুদ্ধার করা যাবে;

(৭) Online আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল নম্বরটি সার্বক্ষণিক সচল রাখতে হবেয়;

(৮) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজ উপজেলা/থানায় নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদনকারী যে উপজেলা/শিক্ষা থানার স্থায়ী বাসিন্দা তার প্রার্থিতা উক্ত উপজেলা/শিক্ষা থানার অনুকূলে নির্ধারিত শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হবে;

(৯) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ এর ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের সংশোধন অনুযায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে;

(১০) বিবাহিত মহিলা প্রার্থীগণ আবেদনে তাঁদের স্বামী/পিতার স্থায়ী ঠিকানার যে কোন এক জায়গায় আবেদন করতে পারবেন। তবে এ দুটি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে যেটি আবেদনে উল্লেখ করবেন তার প্রার্থীতা সেই উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য বিবেচিত হবে

(১১) অকোনো তথ্য ভুয়া বা অসত্য প্রমাণিত হলে আবেদন বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে;

(১২) উপজেলা/শিক্ষা থানাভিত্তিক নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী যে উপজেলা/ শিক্ষা থানার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি সে উপজেলা/ শিক্ষা থানার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনে নিজ জেলা, থানা/উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে;

(১৩) নির্বাচিত প্রার্থীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী নিজ উপজেলা/শিক্ষা থানায় চাকরি করতে হবে। তাঁর বদলি নিজ উপজেলা/শিক্ষা খানার বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে সীমিত থাকবে;

(১৪) ধুমপানসহ যে কোন ধরনের মাদক গ্রহণের অভ্যাস থাকলে অর্থাৎ ধুমপায়ীরা আবেদন করার প্রয়োজন নেই;

(১৫) লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত/মনোনীত প্রার্থীকে যেসকল সত্যায়নকৃত কাগজপত্রাদি সংশ্লিষ্ট নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে;

(ক) অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদনের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজ ০২ (দুই) কপি ছবি;

(খ) শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সকল প্রকার মূল/সাময়িক সনদপত্র;

(গ) সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদপত্র;

(ঘ) জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনের কপি;

(ঙ) লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি;

(চ) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি;

(ছ) শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত তাদের উপযুক্ত  সনদপত্র;

(জ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকা হলে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিচিতি বিষয়ক সনদপত্র লাগবে;

(১৬) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীর সনদপত্র ও ছবি সত্যায়নকারী কর্মকর্তার (৯ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা) দ্বারা স্বাক্ষর ও নীচে নামসহ সীল থাকতে হবে;

(১৭) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোন প্রকার অর্থ প্রদান করা হবে না।

(১৮) Online-এ আবেদন দাখিলের বিষয়ে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা যে কোন টেলিটক নম্বর হতে টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার 121 নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের 'Help' ট্যাবে টেলিটকের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ঠিকানা পাওয়া যাবে;

(১৯) কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষ এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলী পরিবর্তনসহ, সংযোজন, বিয়োজন বা বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন। আবেদনপত্র গ্রহণ বা বাতিল ও নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে কোন আপত্তি উপস্থাপন করা যাবে না;

(২০) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কারণে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা গ্রহণ কিংবা প্রার্থিতা পদ নিয়োগ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে না। কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।