Showing posts with label জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়. Show all posts

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স রেজাল্ট চেক করার নিয়ম ও পদ্ধতি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স রেজাল্ট চেক করার নিয়ম ও পদ্ধতি

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (National University, Bangladesh)। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রেজাল্ট চেক করা। অনেক শিক্ষার্থী সঠিক নিয়ম না জানার কারণে রেজাল্ট দেখতে সমস্যায় পড়ে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স রেজাল্ট চেক করার নিয়ম ও পদ্ধতি


এই পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট চেক করার সব পদ্ধতি
  • অনলাইনে ও এসএমএসের মাধ্যমে রেজাল্ট দেখার নিয়ম
  • ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স রেজাল্ট আলাদা আলাদা ভাবে কিভাবে চেক করবেন
  • সাধারণ সমস্যার সমাধান

চলুন শুরু করা যাক।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট দেখার মাধ্যম কয়টি?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট সাধারণত ২টি পদ্ধতিতে দেখা যায়

১. অনলাইনে (ওয়েবসাইটের মাধ্যমে)

২. মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে

এই দুই পদ্ধতিই সহজ এবং নির্ভরযোগ্য।


১. অনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট চেক করার নিয়ম

অনলাইনে রেজাল্ট চেক করাই সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিস্তারিত পদ্ধতি। এখানে আপনি মার্কশিটসহ ফলাফল দেখতে পারবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল রেজাল্ট ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd/results এই ওয়েবসাইট থেকেই ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সের সব রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। অথবা সরাসরি http://103.113.200.7/ লিংকে ক্লিক করেও রেজাল্ট দেখতে পারবেন।


ডিগ্রি রেজাল্ট চেক করার নিয়ম (Degree Result)

ডিগ্রি ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের রেজাল্ট দেখার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন

ধাপসমূহ:

প্রথমে ব্রাউজারে গিয়ে লিখুন: http://result.nu.ac.bd/ বা ক্লিক করুন

“Degree” অপশনে ক্লিক করুন

আপনার পরীক্ষার সাল (Exam Year) নির্বাচন করুন

রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন

ক্যাপচা কোড পূরণ করুন

“Search Result” বাটনে ক্লিক করুন

সফলভাবে সব তথ্য দিলে আপনার ডিগ্রি রেজাল্ট স্ক্রিনে দেখাবে।


অনার্স রেজাল্ট চেক করার নিয়ম (Honours Result)

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট চেক করার নিয়ম প্রায় একই।

ধাপসমূহ:

ভিজিট করুন: www.nu.ac.bd/results

“Honours” অপশন নির্বাচন করুন

পরীক্ষার বর্ষ নির্বাচন করুন

রোল নম্বর ও  রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন

পরীক্ষার সাল লিখুন

সঠিক ক্যাপচা কোড লিখুন

“Search Result” এ ক্লিক করুন

কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার অনার্স রেজাল্ট দেখতে পাবেন।


মাস্টার্স রেজাল্ট চেক করার নিয়ম (Masters Result)

মাস্টার্স (Final/Previous) রেজাল্ট দেখার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—

ধাপসমূহ:

প্রবেশ করুন: http://103.113.200.8/

 “Masters” অপশন নির্বাচন করুন

পরীক্ষার বছর সিলেক্ট করুন

পরীক্ষার রোল নম্বর ও  রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন

ক্যাপচা থাকলে সেটা পূরণ করুন

“Search Result” বাটনে ক্লিক করুন

এরপর আপনার মাস্টার্স রেজাল্ট প্রদর্শিত হবে।


২. এসএমএসের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট চেক করার নিয়ম

ইন্টারনেট না থাকলেও মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে খুব সহজে রেজাল্ট জানা যায়।

এসএমএস পাঠানোর ফরম্যাট:

NU [স্পেস] কোর্স কোড [স্পেস] রোল নম্বর

উদাহরণ:

ডিগ্রি: NU DEG 123456

অনার্স: NU HONS 123456

মাস্টার্স: NU MASTERS 123456


এই এসএমএসটি পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরতি এসএমএসে আপনার রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।


রেজাল্ট দেখতে সমস্যা হলে করণীয়

অনেক সময় দেখা যায় রেজাল্ট ওয়েবসাইট লোড হয় না বা ভূল দেখায়। এর কারণ হতে পারে- একসাথে অনেক ইউজার ভিজিট করার কারণে সার্ভার ব্যস্ত থাকা অথবা ভুল তথ্য প্রদান।


সমাধান:

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করুন

সঠিক রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করুন

অন্য ব্রাউজার বা ডিভাইস ব্যবহার করুন

এসএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করুন


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রেজাল্ট প্রকাশের দিন ওয়েবসাইট ধীর হতে পারে

মার্কশিট পরবর্তীতে কলেজ থেকে সংগ্রহ করতে হয়

রেজাল্টে ভুল থাকলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যায় ।

CGPA এবং গ্রেড সিস্টেম অনুযায়ী ফল প্রকাশ হয়

পুনঃনিরীক্ষণের  আবেদন সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন


উপসংহার: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স রেজাল্ট চেক করার পদ্ধতি খুবই সহজ, যদি সঠিক নিয়ম জানা থাকে। অনলাইন ও এসএমএস দুই মাধ্যমেই রেজাল্ট দেখা যায়। এই পোস্টে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ঘরে বসে আপনার রেজাল্ট জানতে পারবেন।


আপনার যদি এই পোস্টটি উপকারী মনে হয়, তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত নতুন আপডেট পেতে আমাদের ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের (Recheck) অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের (Recheck) অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

ভূমিকাঃ- জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যায়নরত ডিগ্রি, অনার্স, প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স, মাস্টার্স যারা মনে করেন পরীক্ষা ভালো হওয়ার পরও তাদের রেজাল্ট হয়েছে অনেকের সব বিষয়ে পাশ আসলেও এক বিষয়ে ফেল করেছেন তারা তাদের ফলাফলে অসুন্তষ্ট সে সকল শিক্ষার্থীরা তাদের খাতা পুনঃরায় (রিচেক করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

খাতা পুনঃনিরীক্ষণের (Recheck) অনলাইন আবেদন


আবেদনের নিয়ামাবলি-

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি রেজাল্ট প্রকাশের পর পুনরায় খাতা পুনঃনিরীক্ষণের নোটিশ প্রকাশ করে একটি করে নোটিশ দিয়ে থাকে। তখনই আপনারা আপনাদের রেজাল্টে অসন্তুষ্ট হলে নির্ধারিত সময়ে খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


আবেদন শুরুর তারিখ ও শেষ তারিখ নোটিশে উল্লেখিত থাকে।


প্রতি পত্র/বিষয় পুনঃনিরীক্ষণের ফি ৮০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে (ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স অনুযায়ী)।


আপনার নির্ধারিত ফি অনলাইন (online) এ আবেদন করে সোনালী ব্যাংকের সেবার মাধ্যমে (বিকাশ,রকেট,নগদ ব্যাংকিং) এ জমা দেওয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বা পরে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের আবেদন ফরম পূরণ করা pay slip (পে-স্লিপ) ডাউনলোড করা হলে কোন টাকা জমা সংক্রান্ত সমস্যা হলে সে বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী থাকবে না।


উদাহরণস্বরুপঃ মনে করেন নোটিশে লেখা থাকবে যেভাবে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, যারা ২০২২ ইং সালের মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং আপনাদের ইতিমধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে, যারা প্রকাশিত ফলাফলে অসুন্তষ্ট সেই সকল শিক্ষার্থীরা তাদের খাতা পুনঃরায় উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আগামী ১০/৬/২০২৫ ইং হতে ৩০/০৬/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত আনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ও ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ের মধ্য টাকা জমা দিতে পারবেন।


পে-স্লিপ (pay slip) সংগ্রহ ও টাকা জমাদান নিয়ামাবলী


খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট আবেদন লিংক Re_scrutiny.aspx উক্ত লিংক থেকে online এ আবেদন ফরম পূরণ করবেন। তারপর pay slip ডাউনলোড করে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্য টাকা জমা দিতে হবে অথবা সোনলী ব্যাংকের online payment gateway ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্ড American Express,Visa, DBBL, Nexus, Master Card অথবা সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারীরা তাদের নিজ ব্যাকিং হিসাব থেকে অনলাইন (online) এ টাকা ট্রান্সফার করে আবেদন করতে পারবেন। ফি জমাদানের সাথে সাথে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে।

টাকা জমা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য  লিংকে ক্লিক করুন তারপর আপনার রেজিষ্ট্রেশন নং দিয়ে ও পে স্লিপ নং দিয়ে চেক করুন।


নির্ধারিত সময়ের পূর্বে অথবা পরে আবেদন ফরম পূরণ করা, Pay slip ডাউনলোড করা এবং টাকা জমা দেওয়া যাবে না। ব্যাংকে প্রচলিত অন্য কোন ফরমে টাকা জমা প্রদান করা হলে এবং পরবর্তীতে কোন উদ্ভট সমস্যার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী থাকবে না।


বিঃদ্রঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন ফি অবশ্যই সোনালী সেবার মাধ্যমেই জমা দিতে হবে। ব্যাংক ফি জমা দেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর উক্ত জমা স্লিপ ও কোন কাগজপত্র কলেজে বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেণের প্রয়োজন নাই।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন আপডেট নোটিশ  পেতে ও ভর্তি বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের কে মেসেজ করতে পারেন আমাদের ফেইসবুক পেইজে fb Shikhaprotidin

টার্ম পেপার (term paper) কি? টার্ম পেপার লেখার নিয়ম অনার্স-মাস্টার্স

টার্ম পেপার (term paper) কি? টার্ম পেপার লেখার নিয়ম অনার্স-মাস্টার্স

ভূমিকাঃ- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কোর্সে টার্মপেপার মৌখিক পরীক্ষা কিংবা মাঠ কর্ম পরীক্ষার জন্য উল্লেখ রয়েছে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক পরীক্ষার্থী আছেন যারা টার্ম পেপার কিভাবে তৈরি করতে হয় তা জানেন না। তাদের জন্য আজকের এ লেখা টার্ম পেপার কিভাবে তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব।

আপনারা যদি এই পোষ্টটি মনযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করা যায় আপনারা সহজে টার্মপেপার লিখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্ কোন ধরনের সমস্যা থাকবে না। এবং সকল প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন আজকের এই টার্মপেপার বিষয় আলোচনার মাধ্যমে।  
টার্ম পেপার (term paper) কি? টার্ম পেপার লেখার নিয়ম অনার্স-মাস্টার্স




টার্মপেপার কি?

টার্ম পেপার হলো বিশ্লেষকমূলক রচনা/ গবেষণামূলক কাজ যা, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বইয়ের সামঞ্জস্য রেখে একটি শিরোনামে তৈরি করতে হয়। যা একটি বিষয়ের শিরোনামের উপর বিশ্লেষণধর্মী ও গবেষণামূলক একটি প্রবন্ধ। যাকে একাডেমিক ভাষায় টার্মপেপার বলে। ২০১৩-১৪ সেশন হতে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের মাস্টার্স এ টার্ম পেপার এ্যাড করা হয়। টার্মপেপার মূলত কলা অনুষদ, ব্যবসা অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের জন্য ৫০ নম্বরের একটি বিশেষ কর্ম।

টার্মপেপার কিভাবে তৈরী করতে হয়

 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অনার্স ও মাস্টার্স শেষ পর্ব (নিয়মিত) শিক্ষার্থীদের টার্ম পেপার (Term Paper) তৈরি করতে হয়। টার্ম পেপার যেহেতু একাডেমিক পেপার তাই এটি লেখার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা ফলো করতে হয়। আপনারা যারা টার্ম পেপার তৈরি করতে পারেন না তারা আমার দেখানো এই নিচের নীতিমালা গুলো ফলো করে আপনার টার্ম পেপারটি তৈরি করে নিতে পারেন।

টার্ম পেপার তৈরীর নীতিমালাঃ

  • খুব আকর্ষণীয় কভার পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • আপনার টার্মপেপার টিতে কমপক্ষে ৩০০০-৩৫০০ ওয়ার্ড থাকতে হবে।
  • একটি আদর্শ টার্মপেপারে  অবশ্যই ২৫-৩০ পেইজ লিখতে হবে তবে কমপক্ষে ২৫ পেইজ লিখতেই হয়।
  • টার্মপেপার অবশ্যই সাদা কাগজ এ ফোর (A4) সাইজের হবে নরমাল কোন দিস্তা খাতায় লিখলে হবে না।
  • এ ফোর (A4) সাইজের কাগজের একপাশে লিখবেন (দুইপাশে লেখা যাবেনা) এক সাইডে লিখবেন অন্য সাইট খালি থাকবে। 
  • বিভিন্ন কলেজ অনুযায়ী টার্মপেপার তৈরিকরণ ২ ধরণের হয় যেমন কোন কলেজে সরাসরি হাতে লেখা আবার কোন কলেজে কম্পিউটার কম্পোজ এ লিখে জমা দিতে হয়। এজন্য টার্মপেপার লেখার আগে শিক্ষকের পরামর্শ নিতে হয়। তবে হাতে লেখাটায় সবচেয়ে ভালো। 
  • সম্পূর্ণ টার্ম পেপারটি পরিষ্কার ও পরিমার্জিত রাখার চেষ্টা করবেন । পেইজে ১** ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা রাখবেন বা মারজিন দিবেন অযথা কোন ডিজাইন না করাই ভালো।
  • সম্পূর্ণ টার্ম পেপারটি অবশ্যই কালো কালির বল পয়েন্ট ব্যবহার করবেন। পয়েন্ট হাইলাইট করতে সবুজ কালি/ পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন।

টার্ম পেপারে যা যা লিখতে হবেঃ

টার্মপেপার কিভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে আমরা উপরের আলোচনায় জেনেছি এখন আমরা জানবো একটি আদর্শ টার্মপেপারে কী কী লিখতে হয় সে বিষয়ে- 
  • বাংলা ও ইংরেজি সংমিশ্রণ করে লেখা যাবেনা। সুন্দর করে বাংলায় লিখতে হবে ।
  • টার্মপেপারের ঘোষণাপত্র/লেখকের কথা থাকতে হবে।
  • তত্ত্বাবধায়কের কথা/প্রত্যয়ন পত্র থাকতে হবে।
  • কৃতজ্ঞতা স্বীকার থাকবে।
  • সারসংক্ষেপ লেখা থাকবে।
  • একটি আদর্শ টার্ম পেপারে অবশ্যই সুন্দর একটি সাজানো সূচিপত্র থাকবে । প্রতিটি শিরোনামের এর উপর (১০-১৫ টা) পয়েন্টে আলোচনা বিস্তারিত  থাকবে ।  ২৫-৩০ পেইজে (সর্বনিম্ন ২৫ পেইজ) মধ্যে লিখতে হবে যা ৩০০০ শব্দের মত হবে ।
  • উপসংহার লিখতে হবে।
  • সর্বশেষ গ্রন্থপুঞ্জি/রেফারেন্স/তথ্যসূত্র একটা পেইজ লিখতে হবে।
তবে সকলের মনে রাখতে হবে যে, টার্মপেপার কারও থেকে কপি করে লেখা উচিত নয়। নিজের সৃজনশীলতা আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেই আপনার গাইড,বই, নিউজ পেপার, পত্রিকা ও ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তৈরী করতে হবে। ফলে আপনার অনেক কিছু শেখা ও জানা হয়ে যাবে।

টার্মপেপারের কভার পেইজে কি কি লিখতে হবেঃ 

কভারপেইজে যা যা লিখতে হবে-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/নিজ কলেজের নাম ঠিকানা

জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়/কলেজের লোগো
বিষয়/শিরোনামঃ আপনার যে বিষয়ে টার্মপেপার লিখতে বলা হয়েছে সেটায় বিষয়/শিরোনাম এর স্থানে লিখতে হবে।
(উদাহরণস্বরুপঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতি কী ও তার ঐতিহাসিক বিবর্তন তত্ত্ব আলোচনা কর)
তত্তাবধায়কঃ

তত্তাবধায়ক/শিক্ষকের নাম (যিনি আপনাকে টার্মপেপার করার জন্য বলেছেন)
তত্তাবধায়ক/ শিক্ষকের পদবী
কলেজের নাম
উপস্থাপনায়

শিক্ষার্থীর নামঃ আপনার নিজের নাম
মাস্টার্স শেষ পর্ব (আপনি আপনার অধ্যয়নরত অবস্থা যেটা সেটা লিখবেন অনার্স/মাস্টার্স)
শ্রেণী রোল নং-........................
রেজিষ্ট্রেশন নং-........................
শিক্ষাবর্ষ-................................
বিভাগের নামঃ সমাজবিজ্ঞান (আপনি যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেটা লিখবেন)
কলেজের নামঃ............................
জমাদানের তারিখঃ.......................

টার্মপেপারের ঘোষণাপত্রে যা লিখবেনঃ

আমি (আপনার নাম) ঘোষণা করছি যে, শিরোনাম/বিষয় (উদাহরণ- শিরোনামঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতির ঐতিহাসিক বিবর্তন তত্ত্ব আলোচনা কর) শীর্ষক টার্মপেপারটি সম্পূর্ণরুপে আমার নিজস্ব, একক ও মৌলিক গবেষণা কর্ম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী মাস্টার্স শেষ বর্ষের (আপনি যেটায় অধ্যয়নরত) জন্য দাখিলকৃত এছাড়া এই টার্মপেপারেটি অন্য কোন প্রকাশনার জন্য উপস্থাপন করি নাই।
শিক্ষার্থীর নামঃ আপনার নিজের নাম
মাস্টার্স শেষ বর্ষ (আপনি যেটায় অধ্যয়নরত)
ক্লাস রোলঃ...........................................
শিক্ষাবর্ষঃ..............................................
বিভাগঃ সমাজবিজ্ঞান (আপনি যে বিষয়ে পড়েন)
কলেজের নামঃ......................................

প্রত্যয়নপত্রে যা লিখবেনঃ-

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্তির লক্ষ্যে (কলেজের নাম) (বিভাগের/ডিপারমেন্ট নাম) এর দাখিলকৃত শিরোনাম (উদাহরণঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতির ঐতিহাসিক বিবর্তন তত্ত্ব আলোচনা কর) এই টার্ম পেপারটি আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে লিখিত/ সম্পাদন করা হয়েছে । আমি এই টার্ম পেপারটি পাঠ করেছি ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের উদ্দেশ্য উস্তাপন করতে অনুমোদন করেছি।
উপস্থাপক/শিক্ষকের নামঃ..........................
পদবীঃ..................................................
বিভাগের নামঃ..........................................
কলেজের নামঃ.........................................

কৃতজ্ঞতা স্বীকারে যা লিখবেনঃ-

সর্বপ্রথম, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পরম করুণাম সৃষ্টিকর্তার নিকট  যিনি আমাকে এ গবেষণা কর্মটি সম্পন্ন করার জন্য ধৈয্য ও শক্তি দিয়েছেন। আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার (নিজ ডিপার্টমেন্ট নাম) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের (শিক্ষকের নাম/ যিনি তত্তাবধায়ক) আমাকে এই গবেষনা কর্মটি সম্পন্ন করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রদান করেছেন। আমি বিশ্বাস করি তত্বাবধায়ক স্যারের দিকনির্দেশনা আমার টার্মপেপার কর্মটি সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যারকে আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য। আমি স্যারের সর্বময় মঙ্গল কামনা করছি।
শিক্ষার্থীর নামঃ আপনার নিজের নাম
মাস্টার্স শেষ বর্ষ (আপনি যেটায় অধ্যয়নরত)
ক্লাস রোলঃ...........................................
শিক্ষাবর্ষঃ..............................................
বিভাগঃ সমাজবিজ্ঞান (আপনি যে বিষয়ে পড়েন)
কলেজের নামঃ......................................

সারসংক্ষেপে যা লিখবেনঃ-

সারসংক্ষেপ বলতে আমরা বুঝি সংক্ষিপ্ত বিবরণকে।  এই অংশে আপনার টার্মপেপারের পুরো বিষটির একটি সারসংক্ষেপ লিখতে হবে । অর্থাৎ আপনার সম্পূর্ন টার্মপেপারটির সারসংক্ষেপ তুলে ধরতে হবে, যেন আপনার সুপারভাইজার/তত্ত্বধায়ক খুব সহজেই পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন আপনি কোন বিষয়ের উপর আপনার টার্মপেপারটি সম্পর্ণ করেছেন। এতে আপনার পুরো প্রবন্ধটি খুব সহজেই একটি ধারণা পাওয়া যাবে।

সূচিপত্র লেখার নিয়মঃ-

সূচিপত্রে আপনি উপরে বর্ণিত সকল বিষয় এক এক পেইজ রোমান সংখ্যায় প্রকাশ করবেন।যেমন- (i, ii*, iii, iv) তারপর  ক্রমিক নং ১, ২, ৩, ৪ এভাবে *ভূমিকা* পেইজ হতে শুরু করে *উপসংহার* পযন্ত এবং সর্বশেষ পেইজে *তথ্যসূত্র* লিখে ও তার পেইজ নাম্বার সূচিপত্রে ক্রমিকভাবে সাজাতে হবে।

গ্রন্থপুঞ্জি/ তথ্যসূত্র লেখার নিয়মঃ- 

টার্মপেপারে বর্ণিত সকল তথ্য আপনি কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে এ পেইজে লিখতে হবে। 

গ্রন্থাকারের নাম/ লেখকের নাম (লেখকের শেষ নাম তারপর প্রথম নাম)। উদাহরণ- হোসইন মুহাম্মদ 

গ্রন্থের শিরোনাম (সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকার)। ঢাকাঃ দিকদর্শন প্রকাশনী, ২০২১, ৫৬।

আপনার বইয়ের শেষে গ্রন্থপুঞ্জি পেয়ে যাবেন যেখান থেকে নিয়ম দেখতে পারেন এছাড়া শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারেন কিভাবে গ্রন্থপুঞ্জি লিখবেন।