Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কী? খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণসমূহ

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও এর মূল কারণসমূহ

ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা (Food Insecurity) একটি মারাত্মক সামাজিক ও মানবিক সংকট। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মানুষ প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে এই সমস্যার ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। খাদ্যের অভাব শুধু পেটের ক্ষুধা নয়, বরং মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মক্ষমতা এবং সামগ্রিক জীবনমানের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও এর মূল কারণসমূহ

এই ব্লগ পোস্টে আমরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংজ্ঞা, প্রধান কারণ এবং এর প্রেক্ষিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করব।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কী?

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মানে এমন এক অবস্থা, যেখানে মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিয়মিতভাবে পাচ্ছে না। এটি সাময়িক হতে পারে (যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর), আবার দীর্ঘমেয়াদীও হতে পারে (যেমন চরম দারিদ্র্য বা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে)। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শুধু খালি পেট নয়, বরং অপুষ্টি, রোগপ্রবণতা ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা সৃষ্টি করে।


খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণসমূহ:-

১. দারিদ্র্য: দারিদ্র্য হলো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সবচেয়ে বড় কারণ। দরিদ্র জনগোষ্ঠী বাজারে খাদ্যদ্রব্যের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে তারা প্রয়োজনীয় ক্যালরি ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।

২. দুর্ভিক্ষ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, খরা, সাইক্লোন প্রভৃতি ক্ষেত্রবিশেষে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করে। ফলে ঘটে খাদ্যের সংকট, যা দুর্ভিক্ষের জন্ম দেয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে খাদ্যহীন করে তোলে।

৩. অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি: বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি খাদ্য চাহিদা বাড়িয়ে তোলে। কৃষিজমি হ্রাস পাওয়া ও খাদ্য উৎপাদনের সীমাবদ্ধতার ফলে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য থাকে না।

৪. পারিবারিক অবস্থান: নারী-পুরুষ বৈষম্য, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব, এবং পরিবারের আয়ের উৎসের অস্থিরতা অনেক সময় পরিবারের খাদ্য প্রাপ্তি নির্ভর করে। দরিদ্র পরিবারে শিশু ও নারীরা প্রায়শই অপুষ্টির শিকার হয়।

৫. শিল্পায়ন ও নগরায়ন: অতিরিক্ত শিল্পায়ন ও নগরায়ন কৃষিজমিকে নষ্ট করছে। জমির ব্যবহার কৃষি থেকে শিল্পে চলে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। একইসাথে, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনও কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

৬. খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থার দুর্বলতা: অনেক সময় দেশে খাদ্য উৎপাদন ভালো হলেও যথাযথ সংরক্ষণ সুবিধা না থাকায় তা নষ্ট হয়। দুর্বল বিতরণ ব্যবস্থার কারণে খাদ্য সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে পৌঁছায় না।

৭. রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধ: রাজনৈতিক অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ সংঘাত বা যুদ্ধ পরিস্থিতি খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, বিশেষ করে শরণার্থী বা যুদ্ধাক্রান্ত অঞ্চলে।

৮. কৃষিতে প্রযুক্তির অভাব: প্রযুক্তির ঘাটতির কারণে অনেক কৃষক আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করতে পারে না। এতে উৎপাদন কমে যায় এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ে।

উপসংহার: খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা শুধুমাত্র একটি মানবিক সংকট নয়, এটি একটি জাতীয় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যার সমাধানে দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও একযোগে কাজ করতে হবে। সবার জন্য নিরাপদ ও পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করা না গেলে, টেকসই উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের (Recheck) অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

👉জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের (Recheck) অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া

ভূমিকাঃ- জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যায়নরত ডিগ্রি, অনার্স, প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স, মাস্টার্স যারা মনে করেন পরীক্ষা ভালো হওয়ার পরও তাদের রেজাল্ট হয়েছে অনেকের সব বিষয়ে পাশ আসলেও এক বিষয়ে ফেল করেছেন তারা তাদের ফলাফলে অসুন্তষ্ট সে সকল শিক্ষার্থীরা তাদের খাতা পুনঃরায় (রিচেক করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

খাতা পুনঃনিরীক্ষণের (Recheck) অনলাইন আবেদন


আবেদনের নিয়ামাবলি-

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি রেজাল্ট প্রকাশের পর পুনরায় খাতা পুনঃনিরীক্ষণের নোটিশ প্রকাশ করে একটি করে নোটিশ দিয়ে থাকে। তখনই আপনারা আপনাদের রেজাল্টে অসন্তুষ্ট হলে নির্ধারিত সময়ে খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


আবেদন শুরুর তারিখ ও শেষ তারিখ নোটিশে উল্লেখিত থাকে।


প্রতি পত্র/বিষয় পুনঃনিরীক্ষণের ফি ৮০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে (ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স অনুযায়ী)।


আপনার নির্ধারিত ফি অনলাইন (online) এ আবেদন করে সোনালী ব্যাংকের সেবার মাধ্যমে (বিকাশ,রকেট,নগদ ব্যাংকিং) এ জমা দেওয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বা পরে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের আবেদন ফরম পূরণ করা pay slip (পে-স্লিপ) ডাউনলোড করা হলে কোন টাকা জমা সংক্রান্ত সমস্যা হলে সে বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী থাকবে না।


উদাহরণস্বরুপঃ মনে করেন নোটিশে লেখা থাকবে যেভাবে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, যারা ২০২২ ইং সালের মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং আপনাদের ইতিমধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে, যারা প্রকাশিত ফলাফলে অসুন্তষ্ট সেই সকল শিক্ষার্থীরা তাদের খাতা পুনঃরায় উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আগামী ১০/৬/২০২৫ ইং হতে ৩০/০৬/২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত আনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ও ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ের মধ্য টাকা জমা দিতে পারবেন।


পে-স্লিপ (pay slip) সংগ্রহ ও টাকা জমাদান নিয়ামাবলী


খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট আবেদন লিংক http://103.113.200.36/PAMS/ICTUnit/Re_scrutiny.aspx উক্ত লিংক থেকে online এ আবেদন ফরম পূরণ করবেন। তারপর pay slip ডাউনলোড করে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্য টাকা জমা দিতে হবে অথবা সোনলী ব্যাংকের online payment gateway ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্ড American Express,Visa, DBBL, Nexus, Master Card অথবা সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারীরা তাদের নিজ ব্যাকিং হিসাব থেকে অনলাইন (online) এ টাকা ট্রান্সফার করে আবেদন করতে পারবেন। ফি জমাদানের সাথে সাথে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে।

টাকা জমা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য  লিংকে ক্লিক করুন তারপর আপনার রেজিষ্ট্রেশন নং দিয়ে ও পে স্লিপ নং দিয়ে চেক করুন।


নির্ধারিত সময়ের পূর্বে অথবা পরে আবেদন ফরম পূরণ করা, Pay slip ডাউনলোড করা এবং টাকা জমা দেওয়া যাবে না। ব্যাংকে প্রচলিত অন্য কোন ফরমে টাকা জমা প্রদান করা হলে এবং পরবর্তীতে কোন উদ্ভট সমস্যার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দায়ী থাকবে না।


বিঃদ্রঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন ফি অবশ্যই সোনালী সেবার মাধ্যমেই জমা দিতে হবে। ব্যাংক ফি জমা দেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর উক্ত জমা স্লিপ ও কোন কাগজপত্র কলেজে বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেণের প্রয়োজন নাই।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন আপডেট নোটিশ  পেতে ও ভর্তি বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের কে মেসেজ করতে পারেন আমাদের ফেইসবুক পেইজে fb Shikhaprotidin