Posts

Showing posts from February, 2025

গ্রামীণ সমাজে নেতৃত্বের ভূমিকা আলোচনা কর।

  গ্রামীণ সমাজে নেতৃত্বের ভূমিকা আলোচনা কর। নেতৃত্ব হলো সমাজব্যবস্থার একটি ঢালস্বরুপ। কারণ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমাজকে সবসময় এগিয়ে নেওয়া হয়। নিম্নে গ্রামীণ সমাজে নেতৃত্বের ভূমিকা আলোচনা করা হলো। ১। সমাজের অগ্রগতিতে অবদানঃ নেতৃত্ব হলো সমাজের প্রাণ। কারণ, সমাজব্যবস্থায় সর্বদা নেতৃত্ব ঢাল হিসেবে কাজ করে। সমাজের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য একজন নেতা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকেন। কারণ, নেতা সবসময় সমাজকে ভালোর পথে কিভাবে নিতে হয় সে কথা মাথায় রেকে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ২। সরকারি নীতি বাস্তবায়নেঃ একটি দেশের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য যেমন নেতা প্রয়োজন তেমনি সকল ধরনের কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য নেতার প্রয়োজন। নেতা ছাড়া কখনো কোন কাজ সফলতার সাথে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। যেমন- সরকারি কোন উন্নয়নমূলক কাজ মেম্বার চেয়ারম্যান দ্বারা সম্পাদন করা হয় যা গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করে। ৩। আধুনিকায়নেঃ বর্তমান সমাজের বৈশিষ্ট্য হলো আধুনিকায়ন। কারন, আধুনিকায়ন হলো এমন এক বিষয় যা সমাজব্যবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের গ্রামীণ সমাজ আগে যেমন ছিলো এখন তার চেয়ে অনেক ভিন্ন, আগে গ্রামীণ...

নারীর ক্ষমতায়ন কী?

  নারীর ক্ষমতায়ন কী? নারী ও পুরুষ নিয়ে মানবসমাজ গঠিত। সমাজ তথা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নয়নের সাথে নারী ও পুরুষ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পৃথিবীর প্রায় সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রায় অর্থেক নারী তাই একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র‌্যতা হ্রাসের লক্ষ্যে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার  বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর পুরুষের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন নারী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য। নারীর ক্ষমতায়নঃ নারীর ক্ষমতায়ন মূলত একটি বহু রৈখিক ধারণা। সাধারণভাবে বলা যায়, নারীর ক্ষমতায়ন হলো নারীর সেই অর্জিত অধিকার যার মাধ্যমে নারী তার পারিপাশ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেএবং সে সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে পারবে নিজের চারপাশ বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারবে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন নিম্নে তা তুলে ধরা হলো- নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে জাতিসংঘ বলেন “নারী ক্ষমতায়ন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নারী কল্যাণে সমতা এবং সম্পদ আহরণের সমান সুযোগ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে এবং নারী পুরুষের সমান সুযো...

আধুনিকীকরণ তত্ত্ব কি?

 প্রশ্নঃ আধুনিকীকরণ তত্ত্ব কি? ভূমিকাঃ ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চার দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আধুনিকীকরণ তত্ত্বটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণে আধুনিকীকরণ তত্ত্বটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক সমাজতন্ত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এই তত্ত্বটি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করে। সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তির সাথে সাথেই এ তত্ত্বটি বিকাশ লাভ করেছে। বর্তমান সামাজিক চিন্তার ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অনেক। তাছাড়া সামাজিক বিষয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকীকরনের প্রভাব স্পষ্ট। আধুনিকীকরণ (modernization): আধুনিকীকরণের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে  Modernization.  যা ল্যাটিন শব্দ  Moderns  থেকে এসেছে। ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে সমসাময়িক সাহিত্যকে ধ্রুপদী সাহিত্য থেকে পৃথক করার জন্য শব্দটির ব্যবহার করা হতো। মূলত সাহিত্য স্থাপত্য ও ফ্যাশনে নতুন কোনো ধারণাকে বুঝতে শব্দটির ব্যবহার পাওয়া যায়। অনেক সমাজতাত্ত্বিক মনে করেন ১৯৪৯ সালে অনুন্নত  বিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে প্রথম যে তত্ত্ব বিশ্ব গড়ে উঠে তা আধুনিকীকরণ নামে পরিচিত। তাই অ...

সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরণসমূহ বিবরণ দাও।

 প্রশ্নঃ সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরণসমূহ বিবরণ দাও। বাংলাদেশের সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরণসমূহ একটু আলাদা। নিম্নে বাংলাদেশের ধরণসমূহ আলোচনা করা হলো- ১। দাস প্রথা ২। এস্টেট প্রথা ৩। জাতিবর্ণ প্রথা ৪। সামাজিক শ্রেণী ও মর্যাদা গোষ্ঠী। ১। দাসপ্রথাঃ দাসপ্রথা হলো আদীমকালের পরবর্তী প্রথা। দাস প্রথা প্রথম গ্রীক সভ্যতায় দেখা যায়। কারণ, ইউরোপে অনেক আগে থেকে রাজা বাদশাদের কাজকর্ম সম্পাদন ও যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য দাসপ্রথা চালু ছিল। কারণ, দাসপ্রথার কারণে আমাদের দেশের ব্রিটিশ শাসকেরা নীল চাষের জন্য বাধ্য করত। তাই দাস প্রথা তখন ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।তাছাড়া গৃহস্থালীর কাজ সম্পাদন করার জন্য দাসপ্রথা বেশ জনপ্রিয় ছিলো।  দাসপ্রথায় ছিলো Slave master ও salve. দাসরা সর্বদা দাস মালিকের আনুগত্য প্রকাশ করত। কারণ তারা ছিলো মালিকের পুতুল তারা সর্বদা মালিকের সকল কাজের নির্দেশ মেনে চলত। তাই দাস প্রথা ছিলো তখনকার যুগে এক বর্বর প্রথা, কারন দাসদের কোন সামাজিক মর্যাদা ছিলো না। ২। এস্টেট প্রথাঃ ইউরোপের সমাজ জীবনে এস্টেট প্রথা দেখা যায়।কারণ ইউরোপে এস্টেট প্রথা ছিল একটি ধর্মীয় প্রথা।কারণ, ইউরোপে...

কাম্য জনসংখ্যা কি? কাম্য জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য লেখ

 কাম্য জনসংখ্যা কি? কাম্য জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য লেখ একটি দেশ বা রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে কয়টি উপাদানের প্রয়োজন তার মধ্য কাম্য জনসংখ্যা অন্যতম উপাদান। কারণ জনসংখ্যা ছাড়া কোন রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না আবার অধিক জনসংখ্যা একটি দেশের উন্নতির অন্তরায়। কাম্য জনসংখ্যা বলতে বুঝায় সম্পদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস। কাম্য জনসংখ্যাঃ অধ্যাপক হিকস এর মতে, ''কাম্য জনসংখ্যা হলো এমন এক জনসংখ্যার স্তর যে স্তরে জনসংখ্যার মাথাপিছু উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।'' অধ্যাপক রবিন্স বলেন-"কাম্য জনসংখ্যা হলো এমন এক জনসংখ্যার স্তর যেখানে সর্বোচ্চ উৎপন্ন ও প্রতিদান সৃষ্টি হয়।'' অধ্যাপক ডাল্টন এর মতে ''এ হচ্ছে তাই যা মাধাপিছু আয়কে সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত করে।'' কে. ই. বল্ডিং এর সংজ্ঞানুযায়ী ''কাম্য জনসংখ্যা হলো সেই পরিমাণ জনসংখ্যা যার দ্বারা জীবনযাত্রার মান সর্বোচ্চ হয়ে থাকে।'' পরিশেষে বলা যায়, জনসংখ্যা যেমন একটি দেশের জন্য অপরীহার্য তেমনি অতিরিক্ত জনসংখ্যা একটি দেশের কাঙ্খিত উন্নতির পথে অন্তরায়। তাই সম্পদের আলোকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হ্রাসই হলো কাম্য জনসংখ্য...

আদিবাসী কাকে বলে? নরগোষ্ঠী বলতে কি বুঝায়?

আদিবাসী কাকে বলে? বাংলাদেশ আয়তনে ছোট একটি দেশ। কিন্তু ছোট হওয়া সত্ত্বেও এখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে। বাংলাদেশের মোট আধিবাসী হলো আদিকাল থেকে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী। যাদের স্বকীয় ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি ও পোশাক পরিচ্ছদ সব কিছুকে আঁকড়ে ধরে আধুনিকতার স্পর্শ ব্যতীত আনাগোনা করে থাকে তাদেরকেই আদিবাসী বলে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ  বিভিন্ন চিন্তাবিদ আদিবাসী সম্পর্কে বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে ‍তাদের কয়েকটি সংজ্ঞা প্রদান করা হলো- রামকান্ত সিংহ বলেন আদিবাসী অর্থে তাদেরকে আখ্যায়িত করা হয় যারা সমাজ অভ্যন্তরে ও বাহিরে চলাফেরায় স্বকীয় অতিত, ঐতিহ্য, পোশাক, ভাষা ও সাংস্কৃতি সবকিছু আকড়ে ধরে আনাগোনা করে।  উপসংহারঃ শেষে বলা যায় যে, আদিকাল থেকে কোনো অঞ্চলে বসবাসকারী প্রথম জনগোষ্ঠীই হলো  আদিবাসী । আদিবাসীরা নিজেদের অতীত ঐতিহ্য, ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পোশাক পরিচ্ছদ সবকিছুকে আকড়ে ধরে রাখে। তারা তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা বজায় রাখে।বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি প্রর্তি আদিবাসীদের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। নরগোষ্ঠী বলতে ...

বিবর্তন বলতে কি বুঝ? হার্বার্ট স্পেন্সারের সামাজিক বিবর্তন তত্ত্ব

বিবর্তন বলতে কি বুঝ?  হার্বার্ট স্পেন্সারের সামাজিক বিবর্তন তত্ত্ব ভূমিকাঃ  সমাজ স্বাভাবিকভাবেই একটা  ‘super-organic system’ যা কতকগুলি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তির জীবন ধারনের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরী করে। এছাড়া সমাজ কতকগুলি সুশৃঙ্খল কর্মকান্ডের মাধ্যমে পরিবেশের সাথে সংগ্রামে লিপ্ত, সেখানে হয় সে টিকে থাকে নয়তো তার ভাঙন ঘটে, এভাবেই সমাজ এগিয়ে চলে বিবর্তনের পথে। বিবর্তনঃ  হার্বার্ট স্পেন্সার ১৮২০ সালে  ইংল্যান্ডের ডার্বি নগরে জম্মগ্রহণ করেন। উনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে নতুন ধারণা প্রবর্তিত হয়, ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশিত হয় অনেক বক্তব্য।  তাত্ত্বিকদের চিন্তা হয়ে উঠে পার্থিব। বিবর্তন বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজম্ম থেকে প্রজম্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর ক্রমপরিবরতনকে বোঝায়। তখন এ বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হয় যে, মানুষ বিশেষ ধারায় বিবর্তনের মাধ্যমে এই বর্তমানে এসে পৌছেছে।  H. Spencer তাঁর প্রখ্যাত ‘Social Statics’ গ্রন্থে সামাজিক বিবর্তনের উপর নতুন দর্শন প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন বিবর্তন হচ্ছে সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা ...

সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি কি?

 সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি কি? অদধুনিক যান্ত্রিক সুবিধার ফলে বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসারের ফলে সংস্কৃতি দিন দিন চারদিকে প্রসারিত হচ্ছে। আর সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি মানে হলো সংস্কৃতির সম্প্রসারণ। সংস্কৃতির সম্প্রসারণ সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে সমাজের ভারসাম্য ও সামাজিক গতিকে ত্বরান্বিত করা। এক সমাজের সংস্কৃতি অন্য সমাজে অনুপ্রবেশ করে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি ঘটায়। সাংষ্কৃতিক ব্যাপ্তিঃ সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রদানে বলা যায় যে যখন এক সমাজ থেকে সংস্কৃতিক উপাদান অন্য সমাজে প্রবেশ করে সে সংস্কৃতির সাথে মিশে যায় তাকে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বলে। অন্যভাবে বলা যায়, এক সমাজের সাংস্কৃতিক উপাদান যদি অন্য সমাজের সাংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে তাই সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি সম্পর্কে Kroeber Antropology গ্রন্থে বলেন- ''নতুন সংস্কৃতি হস্তান্তরিত হয় ভৌগলিকভাবে বা কাল পরস্পরায় নির্দিষ্ট সময়ের পরিসরে অথবা সম্পর্কের ভিত্তিতে সংক্রামিত হয়।'' Prof. Dr. Habibur Rahman এর মতে ''উন্নত সমাজের বিভিন্ন উপাদান যেমন- ভাষা, পোশাক, আসবাবপত্র, তৈজসপত্র প্রভৃতি অন্য...

রাজনৈতিক যোগাযোগ কী?

 রাজনৈতিক যোগাযোগ কী? প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিলক্ষিত । এই বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবসথার বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগ, রাজনৈতিক যোগাযোগ, অর্থনৈতিক যোগাযোগ, বৈজ্ঞানিক যোগাযোগ ইত্যাদি। এ ধরনের সকল যোগাযোগই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যোগাযোগ আমাদেরকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। যেকোন প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি হলো সে প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ছাড়া যেমন কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না তেমনি যোগাযোগ ছাড়া কোন রাজনীতিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাই রাজনৈতিক দলের সুষ্ঠু কাজ কাজ করার জন্য রাজনৈতিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক যোগাযোগঃ রাজনৈতিক যোগাযোগ এমন একটি গতিশীল প্রক্রিয়া যাতে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন বিষয় পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। অন্যভাবে বলা যায় যে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ, স্বার্থ জ্ঞাপন, স্বার্থ সমষ্টিকরণ, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি কাজ রাজনৈতিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক যোগাযোগের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্...

নগর পরিকল্পনা কী?

Image
প্রশ্নঃ নগর পরিকল্পনা কী? পরিকল্পনা শব্দটি বহুল বিস্তৃত ও ব্যাপক অর্থবোধক। ব্যক্তি সমাজ, রাষ্ট্র তথ আন্তর্জাতিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ব্যাপকতা লক্ষণীয়। পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে করা বা হওয়া কোনটাই সম্ভব নই। নগরে অল্প এলাকায় অধিক মানুষের বসবাস। নগরের এ স্বল্প এলাকায় সুস্থ ও সুন্দর যীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন নগর পরিকল্পনা। নগর পরিকল্পনাঃনগরপরিকল্পনা বলতে সাধারণত নগর বা শহরের কাঠামোগত পরিকল্পনাকে বোঝায়। অন্যভাবে বলতে পারি যে, যে সকল পরিকল্পনার দ্বারা কোন শহর বা নগরকল্পিত উপায়ে গড়ে উঠে তাকে নগরপরিকল্পনা বলে। উদাহরণস্বরুপ আমরা হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর কথা বলতে পারি যা পরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছিল। বিভিন্ন সভ্যতায় নগরের একটা নীল নকশা পূর্ব হতে প্রতিষ্ঠিত ছিলো। এ নকশা অনুযায়ী নগরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নির্ধারিত হয়। ১৯৬০ সালে মাঝামাঝি নগর পরিকল্পনা একটি বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য নতুন পেশা হিসেবে গুরুত্ব পায়। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও নগরপরিকল্পনাবিদ তাদের দৃষ্টিকোণ হতে নগর পরিকল্পনাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাদের কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা...

রাজনৈতিক সংস্কৃতি কী?

রাজনৈতিক সংস্কৃতি কী? রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্য প্রত্যয়গুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় বিষয় হলো রাজনীতি।সমসাময়িক সময়ে এ রাজনীতি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারণাটি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। কেননা কোন রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা জরুরি। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন  রাজনীতি ব্যবস্থাকে তুলনামূলকভাবে অলোচনার জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি ব্যবহার করা হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতিঃ রাজনৈতিক সংস্কৃতি সাধারণত সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিকরুপ। রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রকৃতি ও স্বাতন্ত্র‌্যবোধের কারণে রাজনৈতিক কৃষ্টি সাধারণ কৃষ্টি হতে আলাদা। রাজনৈতিক সংস্কৃতি রাজনীতিকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি কথাটির দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে কতিপয় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বুঝায়। এতএব বলা যায় রাজনৈতিক সংস্কৃতি হলো সাধারণ সংস্কৃতির সেই অংশ যা রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের বিশ্বাস, অনুভূতি, আদর্শ ও মূল্যেবোধ সম্পর্কে জ্ঞান দান করে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনীতিবীদ রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিভিন্ন সংজ্ঞা...

ভদ্রবেশি অপরাধ কি?

 ভদ্রবেশি অপরাধ কি? মানব আচরণের গতিশীল বিষয় হলো অপরাধ। সমাজবিজ্ঞানে অপরাধ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। মানুষ স্বভাবতই অপরাধপ্রবণ হয়ে থাকে। সমাজভেদে অপরাধ ভিন্ন ভিন্ন হয়। সমাজে যতধরনের অপরাধ রয়েছে তার মধ্যে ভদ্রবেশি অপরাধ অন্যতম। সমাজে এক শ্রেণির লোক রয়েছে যারা প্রতিষ্ঠিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠিত লোকেরা আইন পরিপন্থি যে কাজ করে তা ভদ্রবেশি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের অপরাধ সমাজবাসীর চোঁখে পড়ে না।অপরাধীরা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও পোশাক খাটিয়ে অপরাধ করে।  ভদ্রবেশি অপরাধঃ সমাজের উচ্চ আর্থ সামাজিক সদস্যরা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও পোশককে কাজে লাগিয়ে আইন পরিপন্থি যে কাজ করে তাই ভদ্রবেশি অপরাধ। ভদ্রবেশি অপরাধকে Upper World Crime ও বলা হয়। Frank Hartung এর মতে ''ব্যবসা ক্ষেত্রে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্য এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা তার গোপন প্রতিনিধিদের দ্বারা সংঘঠিত বাণিজ্যিক অপরাধ।'' Criminologist sir Walther Reckless ভদ্রবেশি অপরাধ সম্পর্কে বলেন ''ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে তাদের অপরাধসমূহকে মূলত White colour crime...

পরিবার কী? (what is Family?)

পরিবার কী?  (what is Family?) সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পরিবার। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ জম্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিবারে বসবাস করে। পরিবারে অবস্থান করেই মানুষ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে ও নানাবিধ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। মানুষ নানাবিধ প্রয়োজন পূরণের মধ্য দিয়ে আদিমকাল থেকে পরিবার গঠন করে আসছে। আদিম যুগ হতে পরিবারই সভ্যতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পরিবারঃ  মানব সভ্যতার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে পরিবার। সাধারণ অর্থে পরিবার বলতে বোঝায় এমন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান যা সমাজস্বীকৃত যেখানে নারী-পুরুষ বিবাহের ভিত্তিতে একত্রে বসবাসের স্বীকৃতি পায় ও সন্তান উৎপাদন এবং লালন পালন করে থাকে। শাব্দিক অর্থেঃ  পরিবারের ইংরেজি প্রতিশব্দ Family. রোমান শব্দ Famulus থেকেই ইংরেজি Family শব্দের উৎপত্তি হয়েছে যার বাংলা অর্থ পরিবার। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ পরিবারকে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাদের প্রদত্ত কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো- অধ্যাপক অর্গবান  তাদের  A Hardbook of Sociology   গ্রন্থে বলেন-“পরিবার হলো মোটামুটি একত্রে  স...

বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যাসমূহ আলোচনা কর।

 প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যাগুলো কি কি তা তুলে ধর। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ । এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। কৃষির সাথে এ দেমের মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক। তবে আমাদের দেশে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও রয়েছে । যা আমাদের অর্থসামাজিক উন্নতিকে আরো বেগবান না করে দারিদ্র্যর দিকে ঠেলে দিচ্ছ। এতে সকল সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে সরকার ও জনগণ যদি এসব বিষয়ে সচেতন হয় তবে এসব সামাজিক সমস্যা দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সমূহঃ বাংলাদেশে ছোট বড় বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান। নিম্ন কয়েকটি সমস্যা আলোচনা করা হলো- ১। জনসংখ্যা বৃদ্ধিঃ যে কোন দেশের জনসংখ্যা হলো সেসকল দেশের সম্পদ।তবে জনসংখ্যা যদি বেশি হয় তখন তা অদক্ষ জনশক্তি হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যায়।আর আমাদের মানুষ গ্রামে বাস করারা কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিষয়ে তেমন সচেতনতা নেই। তাই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যা অন্যতম। ২। দারিদ্র্যঃ একটি উন্নয়নশীল দেশে দারিদ্র্য হল প্রধান সমস্যা। কারণ দারিদ্র্যতা নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্ট করে। যা একটি সমস্যা অন্য একটি সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে দারিদ্র হলো একটি উন্নয়ণশী...

রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত এঙ্গেলস এর মতবাদ

রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত এঙ্গেলস এর মতবাদ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত এঙ্গেলস মতবাদ সমাজবিজ্ঞানে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কার্ল মার্কস মারা যাবার পর এঙ্গেলসের সকল কাজগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সম্পাদন করা হয়। এঙ্গেলস এর অবদানগুলোর মধ্যে অন্যতম অবদান হলো রাষ্ট্র উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত এঙ্গেলসের তত্ত্বঃ রাষ্ট্রে উৎপত্তি সংক্রান্ত অনেক তত্ত্ব থাকলেও এঙ্গেলস একটু ভিন্নভাবে রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এঙ্গেলস মর্গানের তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে গ্রিক নগর রাষ্ট্র ও রোমান ব্যবস্থার পর্যায়ক্রমিক বিবর্তন বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ প্রকাশ করেছেন। নিম্নে রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত এঙ্গেলস মতবাদের পর্যায়গুলো আলোচনা করা হলো- ১। তত্ত্বের ভিত্তিঃ রাষ্ট্রে উৎপত্তি সংক্রান্ত তত্ত্ব নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজ হিসেবে কাজ করছে Margane Ancient Society নামক গ্রন্থটি। উক্ত বইয়ে আদিম সমাজ ও আদিম সাম্যবাদী সমাজ সম্পর্কে বলেছেন। উক্ত বইয়ে এঙ্গেলস সমাজ বিবর্তনের তিনটি স্তর বা পর্যায়ের কথা বলেছেন। মর্গানের রচনাটিকে ভিত্তি করেই এঙ্গ...

প্রপঞ্চবিদ্যা বলতে কি বুঝ? আলফ্রেড সুজ এর সংজ্ঞানুযায়ী প্রপঞ্চ বিদ্যা কী?

প্রশ্নঃ  প্রপঞ্চবিদ্যা বলতে কি বুঝ? অথবা, আলফ্রেড সুজ এর সংজ্ঞানুযায়ী প্রপঞ্চ বিদ্যা কী? ভূমিকাঃ সমাজবিজ্ঞানী হার্শেলকে বলা হয় আধুনিক প্রপঞ্চবিজ্ঞানের জনক। তার মাধ্যমে এ ধারণাটির উৎপত্তি ঘটলেও হার্শেলের বন্ধু আলফ্রেড সুজ মূলত এ প্রত্যয়টি নিয়ে কাজ করেন। প্রপঞ্চবিদ্যা অনুযায়ী কর্তার মন্ময় জগৎই প্রকৃত সামাজিক বাস্তবতা ও মানের সৃজনশীল ভূমিকা বাহ্যিক জগৎকে যেভাবে তুলে ধরেন সেটাই মানবীয় সচেতনতার স্বরুপ। প্রপঞ্চবিদ্যাঃ  আলফ্রেড সুজ (Alfred Schutz)  এর মতে ''প্রপঞ্চবিদ্যা হচ্ছে বস্তুর অধ্যয়ন যা দৃষ্টগোচর হয়। একে প্রায়শই ব্যাখ্যামূলক এর চেয়ে বর্ণণামূলক বলা হয়।'' ( Alfred Schutz Said-'' phenomenology is the study of things as they appear. It is also often said to be discriptive rather than explanatory a central task of  phenomenology is to provide clear undisturbed discription of the ways things appear.'') প্রপঞ্চবিদ্যার পিছে অনেকগুলি অনুসিদ্ধান্ত থাকে । এসব অনুসিদ্ধান্ত এর তাৎপর্যকে গভীরভাবে ব্যাখ্যা করে। যেমন- প্রথমত,  প্রপঞ্চবিদ্যা বস্তুগত গবেষণার প্রত্যয়টিকে ব...

প্রচুরক কাকে বলে? প্রচুরকের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা কর।

প্রচুরক কাকে বলে? প্রচুরকের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা কর। (মাস্টার্স- সমাজবিজ্ঞান ) প্রচুরক কি?  তথ্যসারির মানগুলি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় সারির মাঝামাঝি একটি কেন্দ্রীয় মানের চতুর্দিকে তথ্যমালার ঘনত্ব বেশি। এর কারণ হলো তথ্য সারিতে একিট মানের সর্বাধিকবার অবস্থানের ফলে এ ধরনের পরিস্থিতি আগমন ঘটে। এক্ষেত্রে মানটি তথ্য সারির বৈশিষ্ট্যর পরিমাপক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন রাখে যাকে প্রচুরক নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। simpson and kafka said 'The mode is the most common value'. কোনো তথ্য সারিতে একাধিক প্রচুরক থাকে। যেমন ২,৫,৮,৩,৫,৭,৪,৭,৬ সংখ্যাগুলোর মধ্যে ৫ এবং ৭  সংখ্যাদ্বয় দুবার সংঘটিত হয়েছে তাই এদের প্রচুরক দুটি। এ ধরনের নিবেশনকে Bimodal freuency distribution বলে। সুতরাং বলা যায় অশ্রেণীকৃত তথ্যসারিতে যে সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশিবার থাকে তাকে প্রচুরক বলে। যেমন- ৪,২,৪,৮,৩,৪ সংখ্যাগুলোর মধ্যে ৪ সবচেয়ে বেশিবার আছে। সুতরাং সংখ্যাগুলোর প্রচুরক ৪। প্রচুরকের সুবিধাবলিঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপক হিসেবে প্রচুরকের অনেক সুবিধা রয়েছে । প্রচুরকের সুবিধাবলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো- ১। অবস্থানগত পরি...

নগর জীবনই উত্তম জীবন' উক্তিটির ব্যাখ্যা দাও Urbanism is a way of life

'নগর জীবনই উত্তম জীবন'  উক্তিটির ব্যাখ্যা দাও। বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী Louis Writh নগর জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করেন। তিনি Urbanism is a way of life উক্তিটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তাঁর মতে নগর জীবনই উত্তম জীবন যা মানুষের জীবনে সুখ শান্তি প্রদান করতে পারে। Urbanism is a way of life উক্তিটির ব্যাখ্যাঃ ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে ''Good made the village man made the town'' মানুষ আদিম গুহার অন্ধকার থেকে সভ্যতার পথ পরিক্রমায় তৈরী করেছে অগণিত শহর। রাজ্য, শাসন ব্যবস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা কেন্দ্র  এই সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন জনপদ। বিজ্ঞানের অগ্রগতি, চাকা ও বিদ্যুৎ এর আবিষ্কার পৃথিবীর মানচিত্রে নগর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উৎসাহ যুগিয়েছে। রেললাইনের কল্যাণে এক হয়ে গেছে দূর দূরান্তের বহু শহর। আধুনিকতা আর শিল্পের ছোঁয়ায় শহরের জীবনে পেয়েছে নান্দনীকতা। শহরের জীবন যাত্রা মান গ্রামীণ জীবন যাত্রার মান অপেক্ষা অনেক উন্নত। প্রাচীনকাল থেকে বেশিরভাগ সভ্যতা গড়ে উঠেছিল শহর কেন্দ্রিক হয়ে আর তাই শহরে সংযোজিত ছিলো মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা। শহরে উন্নত জীবন যাপনের ...

মানব উন্নয়ন কি? মানব উন্নয়নের নির্ধারকসমূহ আলোচনা কর

📚 প্রশ্নঃ  মানব উন্নয়ন কি? মানব উন্নয়নের নির্ধারকসমূহ আলোচনা কর। (সমাজবিজ্ঞান মাস্টার্স-ফাইনাল) দারিদ্র এমন একটি প্রত্যয় যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভিশাপস্বরুপ কাজ করে।এছাড়াও এটি একটি নেতিবাচক অর্থনীতি যা এমন অবস্থার সৃষ্টি করে যে মানুষ তার জীবনধারনের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রয়োজন মানব কল্যাণ সাধন। যা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়াবলির উপর প্রভাব বিস্তার করে দেশকে উন্নয়নের দিকে অগ্রসর করবে। মানব কল্যাণঃ  সাধারণত মানব কল্যাণ বলতে আমরা সমাজে বসবাসরত প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানকেই বুঝি। সাধারণত মানুষের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, অর্থনীতি শিক্ষা প্রভৃতির উপর মানব কল্যাণ নিয়োজিত থাকে। এতে মানব জীবন উন্নত হতে পারে।  প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ  বিভিন্ন তাত্ত্বিকগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মানব উন্নয়নকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিশু মঙ্গলসূচক অনুসারে-“Human wll-being and deprivation can be considered reoresenting different sides of the same coin" ("মানুষের সদিচ্ছা এবং বঞ্চনাকে একই মুদ্রার বিভিন্ন ...

পুজিঁবাদ কী? পুজিঁবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ

প্রশ্নঃ পুজিঁবাদ কী? পুজিঁবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে । বিশ্বে দুই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়। যথা- সমাজতন্ত্র ও পুজিঁবাদ। মার্কসীয় মতে পশ্চিম ইউরোপে সামন্তবাদের অবসানের পর পুজিঁবাদের বিকাশ ঘটে। সমাজবিজ্ঞানী ও সামাজিক ঐতিহাসিকগণ পুজিঁবাদের সংজ্ঞা, বিকাশ সম্পর্কে যেসব মতবাদ দিয়েছেন সেগুলোর মধ্য মতভেদ আছে। পুজিঁবাদ হল এক বিশেষ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, পশ্চিম ইউরোপে বিশেষ করে ইংল্যান্ডে ১৮ শতকের শেষ ভাগ থেকে ১৯ শতকের মধ্যে ভাগ সময়কে পুজিঁবাদী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার স্বর্ণযুগ বলা হয়। পুজিঁবাদ বা ধনতন্ত্রঃ   পুজিঁবাদ হলো এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা ব্যক্তিগত মালিকানা, উৎপাদনের উপায়ের নিয়ন্ত্রণ এবং লাভের জন্য তাদের পরিচালনার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত । অন্যভাবে বলা যায়,  পুজিঁবাদ বলতে বোঝায় এমন এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে মুনাফা তৈরীর লক্ষ্যে  ব্যবসা কারখানা এবং উৎপাদনের উপকরণসমুহের উপর ব্যক্তি মালিকানার নিয়ন্ত্রণ। পুঁজিবাদ ব্যভস্থায় সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ মালিকদের হাতে থাকে...

মানব উন্নয়নসূচক কী?

 প্রশ্নঃ মানব উন্নয়নসূচক কী? অথবা, মানব উন্নয়নসূচকগুলো লিখ? জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির মানব উন্নয়ন রিপোর্ট (Human development report) ১৯৯০ তে একটি নতুন নির্ঘন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ নির্ঘন্টি হলো মানব উন্নয়ন সূচক। পাকিস্তানের প্রখ্যাত অর্থনীতিবীদ ড. মাহবুব-উল-হক এর নেতৃত্বে উন্নয়ন অর্থনীতিবিদদের চিন্তার ফসল হলো এ মানব উন্নয়ন সূচক।ড. মাহবুব-উল-হক ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর অর্মত্য সেন মানব উন্নয়নের সূচকের গবেষণা ও বিকাশের ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। মানব উন্নয়ন সূচকের সংজ্ঞায় বল যায় যে, মানব উন্নয়ন হলো মানুষের জন্য উন্নয়ন এবং এ উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মানুষেরই দ্বারা। এ সংজ্ঞা হতে মানব উন্নয়ন সংক্রান্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। (i) জনগণের উন্নয়ন বলতে জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি বুঝানো হয়। (ii) জনগণের উন্নয়ন বলতে জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফলকে সুষমভাবে বন্টন করা বুঝায়। (iii) জনগণ কর্তৃক ও উন্নয়ন পরিচালিত হবে এবং জনগনের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ প্রদান নিশ্চিতকরণ করতে হবে। মানব উন্নয়ন সূচক তিনটি মূল নির্ধারকের উপর ভিত্তি করে প্রণীত হয়। এগুলো হলো:- ১। গড় আয়ুষ্কালঃ গড় আয়ু ...

গ্রামীণ সমাজের বৈশিষ্ট্য লেখ

গ্রামীণ সমাজের বৈশিষ্ট্য লেখ গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান হলো গ্রামভিত্তিক সমাজবিজ্ঞান। গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থা বা সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে সুশৃঙ্খল ও বিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়নই হলো গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান। গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা। গ্রামীণ সমাজের সুনির্দিষ্ট এবং পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান হচ্ছে গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান। প্রতিটি সমাজের একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে । গ্রামীণ সমাজের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো। গ্রামীণ সমাজের বৈশিষ্ট্যঃ গ্রামের পেশাগত অবস্থা ও ভৌগলিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে কতকগুলো বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান । অমরা যদি নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করি তবে গ্রাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে সচেষ্ঠ হবো। ১। আকৃতিঃ গ্রামগুলো জড়বদ্ধ গৃহ বা বিক্ষিপ্ত বসতবাড়ির সমষ্টি। বর্ষাকালে বর্ষার জলে যেন না ডুবে যায় ইহার প্রতিকার হিসেবে উচু ভিটার উপর গৃহ নির্মাণ এক গ্রামীন সমাজের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। ২। কৃষিভিত্তিক পেশাঃ গ্রামীণ সমাজের মানুষ নানা পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কৃষিউ গ্রামীণ জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে থাকে। মানুষের ভোগের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য দ্রবাদি যোগানের জন্য খামারসমূহে গাছপাল...

রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি বা বিষয়বস্তু আলোচনা কর

রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি বা বিষয়বস্তু আলোচনা কর  👉👍 ভূমিকাঃ  রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান মূলত একটি মিশ্র প্রকৃতির বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চলমান সম্পর্কের ফলে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব হয়। বিশ শতকের পূর্বেই মানুষের জ্ঞান চর্চা বিকাশের ফলে সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। এসব ব্যাখ্যা সমূহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর এই শাখাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান। রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান নবীন শাখা হিসেবে আধুনিককালে আত্মপ্রকাশ করেন। বর্তমান বিশ্বে গতিশীল রাজনীতিতে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানে নতুন নতুন ধারা সংযোজন হচ্ছে ফলে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতিঃ  সামাজিক বিজ্ঞানের নবীন শাখা হিসেবে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের আত্মপ্রকাশ ঘটে  যে কারণে এর প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। নিম্নে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- ১। অধিকতর বাস্তববাদীঃ  রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান অধিকতর বাস্তববাদী বিজ্ঞান। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় বস্তু গবেষণার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞা...

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ধাপসমূহ লিখ

Image
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ধাপসমূহ লিখ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এখানে মানুষের কোন হাত নেই। সুতরাং মানুষ ইচ্ছে করলেই তা প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে দুর্যোগ পূর্ববর্তী সতর্কতা এবং দুর্যোগ পরবর্তী সম্মিলিত কর্মতৎপরতা দ্বারা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্যোগ পরবর্তী সমস্যা নূন্যতম পরিমাণে হলেও হ্রাস করা যায়। এ দুর্যোগ পূর্ববর্তী সতর্কতা এবং দুর্যোগ পরবর্তী সম্মিলিত কর্মতৎপরতা পরিচালনার পরিকল্পনা থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্ভব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ সাধারণভাবে প্রাকৃতির দুর্যোগের ঝুকি হ্রাস ও দুর্যোগজনিত সকল প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার উদ্দেশ্য দুর্যোগ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি দুর্যোগ পূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়নের সামগ্রিক কার্যক্রমকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলে।  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ধাপসমূহঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তিনটি ধাপ রয়েছে। (ক) দুর্যোগপূর্ব পর্যায় (খ) দুর্যোগকালীন পর্যায় ও (গ) দুর্যোগ পরবর্তী পর্যায়। (ক) দুর্যোগপূর্ব পর্যায়ঃ দুর্যোগপূর্ব পর্যায়ে যেসব প্রস্তুতি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তা হলো- দুর্যোগ প্রবণ...

রাষ্ট্র বলতে কী বুঝ? রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী? (what is political science?)

রাষ্ট্র বলতে কী বুঝ? রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী? (what is political science?) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো রাষ্ট্র। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামাজিক প্রতিষ্ঠানেরসমূহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো রাষ্ট্র। সমাজের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করার উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের উৎপত্তি। মানব সমাজের মানবিক চেতনাবোধ থেকে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। মানুষ জম্মগতভাবে সামাজিক জীব।রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম বিষয়ই হলো রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের সংজ্ঞাঃ  রাষ্ট্র বলতে এমন কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে বুঝায় যা কোন একটি ভৌগলিক এলাকার জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার সার্বভৌম ক্ষমতা রাখে। এলাকার রাষ্ট্র বলতে সমাজের শক্তিশালী এক বৃহৎ সংঘকে বোঝায়। রাষ্ট্র হলো এমন একটি সংগঠন, যা বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করে থাকে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো রাষ্ট্র সম্পর্কিত একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা রাষ্ট্রে উৎপত্তি সংগঠন, শাসন প্রণালি ও সরকারের নীতিমালা সম্পর্কে আলোচনা করে। শাব্দিক অর্থে রাষ্ট্রঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Political Science । রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্র বুঝাতে State সর্বপ্রথম শব্দটি ব্যবহার ক...