পরিবার কী? (what is Family?)
ভূমিকাঃ- সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পরিবার। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ জম্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিবারে বসবাস করে। পরিবারে অবস্থান করেই মানুষ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে ও নানাবিধ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। মানুষ নানাবিধ প্রয়োজন পূরণের মধ্য দিয়ে আদিমকাল থেকে পরিবার গঠন করে আসছে। আদিম যুগ হতে পরিবারই সভ্যতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়, বরং ভালোবাসা, দায়িত্ব, কর্তব্য ও পারস্পরিক নির্ভরতার এক জীবন্ত বন্ধন
পরিবারঃ পরিবার হলো সমাজের প্রাথমিক এবং ক্ষুদ্রতম সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এটি সেই স্থান, যেখানে মানুষ জন্মগ্রহণ করে, বড় হয় এবং সামাজিক জীব হিসেবে গড়ে ওঠে। মানব সভ্যতার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে পরিবার। সাধারণ অর্থে পরিবার বলতে বোঝায় এমন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান যা সমাজস্বীকৃত যেখানে নারী-পুরুষ বিবাহের ভিত্তিতে একত্রে বসবাসের স্বীকৃতি পায় ও সন্তান উৎপাদন এবং লালন পালন করে থাকে।
শাব্দিক অর্থেঃ পরিবারের ইংরেজি প্রতিশব্দ Family. রোমান শব্দ Famulus থেকেই ইংরেজি Family শব্দের উৎপত্তি হয়েছে যার বাংলা অর্থ পরিবার।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ পরিবারকে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাদের প্রদত্ত কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো-
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ পরিবারকে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে তাদের প্রদত্ত কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো-
অধ্যাপক অর্গবান তাদের A Hardbook of Sociology গ্রন্থে বলেন-“পরিবার হলো মোটামুটি একত্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী স্বামী স্ত্রী যাদের সন্তান থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।”
নিমকফ এর মতে পরিবার হলো এমন একটি স্থায়ী সংঘ যেখানে স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস করে তাদের সন্তান সন্ততিসহ অথবা সন্তান সন্ততিবিহিন।
নৃবিজ্ঞানী লুই এর মতে-“পরিবার বলতে নারী পুরুষের দ্বারা পরিচালিত একটি স্থায়ী সম্পর্কের প্রতিষ্ঠিান কে বুঝায়।”
ম্যাকাইভার এর মতে পরিবার হলো ক্ষুদ্র ও স্থায়ী সংঘ যার উদ্দেশ্য সন্তান-সন্ততির জম্মদান ও লালনপালন করা।
বিজ্ঞানী স্কট এর মতে পরিবার হলো এমন একটি জ্ঞাতিভিত্তিক সামাজিক একক যা সীমিত অর্থে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে বসবাস করে।
ম্যাকাইভার এর মতে পরিবার হলো ক্ষুদ্র ও স্থায়ী সংঘ যার উদ্দেশ্য সন্তান-সন্ততির জম্মদান ও লালনপালন করা।
বিজ্ঞানী স্কট এর মতে পরিবার হলো এমন একটি জ্ঞাতিভিত্তিক সামাজিক একক যা সীমিত অর্থে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে বসবাস করে।
পরিবারের বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. এটি একটি প্রাকৃতিক ও সমাজস্বীকৃত প্রতিষ্ঠান।
২. এটি সাধারণত রক্তের সম্পর্ক অথবা বৈবাহিক সম্পর্কে গঠিত হয়।
৩. পরিবারে সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ বিদ্যমান।
৪. এটি শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম পাঠশালা।
৫. পরিবার সমাজের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও নৈতিকতা সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, পরিবার হচ্ছে সমাজের সেই আদিম ক্ষুদ্রতম এবং স্থায়ী প্রতিষ্ঠান যেখানে নারী পুরুষ বিবাহের ভিত্তিতে একত্রে বসবাসের স্বৃকৃতি পায় ও সন্তান উৎপাদন এবং লালন পালন করে থাকে। মানব সভ্যতার রুপকার হলো পরিবার। আদিম কিংবা আধুনিক যুগেও কোনো সভ্য মানুষকে পরিবারের বাইরে খুজে পাওয়া মুশকিল। সমাজ অত্যান্ত ব্যাপক একটি প্রত্যয় আর পরিবার ব্যতিত সমাজের অস্তিত্ত্ব কল্পনা করা যায় না। মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে পরিবারে বসবাস করে থাকে। পরিবারে মানুষ একে অপরের সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে চলে। পরিবার শুধু একটি সামাজিক গঠন নয়, এটি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গী। পরিবারই মানুষের প্রথম বন্ধু, প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম আশ্রয়স্থল।
২. এটি সাধারণত রক্তের সম্পর্ক অথবা বৈবাহিক সম্পর্কে গঠিত হয়।
৩. পরিবারে সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ বিদ্যমান।
৪. এটি শিশুর সামাজিকীকরণের প্রথম পাঠশালা।
৫. পরিবার সমাজের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও নৈতিকতা সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, পরিবার হচ্ছে সমাজের সেই আদিম ক্ষুদ্রতম এবং স্থায়ী প্রতিষ্ঠান যেখানে নারী পুরুষ বিবাহের ভিত্তিতে একত্রে বসবাসের স্বৃকৃতি পায় ও সন্তান উৎপাদন এবং লালন পালন করে থাকে। মানব সভ্যতার রুপকার হলো পরিবার। আদিম কিংবা আধুনিক যুগেও কোনো সভ্য মানুষকে পরিবারের বাইরে খুজে পাওয়া মুশকিল। সমাজ অত্যান্ত ব্যাপক একটি প্রত্যয় আর পরিবার ব্যতিত সমাজের অস্তিত্ত্ব কল্পনা করা যায় না। মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে পরিবারে বসবাস করে থাকে। পরিবারে মানুষ একে অপরের সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে চলে। পরিবার শুধু একটি সামাজিক গঠন নয়, এটি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গী। পরিবারই মানুষের প্রথম বন্ধু, প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম আশ্রয়স্থল।

No comments:
Post a Comment