গ্রামীণ সমাজে নেতৃত্বের ভূমিকা আলোচনা কর।
গ্রামীণ সমাজে নেতৃত্বের ভূমিকা আলোচনা কর।
নেতৃত্ব হলো সমাজব্যবস্থার একটি ঢালস্বরুপ। কারণ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমাজকে সবসময় এগিয়ে নেওয়া হয়। নিম্নে গ্রামীণ সমাজে নেতৃত্বের ভূমিকা আলোচনা করা হলো।
১। সমাজের অগ্রগতিতে অবদানঃ নেতৃত্ব হলো সমাজের প্রাণ। কারণ, সমাজব্যবস্থায় সর্বদা নেতৃত্ব ঢাল হিসেবে কাজ করে। সমাজের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য একজন নেতা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকেন। কারণ, নেতা সবসময় সমাজকে ভালোর পথে কিভাবে নিতে হয় সে কথা মাথায় রেকে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
২। সরকারি নীতি বাস্তবায়নেঃ একটি দেশের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য যেমন নেতা প্রয়োজন তেমনি সকল ধরনের কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য নেতার প্রয়োজন। নেতা ছাড়া কখনো কোন কাজ সফলতার সাথে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। যেমন- সরকারি কোন উন্নয়নমূলক কাজ মেম্বার চেয়ারম্যান দ্বারা সম্পাদন করা হয় যা গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করে।
৩। আধুনিকায়নেঃ বর্তমান সমাজের বৈশিষ্ট্য হলো আধুনিকায়ন। কারন, আধুনিকায়ন হলো এমন এক বিষয় যা সমাজব্যবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের গ্রামীণ সমাজ আগে যেমন ছিলো এখন তার চেয়ে অনেক ভিন্ন, আগে গ্রামীণ চাষাবাদ ছিলো আদিম যুগের কিন্তু এখন গ্রামীণ চাষাবাদে আধুনিক ছোঁয়া আছে যা সমাজব্যবস্থার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪। বিচারকার্য পরিচালনাঃ বিচারকার্য হলো আধুনিক গ্রামীণ সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গ্রামীণ সমাজের বিচারকার্য বেশিরভাগ সমাধান করে গ্রামের নেতারা। যেমন- মেম্বর, চেয়ারম্যান।
৫। রাজনৈতিক সামাজিকীকরনঃ আমাদের দেশে সকল পর্যায়ে রাজনৈতিক সামাজিকীকরনে নেতৃত্ব বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ গ্রাম্য এলাকা মানুষ সঠিকভাবে রাজনৈতিক কলাকৈশল সম্পর্কে বুঝতে পারে না। তাই তাদের যারা গ্রামীণ নেতা আছেন তারা এসকল কার্যক্রম সম্পাদন করেন যা রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ হিসেবে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৬। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিঃ একটি গ্রামীণ সমাজে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক সচেতনতা ছাড়া কখনো সমাজে উন্নয়ন করা সম্ভব না। সামাজিক সচেতনতা হলো উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। আমাদের দেশের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য নেতার নেতৃত্ব সচেতনতা সৃষ্টিতে বেম ভূমিকা রাখে।যা সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।
৭। সমাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণঃ সমাজে বসবাস করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমাজিক প্রতিষ্ঠান দরকার। কারণ সমাজিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া কখনো সমাজ পরিচালিত হতে পারে না। যেমন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এগুলি হলো সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আর এ সকল সামাজক প্রতিষ্ঠান সমাজের বিভিন্ন সেক্টরকে গতিশীল করে তুলতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৮। নারী শিক্ষার প্রসারঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে আর গ্রামের মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার খুবই কম। তাই গ্রামীণ নেতৃত্বের প্রসারের কল্যাণে আজ তারা গ্রামে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে যা গ্রামীণ উন্নয়নের কাজ করছে।
Comments
Post a Comment