আলফ্রেড সুজ এর সংজ্ঞানুযায়ী প্রপঞ্চবিদ্যা কি? Social Phenomenology কী?

প্রপঞ্চবিদ্যা বলতে কি বুঝ? সামাজিক ঘটনাবিদ্যা কী?

ভূমিকা:- সমাজবিজ্ঞানী হার্শেলকে বলা হয় আধুনিক প্রপঞ্চবিদ্যার জনক। তার মাধ্যমে এ ধারণাটির উৎপত্তি ঘটলেও হার্শেলের বন্ধু আলফ্রেড সুজ মূলত এ প্রত্যয়টি নিয়ে কাজ করেন। প্রপঞ্চবিদ্যা অনুযায়ী কর্তার মন্ময় জগৎই প্রকৃত সামাজিক বাস্তবতা ও মানের সৃজনশীল ভূমিকা বাহ্যিক জগৎকে যেভাবে তুলে ধরেন সেটাই মানবীয় সচেতনতার স্বরুপ।

আলফ্রেড সুজ এর সংজ্ঞানুযায়ী প্রপঞ্চবিদ্যা কি

প্রপঞ্চবিদ্যা সংজ্ঞা

আলফ্রেড সুজ (Alfred Schutz)  এর মতে ''প্রপঞ্চবিদ্যা বস্তুর অধ্যয়ন যা দৃষ্টগোচর হয়। একে প্রায়শই ব্যাখ্যামূলক এর চেয়ে বর্ণণামূলক বলা হয়।''

প্রপঞ্চবিদ্যার পিছে অনেকগুলি অনুসিদ্ধান্ত থাকে । এসব অনুসিদ্ধান্ত এর তাৎপর্যকে গভীরভাবে ব্যাখ্যা করে। যেমন-

প্রথমত,

প্রপঞ্চবিদ্যা বস্তুগত গবেষণার প্রত্যয়টিকে বাতিল করে। প্রপঞ্চবিদরা Phenomenological epoche হিসেবে অভিহিত একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গোষ্ঠী সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।

দ্বিতীয়ত,

প্রপঞ্চবিদ্যাতে এটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিনের মানব আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জগৎ সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা লাভ করা যায়।

তৃতীয়ত,

ব্যক্তিবিশেষ অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে পরীক্ষা করতে এবং প্রশ্ন করতে চায়। সমাজাতাত্ত্বিকভাবে এটি জীবনেরই একটি অংশ, ব্যক্তি বিশেষ ভালোভাবে এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে। কেননা একটি সমাজের সদস্য হিসেবেই সে লালিত পালিত হয় এবং সমাজের আচার আচরণ দ্বারাই সে প্রভাবিত হয়।

চতুর্থত,

প্রপঞ্চবিদরা প্রথাগত উপাত্তের চেয়ে সচেতন অভিজ্ঞতা বা  Consceous experience এর উপর বেশি গুরুত্ব দেই।

পঞ্চমত,

প্রপঞ্চবিদরা সবসময় অনুসন্ধানমূলক বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেই। যার কারণে এগুলোকে তারা অধিক বিবেচনায় আনে এবং ঐ প্রপঞ্চবিদরা গবেষণায় ব্যবহৃত পদ্ধতিকে চয়ন করে যা অন্যান্য বিজ্ঞানের চেয়ে কম সীমাবদ্ধ।

উপযুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে সামাজিক মনোবিজ্ঞান তথা সমাজবিজ্ঞানে প্রপঞ্চবিদ্যা একটি বহুল আলোচিত বিষয়। প্রথমে হার্শেল এবং পরবর্তীতে তার বন্ধু স্যুজ এই প্রপঞ্চবিদ্যা নিয়ে বহুল আলোচনা ও গবেষণা করেন এবং খুজে পান প্রপঞ্চবিদ্যার কেন্দ্রীয় কাজ হচ্ছে দৃষ্টি গ্রন্থ বস্তুর একটি স্বচ্ছ  এবং স্থীর ব্যাখ্যা দান করা


Alfred Schutz এর মতে Social Phenomenology বা সামাজিক ঘটনাবিদ্যা


প্রখ্যাত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী আলফ্রেড স্যুজ সর্বপ্রথম প্রপঞ্চকেন্দ্রিক সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করেন। প্রপঞ্চকেন্দ্রিক মৌল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বাস্তবতার সমাজ সম্পর্কিত আলোচনা। আলফ্রেড স্যুজ ছিলেন সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম প্রবক্তা। তিনিই Max Weber de Interpretive Sociology এর ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং হার্শেল এর মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত করে অভ্যাসতত্ত্বের যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। Alfred Schutz এর Social Phenomenology: আলফ্রেড স্যুজ এর প্রধান কৃতিত্ব হচ্ছে তিনি প্রপঞ্চ প্রপঞ্চবিদ্যাকে Max Weber এর Interpretive Sociology (Verstehen Sociology) এবং মার্কিন মিথস্ক্রিয়াবাদের তত্ত্বের সাথে সংশ্লেষণ করে উপস্থাপন করেন। এই সংশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি মূলত প্রপঞ্চবিদ্যার আরো. বিকাশসাধন করেন যেখান থেকে Phenomenological Sociology-র উদ্ভব ঘটে এবং এর মাধ্যমে আরো অনেক তাত্ত্বিকের আগমন ঘটে। Phenomenological Sociology-র সংজ্ঞা দিতে গিয়ে Alfred Sehutz বলেন, বাস্তব সামাজিক সত্তার বাহ্যিক কাঠামোর অধ্যয়নই হলো অবভাসতাত্ত্বিক সমাজবিজ্ঞান যা অভিপ্রেত সচেতনতামূলক কর্মের বিশ্লেষণাত্মক কর্ণনার মাধ্যমে সচরাচর তৈরি হয়। এ ধরনের বিশ্লেষণের বিষয় হচ্ছে প্রতিদিনকার জীবন তথা জীবন-বিশ্বের অর্থপূর্ণ অবস্থান।

Farganis এর মতে, "বিস্ময়কর সমাজবিজ্ঞানকে বিশেষভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রকৃতির হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কারণ এটি কার্যকারী পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে দৃষ্টিকোণের মাধ্যমে বাস্তবতা বোঝার উপর জোর দেয়।" subject rather than the lens of the scientific আলফ্রেড স্যুজ তাঁর বন্ধু হার্শেলের (Husserl) অবভাসতত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। হার্শেল বলেন, মানবজাতির একটা প্রাকৃতিক প্রবণতা ও জীবনবিশ্ব।

No comments:

Post a Comment