Posts

Showing posts from January, 2025

গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাব আলোচনা

গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাব আলোচনা ভূমিকাঃ প্রকৃতির এই নিয়ম পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে গ্রীণহাউস গ্যাসসমূহের অবদান যা আমাদের সৃষ্টি। সৃষ্টি তখন সুন্দর হয় যখন তা মানুষের কল্যাণে লাগে। গ্রীণহাউস গ্যাস সৃষ্টি করেছে মানুষ তার কল্যাণে। কিন্তু তা অকল্যাণ ও বয়ে এনেছে। গ্রীণহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে সমস্যাসমূহঃ গ্রীণহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে যে সব সমস্যার সৃষ্টি হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলো। ১। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিঃ পৃথিবীর মোট ৭৫% ভাগই জলরাশি। এই বিশাল জলরাশির ৯৭% ভাগই সমুদ্র ধারণ করে। ২০ শতকে সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাণ ছিলো ১-২ সে.মি. প্রতি বছর তা ছিল ১-৩ মি.মি. যদি ক্রমাগত হার গ্রীণহাউস গ্যাস বায়ুমন্ডলে যোগ হতে থাকে তবে এর উচ্চতা ২১০০ সাল নাগাদ ১-৩ মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বরে বিজ্ঞানীরা আশাঙ্খা করেছেন। ২। উপকূলীয় সমুদ্রতট ও দ্বীপ সমুহে পাবনঃ সমুদ্র উপকুলবর্তী প্রায় ৭৫ মিলিয়ন বর্গ কি.মি এলাকার বসবাসভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতর সমুদ্র উপকুরে যারা বসবাস করবে তাদের জীবন যাত্রার মান ব্যহত হবে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে মহাসাগরের দ্বীপসমূহের অধিবাসীরা। ৩। উপকূলীয় এল...

পরিবেশ কী? what is environment?

পরিবেশ কী? সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় ও পরিধি ব্যাপক এ বিস্তৃত। পরিবেশ হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম একটি। পরিবেশ নিয়ে সমাজবিজ্ঞানের আলাদা একটি শাখা শুরু হয়েছে পরিবেশ সমাজবিজ্ঞান নামে। এটি পরিবেশকে বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করে। পরিবেশের সংজ্ঞাঃ পরিবেশের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো 'Environment' এ শবদটি এসেছে ফরাসি শব্দ  Viron থেকে যার অর্থ একটি বৃত্ত বা দেশ। শব্দগত অর্থে পরিবেশ সমগ্র পৃথিবীকে এর অন্তভূক্ত করে। সাধারণত পরিবেশ বলতে আমরা যেখানে বসবাস করি তার পারিপাশ্বিক অবস্থার যোগফলকে বুঝায়।  এটি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কোষ থেকে শুরু করে সমগ্র মানবসমাজ ও জীবদলকে এর অন্ত্রভূর্ক্ত করে। তাই এর সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। পরিবেশ ধারণাটি বেশ ব্যাপক ও জটিল। পরিবেশ তার আলোচনায় সকল জীব ও জড় জগৎকে একত্রিত করে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন মনীষীগণ পরিবেশকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিম্নে পরিবেশের কিছু উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো। Cambridge Dictionaries অনুসারে Environment is the air, water and land in or on which people animals and plants live. (অর্থাৎ বাতাস পানি এবং জমিঅথব...

কেস স্টাডি কী? কেস স্টাডির সুবিধা অসুবিধা

কেস স্টাডি কী? সামাজিক সমস্যা অধ্যয়নে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণপদ্ধতি হলো কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধাবন পদ্ধতি। সামাজিক সমস্যার উম্মেষ ও বিকাশধারা জানার জন্য সামাজিক বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আচরণ বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বস্তুত বর্তমানকালে কেস স্টাডি একটি সামাজিক Micro analysis বা ব্যষ্টিক বিশ্লেষণ হিসেবে পরিচিত। কেস স্টাডি বা ঘটনা অনুধাবনঃ কেস স্টাডি হলো মূলত কোনো এককের সুষ্ঠু ও সুগভীর বিশ্লেষণ পদ্ধতি। The Social work dictionary তে বলা হয়েছে সাধারণত দীর্ঘ সময়ব্যাপী কোনো একজন ব্যক্তি, দল, পরিবার অথবা সমষ্টির বহুবিদ বৈশিষ্ট্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরীক্ষণের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার একটি পদ্ধতি। Ruth storng এর মতে কেস স্টাডি পদ্ধতি হলো গুণগত বিশ্লেষণের একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক এবং পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং অনুধ্যকৃত তথ্য হতে কোনো বিষয়ে সাধারণীকরণ ও অনুমিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সার্বিকভাবে বলা যায় কেস স্টাডি হলো এমন একটি পদ্ধতি যা সামাজিক একককে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গভীর ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে...

সমাজতাত্ত্বিক সামান্যীকরণ কী?

  প্রশ্নঃ সমাজতাত্ত্বিক সামান্যীকরণ কী?  সাধারণীকরণ কী? ভূমিকাঃ সামগ্রিক সমাজব্যবস্থায় জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় প্রয়োগিকতা ও গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু সেটা নির্ধারণ করার উপায় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের তাত্ত্বিক সর্বজনীনতা। এ প্রেক্ষিতে একটি বিষয়কে বিজ্ঞান পদবাচ্য হতে হলে বিষয়টির তাত্ত্বিক সাধারণীকরণ ও সর্বজনীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। সাধারণীকরণ বা সামান্যীকরণঃ সাধারণীকরণ হচ্ছে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রধান নির্ধারক।এতএব, সাধারণভাবে বলা যায় যে, সাধারণীকরণ হলো এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যাকে অনুসন্ধান কাজের ফলাফলের জন্য প্রযোজ্য বলে গণ্য করে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কোনো প্রপঞ্চ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও নবতর জ্ঞান লাভের বা জ্ঞান আহরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে সামান্যীকরণ প্রক্রিয়া। কেননা সাধারণীকরণ নিজেই ঘটনা এবং জ্ঞানের বাহক হিসেবে কাজ করে। কোন একটি তত্ত্ব সম্পর্কে যে সাধারণীকরণ নিজেই দাড় করানো হয় সেটি ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান কাজের নিদেশক হিসেবে কাজ করে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যে সাধারণীকরণ করা হয় সেটি মূলত নিশ্চিত কিংবা স্থায়ী নয় বরং এটা প্রকৃতগতভাবে অস্থায়ী। এটাকে বলা হয় Variable generalization বা Appr...

নগর সংস্কৃতি কি?

প্রশ্নঃ নগর সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ? সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের সামগ্রিক পরিচিতি। সংস্কৃতি বলতে সংস্কারের মাধ্যমে প্রাপ্ত গুণকে বোঝায়। এযকোন সমাজ প্রচলিত সামগ্রিক সামাজিক আচরণ ও কার্যাবলির মার্জিত রুপই হলো সংস্কৃতি। সংস্কৃতি হলো সামাজিক জীবনবোধ থেকে উদ্ভূত একটি সামাজিক প্রপঞ্চ। মানুষ একত্রে বসবাসের ফলেই সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। আবার সংস্কৃতি হারিয়ে যায় যখন কোন জাতির বিনাশ হয়। নগর সংস্কৃতিঃ নগর সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Urban Culture। নগর সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে নগর ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে। নগর হলো কোনো একটি স্থান যেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জনসমষ্টি থাকে যারা বিভিন্ন অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে। অন্যদিকে, সংস্কৃতি হলো সমাজ ও মানুষের আস্থা, জ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, রীতিনীতি, আচার-অনুষ্টান ইত্যাদি বিষয়গুলো সমাজ থেকে অর্জন করে সভ্য নাগরিক হিসেবে বসবাস করার মধ্য দিয়ে । প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ নগর সংস্কৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তার মধ্যে কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো- A.L Kroeber এর মতে ''প্রতিক্রিয়া, অভ্যাস, কৌশল ও মূল্য প্রভৃতি দ্বারা সৃষ্ট ব্যবহার নগর স...

উৎপাদন হতে শ্রমিকের বিচ্ছিন্নতা কার্ল মার্ক্সের মতবাদ

প্রশ্নঃ উৎপাদন হতে শ্রমিকের বিচ্ছিন্নতা বলতে কার্ল মার্কস কি বুঝিয়েছেন। ভূমিকাঃ মধ্যযগীয় চিন্তাধারার ধর্মীয় নিগৃঢ় বন্ধনকে আগ্রহ্য করে চিন্তার জগতে সত্য প্রতিষ্ঠা কল্পে ঐতিহ্য, অনুমান ও প্রত্যাদেশকে বিসর্জন দিয়ে পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিশ্রয়ী মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে যার আবির্ভাব ঘটে তিনি হচ্ছেন জার্মান দার্শনিক, অর্থনীতিবীদ ও সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কস। মার্কস তার 'The Economic and Philosophical Manuscript of 1844' শীর্ষক গ্রন্থে সমাজবিজ্ঞানের একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ তত্ত্ব Alienation বা বিচ্ছিন্নতাবোধ ব্যাখ্যা করেছেন। কার্ল মার্ক্সের বিচ্ছিন্নতাবোধ তত্ত্বটি সমাজবিজ্ঞানের পাশাপাশি অর্থনীতির তাত্ত্বিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। উৎপাদন হতে শ্রমিকের বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কে কার্ল মার্কসের ধারণাঃ নিম্নে উৎপাদন হতে শ্রমিকের বিচ্ছিন্নতা সম্পর্কে মার্ক্সের ধারণাটি আলোচনা করা হলো। ১। উৎপাদিত বস্তু হতে শ্রমিকের বিচ্ছিন্নতাঃ শ্রমিক মজুরির বিনিময়ে উৎপাদন করে।আর পুঁজিপতি শ্রমিকের উৎপাদন থেকেই মুনাফা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। একজন শ্রমিক যতই সম্পদ উৎপাদন করে এবং উৎপাদনের...

নারী নির্যাতন কি?

  নারী নির্যাতন কি? সূদূর ল্যাটিন আমেরিকা কিংবা আফ্রিকা ইউরোপ কিংবা এশিয়া বিশ্বের সর্বত্র নারী নির্যাতন এক বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। নারী নির্যাতনের ঘটনাবলি যে মানবাধীকার লঙ্ঘনের সমতুল্য অপরাধ সে কথা আজ সর্বজনবিদিত। 'Women rights and human rights' এ কথাটি আজও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। অথচ লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে নারীর মানব অধিকার হরণের ঘটনাবলি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।বিশ্বের সাথে সাথে বাংলাদেশেও নারী নির্যাতন বাড়ছে। বাংলাদেশে এ হার ৪৭%। দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের এ ভয়াবহ পরিস্থিতে কোনো বিবেকবান মানুষই চিন্তিত না হয়ে পারে না। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে আইন আছে নতুন আইন তৈরী হচ্ছে, তা সত্ত্বেও নির্যাতনের হার থেমে নেই বা থামার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। নারী নির্যাতনঃ ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নির্যাতনকে নিম্নরুপে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ''Gender violence is a violence against women that results in physical, mental, sexual coercion or arbitrary deprivation and violation of human rights.'' অর্থাৎ নারী নির্যাতন এমন একটি নিন্দনী...

কৃষি কাঠামোর প্রত্যয়সমূহ লেখ

কৃষি কাঠামোর প্রত্যয়সমূহ লেখ।  কৃষি কাঠামোর প্রত্যয়গুলি কি কি?    ভূমিকাঃ মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ গঠন করেছে মানুষের নিজের প্রয়োজনে। আর মানুষ এ সমাজকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে। আর সমাজের কাঠামোর প্রয়োজন মেটানোর জন্য মানুষের মাঝে সর্বদা এক প্রত্যয় বা ধারণা প্রকাশ পায় যা সমাজের পরিবর্তনের জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। আর সামাজিক কাঠামোগত পরিবর্তন বা  প্রতিষ্ঠত করার জন্য সর্বদা মানুষের মাঝে এক জটিল সমস্যা বিরাজ করে । সমাজ কাঠামোর প্রত্যয়সমূহঃ যেকোন ধরনের কাঠামো নির্ভর করে নিজ নিজ গুরুত্ব প্রকাশ করার জন্য। তেমনি সামাজিক কাঠামোর বেশ কিছু প্রত্যয় রয়েছে। নিম্নে সমাজ কাঠামোর প্রত্যয়সমূহ তুলে ধরা হলো। ১। মৌল ধারণা বা প্রত্যয়। ২। কেন্দ্রীয় প্রত্যয় ও ৩। নির্দেশ জ্ঞাপক প্রত্যয়। ১। মৌল ধারণা বা মৌল প্রত্যয়ঃ সামাজিক কাঠামো হলো সেই কাঠামো যেখানে মৌল প্রত্যয় বিদ্যমান থাকে। কারণ, মৌল প্রত্যয় ব্যতিত কোন কাঠামো টিকে থাকে না। মৌল প্রত্যয় আবার দুই প্রকার যথা- (ক) মৌল কাঠামো ও (খ) উপরি কাঠামো। মৌল কাঠামো ও উপরি কাঠামো সর্বদা মৌল প্রত্যয়কে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য ...

নব্য মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা কর।

  প্রশ্নঃ নব্য মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা কর।  নব্য মার্কসীয় তত্ত্ব মার্কসবাদেরই বিশেষ সম্প্রসারণ। মার্কসবাদী তাত্ত্বিকদের বিপরীতে একডেমিক পরিমন্ডলে নব্য মার্কসবাদী ধারার উম্মেষ ঘটে। নব্য মার্কবাদীগণ দেখান যে অনুন্নত দেশগুলোর অবন্নতি ঘটিয়ে উন্নত দেশগুলোর শিল্পায়নের পথ প্রশস্ত করে। নব্য মার্কসবাদীগণ দেখানোর চেষ্টা করেন যে এক অংশের মূল্যে বিশ্বের অন্য অংশের উন্নতি লাভ করে। এতে উদ্বৃত্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে অন্য অংশমুখী ধাবিত হয়। নব্য মার্কসবাদীগণ দেখান যে, যেখানে দারিদ্র্য ছিল সেখানে সংঘটিত হয়েছে উন্নতি, আর যেখানে ছিল ঐশ্বর্য সেখানে ঘটেছে অবনতি। এই ঐতিহাসিক আবিষ্কার থেকে এটাও প্রতিভাত হয় যে, সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনসমূহ কদাচিৎ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদিত হয়। সমসাময়িক অনুন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য ও বৈপবিক পন্থা ব্যতিরেকে কোন শান্তিপূর্ণ বিকল্প নেই। ১। নব্য মার্কসবাদীদের ধারণা অনুযায়ী, দারিদ্র্য নয় বরং পশ্চাত্যের মূলধন স্থানান্তর অনুন্নত দেমের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। এছাড়া অনুন্নত দেমের শিল্পের উপর পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রযুক্তির জন্যে নির্ভরশীলতা অনুন্ন...

নগর বিকাশে ম্যাক্স ওয়েবারের তত্ত্ব আলোচনা কর।

  নগর বিকাশে ম্যাক্স ওয়েবারের তত্ত্ব আলোচনা কর। মানব সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে শহর একটি শক্তিশালী বিপ্লব যা আমাদের জীবন যাত্রার একটি বিরাট পরিবর্তন এনেছে। ম্যাক্স ওয়েবারের (MAX WEBER) এর মতে প্রতিটি শহরের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটি নগরের ক্ষেত্রেই ম্যাক্স ওয়েবার কিছু তত্ত্ব প্রদান করেন। নগর বিকাশে ম্যাক্স ওয়েবারের তত্ত্বঃ নিম্নে ম্যাক্স ওয়েবারের প্রদত্ত নগর বিকাশের স্বরুপ সমূহ আলোচনা করা হলো। ১। শহরের অর্থনৈতিক প্রকৃতিঃ যে স্থানের লোকজন কৃষির থেকে ব্যবসায় বাণিজ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। অর্থনৈতিকভাবে একটি শহর সৃষ্টি হলে এর তিনটি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। এগুরো হলো- (ক) ব্যবসায় বাণিজ্য স্থাপন। (খ) উৎপাদনকারী ও ভোক্তার শহর। (গ) কৃষিকাজে শহরের সম্পর্ক। ২। শহরের রাজনৈতিক প্রশাসন ধারণাঃ অর্থনীতির পাশাপাশি প্রাশাসনিক কারনেও একটি শহর গড়ে উঠতে পারে। প্রতিটি শহরের একটি Economic Association থাকে। এরা বাজেট তৈরি করে আয় ব্যায়ের হিসাব করে। কিন্তু Peasant বা কৃষক সমাজে এটা আমরা Economic Association কে Central করার জন্য Palitical Administrative তৈরি হয়। যেমন Municipa Lity প্রাচীনকালের শ...

ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) কে আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয় কেন?

ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) কে  আমলাতন্ত্রের জনক বলা হয় কেন? অথবা,  ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) কে আমলাতন্ত্রের জনক বলার কারণ কি? sociology deparment priliminary to masters (মাস্টার্স>প্রিলিমিনারী) আমলাতন্ত্র একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রের বেশিভাগ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা নেওয়া হয়। জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার তার  ‘ইকোনোমি এ্যান্ড সোসাইটি’  গ্রন্থে বলেন যে- একটি আমলাতন্ত্র সংস্থা সবচেয়ে দক্ষ কাঠামো প্রতিনিধিত্ব করে। বিশেষ দক্ষতা, নিশ্চয়তা, ধারাবাহিকতা এবং উদ্দেশ্যর একতাই এর মূল বৈশিষ্ট্য। সুপ্রসিদ্ধ চিন্তাবিদ  ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) আমলাতন্ত্রকে যুক্তিবাদী সংগঠন হিসেবে অ্যাখায়িত করেছেন। তিনি সর্বপ্রথম আমলাতন্ত্রকে আধুনিক আমলাতন্ত্রে সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সে বিষয় ব্যাখ্যা করেন।  ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) এর বিখ্যাত গ্রন্থ  ‘Eassys in Socilogy’ তে  আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও বিশদ আলোচনা করেছেন ।  ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) এ প্রসঙ্গে সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার সূত্রপাত করে...

Chicago এবং Lowa কেন্দ্রিক চিন্তাধারার মধ্যে সাদৃশ্য বা সম্পর্ক আলোচনা কর।

Chicago এবং Lowa কেন্দ্রিক চিন্তাধারার মধ্যে সাদৃশ্য বা সম্পর্ক আলোচনা কর। ভূমিকাঃ মনোবিজ্ঞানে ব্যবহৃত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হলো শিকাগো এবং লোওয়া। Chicago এবং Lowa কেন্দ্রিক চিন্তাধারার মধ্যে কিছু বৈসাদৃশ্য  লক্ষ্য করা গেলেও এদর মধ্য সাদৃশ্য রয়েছে। Chicago এবং Lowa কেন্দ্রিক চিন্তাধারার সাদৃশ্যসমূহঃ  নিম্নে Chicago এবং Lowa কেন্দ্রিক চিন্তাধারার মধ্য বিদ্যমান সাদৃশ্য বা সম্পর্কগুলি আলোচনা করা হলো। ১। মানবজাতির প্রকৃতিঃ মানবজাতি তাদের পরিবেশের পারিপার্শ্বিক দিকগুলো চিহ্নত করার জন্য প্রতীকের ব্যবহার করে থাকে। মানুষ যাকে অদ্বিতীয় মনে করে এবং যার বলে সে অদ্বিতীয় হয় সেটা তার প্রতীকী ক্ষমতা। মানবজাতি আত্মপ্রতিফলন এবং মূল্যায়নেও সক্ষম। ২। মিথস্ক্রিয়ার প্রকৃতিঃ মিথস্ক্রিয়া নির্ভর মনে মানুষের অঙ্গভঙ্গির ব্যাখ্যা এবং পরিচালনা ক্ষমতার উপর। মিথস্ক্রিয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে ভূমিকা পালন। কারন, এটা অন্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে সাহায্য করে এবং এমন বিষয়ের মূল্যায়ন করে যার কোন অস্তিত্ব নেই। ৩। সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতিঃ প্রতীকী মিথস্ক্রিয়ামুখী প্রকৃতির মাধ্যমে সামাজিক কাঠামোর সৃষ্টি হয় অত...

রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কী?

রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কী? রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ হচ্ছে প্রকৃত সামাজিকীকরণের একটি বিশেষ রুপ।রাজনৈতিক সামাজিকীকরণের মাধ্যমে মানুষ রাজনৈতিক বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করতে পারে। রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ একটি রাজনৈতিক শিক্ষার প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষ্বাস অনুভূতি রীতিনীতি আদর্শ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। অর্থাৎ রাজনৈতিক শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনই হলো রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ। রাজনৈতিক সামাজিকীকরণঃ রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিশুর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পথে রাজনৈতিক মূল্যবোধ ও মনোবৃত্তি জাগরিত করা যায় এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের বিভিন্ন রাজনৈতিক উপাত্তের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন সমাজতাত্ত্বিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ কে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন তার মধ্যে কয়েকটি সংজ্ঞা নিম্নে দেওয়া হলো- ডেভিট ইষ্টন ও জেক ডেনিস এর মতে রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ হলো একটি বিশেষ পথ। এই পথে সমাজ তার রাজনৈতিক জ্ঞান, মনোভাব, রীতিনীতি ও মূর‌্যবোধকে এক প্রজম্ম হতে অন্য প্রজম্মে প্রভাবিত করে। langton বলেন মৌলিক অর্থে রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ বলত...

জাতিবর্ণ প্রথা কী?

  জাতিবর্ণ প্রথা কী? সামাজিক স্তরবিন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধরণ হলো জাতিবর্ণ প্রথা। প্রাচীন কাল থেকে ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় বিশেষ করে  হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এ প্রথার প্রচলন বেশি লক্ষ্য করা যায়। হিন্দুদের প্রাচীন শাস্ত্রবেদ বর্ণিত ৪টি বর্ণের কথা বলা হয়েছে। যাদের বিভিন্ন শ্রেণি, বিভিন্ন পেশা, রীতিনীতি, আচর আচরণ, সুযোগ সুবিধা মূল্যবোধ ইত্যাদির ভিন্নতা বিদ্যমান।আর এসব পার্থক্য তাদের বংশধারা  এবং ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর এসবের স্থানে যারা জড়িত তারাই জাতিবর্ণ প্রথার অন্তর্ভূক্ত। জাতিবর্ণ প্রথা যে শুধু ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় দেখা যায় তা নং বরং প্রাচীন মিশর, জাপান, আধুনিক মিয়ানমার, আমেরিকা ও ইউরোপেও জাতিবর্ণ প্রথা ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়। তবে জাতিবর্ণ প্রথা হিন্দু ধর্মে বেশি দেখা যায়। জাতিবর্ণঃ  সাধারণত জাতিবর্ণ প্রত্যয়টি হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। জাতি বর্ণের ইংরেজি প্রতিশব্দ Caste. Caste শব্দটি এসছে স্প্যানিশ শব্দ  Casta থেকে। Casta শব্দটির অর্থ হলো কুলজাতি বা বংশ ধারা। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সমাজের অসমতা বোঝাতে পর্তুগিজরা জাতিবর্ণ শব্দটি ব্যবহার করেন। সুতরা...

বাংলাদেশে বন্যা সংঘঠিত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।

বাংলাদেশে বন্যা সংঘঠিত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। প্রাকৃতিক দূর্যোগের মধ্য বন্যা অন্যতম।প্রতিবছরই বাংলাদেশে বন্যা সংঘঠিত হয়ে থাকে। তবে সব বছর মাত্রা সান থাকেনা কোন বছর বেশি কোন বছর কম। বন্যা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তবে বন্যা সংঘঠিত হওয়ার পিছনে মানুষই অনেকাংশে দায়ী। বাংলাদেশে বন্যা সংঘঠিত হওয়ার কারণসমূহঃ বাংলাদেশের বন্যা কখনো অনাকাঙ্খিতভাবে আবর কখনও নদীর পানি বাড়ার কারণে সংঘঠিত হয়ে থাকে। নিম্নে বাংলাদেশে বন্যা সংঘঠিত হওয়ার কারণসমূহ আলোচনা করা হলো- ১। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতঃ বর্তমানে বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির অন্যতমকারণ হলো অতিবৃষ্টি। কারণ, অতিবৃষ্টির ফলে বাংলাদেশের নিম্নভূমি নিমজ্জিত হয়ে বন্যার রুপ নেই। যা প্রাকৃতিক দূর্যোগ হিসেবেও পরিচিত। অতিবৃষ্টির বন্যা সাধারণত বর্ষাকালে সংঘোঠিত হয়। ২। বৈশ্বিক উষ্ণায়নঃ বর্তমানে বৈশিক উষ্ণতার কারণে কখনো কখনো অতিবৃষ্টি হয় আবার সমুদ্রের পানির উষ্ণতার ফলে এদেশের নদীতে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা পানিতে ডুবে যায় এবং বন্যার সৃষ্টি হয়। ৩। নদী খননের অপ্রতুলতাঃ বর্তমানে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা যথেষ্ট হলেও এসকল নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা...

নির্ভরশীলতা প্যারাডাইম এর উৎপত্তির কারণসমূহ লেখ

নির্ভরশীলতা প্যারাডাইম এর উৎপত্তির কারণসমূহ লেখ সমাজবিজ্ঞানীদের আলোচনার  অন্যতম বিষয়বস্তু হলো সমাজ রাষ্ট্র দেশ ও জাতি। তাদের এসব ব্যাখ্যা করা চিরন্তর। সমাজবিজ্ঞানীরা যেমন একদিকে সমাজকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে ভাগ করেছেন অন্যদিকে সেগুলোর পেক্ষাপটে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চিত্রও আলোচনা করেছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নে যে সকল তত্ত্ব দেন তা আধুনিকায়ন তত্ত্ব নামে পরিচিত। আধুনিকায়ন তত্ত্বের মাধ্যমে অনুন্নত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন না করতে পারায় এ তত্তের সমালোচনা লেখা শুরু হয় । এ সমালোচনা লেখা থেকে আর একটি নতুন তাত্ত্বিক  মতবাদ সৃষ্টি হয় যা নির্ভরশীলতা প্যারাডাইম নামে পরিচিত। নির্ভরশীলতা প্যারাডাইমঃ ইংরেজি Dependency শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ নির্ভরশীলতা।সাধারণত নির্ভরশীলতা বলতে কোন কিছুর জন্য অন্যের উপর নির্ভর করাকে বুঝায়। নির্ভরশীলতা শব্দটি আর্থসামাজিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত।  এটি এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্ব এক ধরনের নির্ভরশীল সম্পর্কের মধ্য প্রবেশ করে। যার মধ্য দিয়ে নির্ভরশীল রাষ্ট্রগুলো অধস্তন অবস্থায় পতিত হয়। নির্ভরশীলতা প্যারাডাইম এর উৎপত্তি...

জর্জ হার্বার্ট মিড কে ছিলেন? জর্জ হার্বার্ট মিডের প্রতীকী মিথস্ক্রিয়া তত্ত্বটি পর্যালোচনা কর।

প্রশ্নঃ জর্জ হার্বার্ট মিড কে ছিলেন? জর্জ হার্বার্ট মিডের প্রতীকী মিথস্ক্রিয়া তত্ত্বটি পর্যালোচনা কর। অথবা, জর্জ হার্বার্ট মিডের কাঠামোবাদী প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ এবং পরিচিতি তত্ত্ব অলোচনা কর। ভূমিকাঃ অধুনিক সমাজতাত্ত্বিকদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞানে যারা গুরুত্ব অবদান রেখেছেন হার্বার্ট মিড তাদের মধ্যে অন্যতম।সমাজবিজ্ঞানে জর্জ হারবার্ট মিডের  প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ তত্ত্বটি গুরুত্ব বহন করে। যদিও  প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ একটি সামাজিক মনোবিজ্ঞানীর দৃষ্টভঙ্গি। মিথস্ক্রিয়া মূলতসামাজিক এবং সামাজিক সম্পর্কের অধ্যয়নের উপর জোর দেই। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। জর্জ হার্বার্ট মিডের জীবনীঃ জর্জ হার্বার্ট মিড শিকাগো স্কুলের একজন বাস্তববাদী দার্শনিক। হারবার্ট মিড ১৮৬৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ হ্যাডলি নামক স্থানে জম্মগ্রহন করেন। হার্বার্ট মিডের পিতার নাম Herm Mead এবং মাতার নাম  Elizabeth Storrs Billing. হার্বার্ট মিড ছিলেন তার মাতা-পিতার ২য় সন্তান। ১৮৮০ সালে হারবার্ট মিডের পরিবার দক্ষিণ হ্যাডলি থেকে  ওহিও অঙ্গরাজ্যের Oberlin...

সিস্টেম তত্ত্ব কী

সিস্টেম তত্ত্ব কী? ব্যবস্থা তত্ত্ব কী? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন আলোচনায় সিস্টেম তত্ত্ব নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাম্প্রতিককালের সামাজিক বিশ্লেষণে সিস্টেম তত্ত্ব অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে এর উৎপত্তি হলেও কালক্রমে সিস্টেম তত্ত্ব শুধুমাত্র  সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার আসন স্থায়ী করেছে তাই নয় বরং শিক্ষা কলা ও চারু শিল্পের মত শিল্পের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব রয়েছে সুদূরপ্রসারী।ডেভিড স্টন হলেন ব্যবস্থা তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা। সিস্টেম তত্ত্বঃ সাধারণভাবে সিস্টেম তত্ত্ব বলতে বোঝায় পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন সহযোগী এককের এমন এক ধরনের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে যাতে ঐ এককগুলির যে কোন একটির পরিবর্তনে অন্য এককগুলোর পরিবর্তন সাধিত হয়। সিস্টেম তত্ত্বের মূল লক্ষ্য কোন ব্যবস্থার সামগ্রিক পর্যালোচনা। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সিস্টেম তত্ত্বকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন নিম্নে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা প্রদান করা হলো। Morton Kaplan এর মতে ''সিস্টেম তত্ত্ব পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ একরাশি উপাদান, যা তার পরিবেশ থেকে বিছিন্ন এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষে...

AGIL প্রত্যয়টি ব্যাখ্যা কর

Image
AGIL প্রত্যয়টি ব্যাখ্যা কর। ট্যালকট পারসন্স ছিলেন বিংশ মতকের একজন অন্যতম আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী। তিনি কাঠামোগত কার্যকারিতার আলোকে তার Social Action, Social System, Social Change  সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বের ব্যাখ্যা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি সমাজবিজ্ঞানকে সামাজিক ক্রিয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আবার Action এর সাথে তিনি সমাজবিজ্ঞানকে সামাজিক পরিবর্তন ও ব্যবস্থার মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন। AGIL পরিকল্পনার ব্যাখ্যাঃ নিম্নে সংক্ষেপে AGIL Scheme এর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো- ১। অভিযোজনঃ অভিযোজন পদ্ধতি এবং পারস্পরিক অবস্থার মধ্যে সম্পর্ক দেখানো হয়। এটা দুই ধরনের। যথা- (ক) বশ্যতা বা আত্মসমর্পণ (খ) সুবিধাকরণ। পরিবেশের চাপের মাধ্যমে বশ্যতা স্বীকার করা হয়। আর সুবিধাকরণ হলো অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। ২। লক্ষ্য অর্জনঃ পারসন্সের মতে প্রত্যক কাজেরপিছনেই একটি লক্ষ্য রয়েছে। লক্ষ্য দুই প্রকার যথা (ক) অভিপ্রায় লক্ষ্য (খ) অনভিপ্রায় লক্ষ্য। অভিপ্রায় লক্ষ্যঃ এটা মানুষের জন্য জরুরি ও প্রাথমিক  প্রয়োজন নির্দেশ করে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্বচ্চলতা আনয়ন করা। অনভিপ্রায় লক্ষ্যঃ মানুষের সব লক্ষ্য...

মার্টনের ক্রিয়াবাদী তত্ত্বের উদ্দেশ্যগুলো লিখ।

মার্টনের ক্রিয়াবাদী তত্ত্বের উদ্দেশ্যগুলো লিখ। আধুনিক সমাজতাত্ত্বিক জগতে রবার্ট কে মার্টন একজন অন্যতম ক্রিয়াবাদী তাত্ত্বিক। বস্তুত উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ উপযোগিতাবাদ বিপ্লবোত্তর ফরাসি চিন্তাবিদদের দ্বারা ক্রমাগত সমালোচিত হচ্ছিল। ফরাসিদের মতে ব্যক্তির অবাধ স্বাধীনতা সম্পুর্ণ হলেও সামাজিক শৃঙ্খলা সম্পর্ণূরুপে বিকশিত হবে না। নগরায়ন, শিল্পায়ন ও বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রভৃতি যে অচলাবস্থার জম্ম দেয় তা চিন্তাবিদদের মধ্যে নতুন চিন্তাধারার জম্ম দেয় বা অনুপ্রেরণা যোগায়। আর এ নব চেতনার বিকাশই ক্রিয়াবাদী সমাজবিজ্ঞানী রবার্ট কে মার্টন অত্যান্ত সুন্দর ও দক্ষতার সাথে সামাজিক কাঠামোগত ক্রিয়াতত্ত্ব প্রদান করেন। মর্টান বর্ণিত ক্রিয়াবাদী তত্ত্বের উদ্দেশ্যঃ  রবার্ট কে মর্টানের ক্রিয়াবাদী তত্ত্বের তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে।  যথাঃ ১।ক্রিয়াবাদ এর রক্ষণশীল মতবাদকে খন্ডন করা। ২। Funcitional Analysis প্রত্যয়গত এ তাত্ত্বিক কাঠামো বিস্তৃত করে। ৩। সমাজবিজ্ঞান তত্ত্ব তৈরীর কৈশল আবিষ্কার করে। এই তিনটি উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে মর্টান তিনটি বৈশিষ্ট্যর কথা বলেন। যথা- ১।সমাজব্যবস্থার ক্রিয়াগত ঐক্য ২। সামাজিক ...

মার্টনের আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী কী?

  মার্টনের আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কী কী? সমাজবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী রবার্ট কে মার্টনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি সরাসরি বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেননি বরং এর সাথে সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করেছেন। তিনি মূলত কইয়াবাদী দৃষ্টিকোণ থেকেই আমলাতন্ত্রের ধারণা দেন। মর্টান বর্ণিত অমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যঃ সমাজবিজ্ঞানী রবার্ট কে মার্টন সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তার মধ্যে আমলাতন্ত্র অন্যতম। নিম্নে রবার্ট কে মার্টনের আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ তুলে ধরা হলো- ১। মার্টন বর্ণিত আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক ধরনের অফিসের সন্নিবেশ। অর্থাৎ কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় যেখানে আমলারা কার্য সম্পাদন করবে। ২। আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিটি পদমর্যাদা নির্ধারণ করে কিছু দায়িত্ব এবং সুবিধাদি যা সুনির্দষ্ট বিধি দ্বারা  সংজ্ঞায়িত ও সীমিত। ৩। স্তরবিন্যাসের মাধ্যমে প্রত্যকটি পদমর্যাদা নিরধারিত। ৪। মার্টনের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিটি অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব, কর্তব্য এ দক...

রাজনীতি কাকে বলে? গ্রামীণ রাজনীতির সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পৃক্ততা আলোচনা

রাজনীতি কাকে বলে? বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ । এদেশের ধনী-গরীব সকলের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। যে কারনে এখানে সবাই সমান ও সবাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করে। কারন আমাদের দেমে বহুদলীয় রাজনৈতিক দল রয়েছে। রাজনৈতিক দল একটি দেশের সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কারন, রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে।  রাজনীতিঃ রাজনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ Politics যার বাংলা অর্থ হলো রাজনীতি। যখন কোন বিশেষ দল সরকার গঠন করার প্রত্যয় নিয়ে জনগণ ও সরকারের মাঝে যোগসূত্র স্থাপন করে তখন তাকে রাজনীতি বলে। কারন, রাজনীতির মাধ্যমে একটি দেশের সরকার ও জনগণের মাঝে এক বিশেষ ধরনের সম্পর্ক বিরাজমান করে যা দেশের উন্নয়নে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।  রাজনীতি হলো জনগণের অধিকার আদায়ের একটি দলিল। রাজনীতির মাধ্যমেই জনগণের সকল ধরনের অধিকার রক্ষা হয়। রাজনীতি হলো জনগণের সাথে সরকারের সেতুবন্ধন। বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটল বলেন ‌‍‍''যে সমাজে বাস করে না সে হয় পশু না হয় দেবতা । তেমনি রাজনৈতিক বন্ধনহীনভাবে কোন সচেতন মানুষ থাকতে পারে না।'' প্রফেসর ফাইনর বলেন '' রাজনীতি হলো আসলে এক ধরনের আচর...

পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর জীবনী

  পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর জীবনী পল্লী কবি জসীম উদ্দীন একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। 'পল্লীকবি' উপাধিতে ভূষিত, জসীম উদ্দীন আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি। জন্মঃ  ১ জানুয়ারি ১৯০৩    পূর্ণ নামঃ  মোহাম্মাদ জমীর উদ্দীন মোল্লা । বাবার নামঃ  আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থঃ রাখালী, নকশী কাঁথার মাঠ, বালুচর, ধানখেত,সোজন বাদিয়ার ঘাট, হাসু প্রভৃতি। মৃত্যু ১৪ মার্চ ১৯৭৬ (বয়স ৭৩)। জম্ম ও পারিবারিক পরিচয়ঃ  জসীম উদ্দীন১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত) বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলানায় জন্মগ্রহণ করেন। জসীম উদ্দীনের পুর্ণ নাম মোহাম্মাদ জমীর উদ্দীন মোল্লা ডাকনাম জসীম উদ্দিীন নামেই পরিচিত। তার বাবার বাড়ি ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মায়ের নাম আমিনা খাতুন (রাঙাছুট)। শিক্ষাজীবনঃ  জসীম উদ্দীন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও পরবর্তীতে ফরিদপুর জেলা স্কুল...

প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ কী? অহঃবোধ কি?

প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ কী? ভূমিকাঃ সামাজিক মনোবিজ্ঞানে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হলো প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ। প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ মূলত একটি সামাজিক মনোবিজ্ঞান দৃষ্টিভঙ্গি, যা সমাজবিজ্ঞানের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। এটি বিমূর্ত সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তে মানবিক ব্যবহারের মূর্ত দিক। এই প্রত্যয়টি প্রথম Georage Herbert mead and Herbert Blumer ব্যবহার করেন। প্রতীকী মিথস্কিয়ার সংজ্ঞাঃ সাধারণভাবে মিথস্ক্রিয়া হচ্ছে সমাজস্থ মানুষের কার্যকরণ সম্পর্ক।আর এই কার্যকরণ সম্পর্কযখন ভাষা কিংবা প্রতীকের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় তথন তাকে প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ বলে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ B. Sushmar তাঁর Dictionary of sociology (1987)  গ্রন্থে বলেন ''Symbolic interaction and the typical form of communication interaction characteristic of human social life, involving either language or symbolic gestures. অর্থাৎ প্রতীকী মিথস্ক্রিয়াবাদ বলতে বোঝায় মানুষের সামাজিক জীবনের যোগাযোগ এবং আন্তঃক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যের একটি আদর্শ রুপ যা ভাষা কিংবা প্রতীকধর্মী ইশারা ইঙ্গিতের সাথে জড়িত।'' F. Abra...