Posts

Showing posts from December, 2024

জর্জ হোমান্স এর সামাজিক আচরণ সম্পর্কিত প্রধান নীতিমালা ব্যাখ্যা কর

  প্রশ্নঃ জর্জ হোমান্স এর সামাজিক আচরণ সম্পর্কিত প্রধান নীতিমালা ব্যাখ্যা কর। ভূমিকাঃ জর্জ ক্যাসপাস হোমান্স একজন আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ। এই চিন্তাবিদ ক্ষুদ্র গোষ্ঠির সামাজিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অগ্রসরমান পরীক্ষালব্ধ পূর্বানুমান এবং ব্যাখার ক্ষেত্রে একজন পথিকৃৎ তাত্ত্বিক হিসেবে সমাদৃত। এই তাত্ত্বিক সমজাবিজ্ঞানী ট্যালকট পারসন্স এর সাথে দীর্ঘদিন ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিনিময় তত্ত্ব ও স্তরায়ন তত্ত্ব সমাজবিজ্ঞানী হোমেন্সের দুইটি উল্লেখযোগ্য তাত্ত্বিক অবদান। জর্জ হোমান্স এর সামাজিক আচরণ সম্পর্কিত প্রধান নীতিমালাঃ সমাজবিজ্ঞানী George Homan's  সামাজিক বিনিময় তত্ত্বকে সংক্ষেপে তিনটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে বর্ণণা করেছেন। প্রস্তাবনা তিনটি হলো- (ক) সাফল্য প্রস্তাবনা (Success Proposition):  যখন কোন ব্যক্তি কোনো কাজের জন্য পুরস্কৃত হয় তখন সে কাজটি পুনরায় এবং বার বার করতে থাকে। এটাকে হোমান্স সাফল্য প্রস্তাবনা নামে অবিহিত করেছেন। (খ) কর্মপ্রেরণা প্রস্তাবনা (Stimulate Proposition):  অতীতে কোন ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি উদ্দীপৃত হয়, ব্যক্তি তত তাড়াতাড়ি...

পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যে ৫ টি পার্থক্য লেখ।

Image
পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যে ৫ টি পার্থক্য লেখ। পরিবার হলো বাবা মা ভাই বোন একত্রে বসবাস করার নাম। পরিবার ছাড়া সমাজ গঠিত হয় না। বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয়। পরিবারের ধরন দেশ, কাল, পাত্র, ক্ষমতা, আবাসন ইত্যাদি ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। পরিবারের প্রধান দুটি ধরন হলো পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক। এ পরিবার সাধারনত পরিবারের ক্ষমতা কাঠামোর উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে। অর্থাৎ বলা যায় পরিবারের ক্ষমতা যার উপর ন্যস্ত হবে পুরুষ বা নারী তার উপর ভিত্তি করেই এই পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের উদ্ভব। পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যে পার্থক্যঃ পরিবার হলো একটি সর্বজনীন সামাজিক প্রতিষ্ঠান। নিম্নে পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের মধ্যে ৫টি পার্থক্য উল্লেখ করা হলো- ১। যে পরিবারের কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা পরিবারের পিতা, স্বামী বা বয়স্ক কোন পুরুষের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে। অর্থাৎ বয়স্ক পুরুষ এখানে ক্ষমতা ধারন করে। অপরদিকে, যে পরিবারের কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা পরিবারের মাতা, স্ত্রী বা বয়স্ক কোন নারীর হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে। ২...

সামন্ততন্ত্র বলতে কি বুঝায়?

  সামন্ততন্ত্র বলতে কি বুঝায়? রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর মধ্যযুগে  ইউরোপে বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপে দাসপ্রথা নির্ভর সমাজব্যবস্থায় অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ অরাজকত, বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার কারণে একসময় দাসপ্রথা সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়ে নতুন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠে সামন্তপ্রথা নামে। দাসপ্রথার পর নতুন রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে ভূমি ব্যবস্থায় সামরিক কাঠামোর মাধ্যমে যে নতুন প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠে তাই ইতিহাসে সামন্তপ্রথা নামে পরিচিত। সামন্ততন্ত্রঃ feudalism বা সামন্তবাদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ Feodails এবং ফরাসি শব্দ  Feodalite থেকে। Feud বা Fief থেকে এসেছে Feudalism শব্দটি। Feudalism  এর অর্থ হচ্ছে সামন্ত প্রভূদের অধীনস্থ ভূখন্ড। fief এর মালিক বা লর্ডদেরকে খাজনার শর্তসাপেক্ষে যেসব কৃষক বা প্রজারা জমি চাষাবাদ করতো তাদেরকে সামন্ত বা vessel বলা হতো।একই অর্থে সম্রাটের vessel ছিলো রাজা বা সামন্ত প্রভুরা। কারণ এই সামন্তপ্রভূরা vessel দের মতো সম্রাটকে খাজনা দিত অথবা vessel এর প্রয়োজনে ভূমি গ্রহণকারী সামন্তপ্রভূরা তাদের সাময়িক  সাহায্য প্রদানে অঙ্গিকারবদ্ধ থাকত...

ট্যালকট পারসন্স এর সামাজিক ক্রিয়াতত্ত্ব আলোচনা কর।

ট্যালকট পারসন্স এর সামাজিক ক্রিয়াতত্ত্ব আলোচনা কর। আদর্শ, উদ্দেশ্য, প্রকৃত ও চিন্তন প্রক্রিয়ার স্বকীয়তার কারনে ট্যালকট পারসন্স এর চিন্তা ভাবনা কিছুটা অতীত ও বিচ্ছিন্ন। তবুও তিনি সমাজবিজ্ঞান অর্থনীতি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমাজবিজ্ঞানের উন্নতি ও অগ্রগতিতে কার অবদান সর্বাধিক। তিনি মূলত ক্রিয়াবাদী তাত্ত্বিক। তার চিন্তাধারা জটিল ও বিমূর্ততায় আচ্ছন্ন। ট্যালকট পারসন্স এর সামাজিক ক্রিয়াতত্ত্বঃ সমাজবিজ্ঞানের ইতিহাসে ট্যালকট পারসন্স এর অবদান খুবই অসামান্য। তিনি Classical Theory (শাস্ত্রীয় তত্ত্ব) ব্যবহার করে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বসমূহ দাড় করাতে চেয়েছিলেন। ক্রিয়াবাদী সমাজবিজ্ঞানীদের জগতে তার অবদান বিশেষভাবে স্বীকৃত। পারসন্স ছিলেন একজন Micro Sociologists। তিনি মনে করতেন যে সামাজিক সম্পর্কে সামাজিক কর্মের দ্বারা বিশ্লেষিত হতে পারে। অর্থাৎ পারসন্স অবস্থা বিশ্লেষণে Action বা কর্মের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ১৯৩৭ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ The Structure of Social Action প্রকাশিত হয়। এ গ্রন্থে তিনি Social Action সম্পর্কিত তত্ত্বটি প্রদান করেন। ট্যালকট পারসন্স তিনটি প্রধান Inte...

সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। Discuss the importance of sociology lessons

  সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। Discuss the importance of sociology lessons মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাই তার স্বভাব। সৃষ্টিলগ্নে মানুষ ছিলো অসহায় তাই তারা সমাজ গড়ে তোলে। আর এ সমাজকে নিয়ে আলোচনা করে সমাজবিজ্ঞান। সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ও মানুষের আচার-আচরণ জীবনযাত্রা প্রণালী সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এছাড়া সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে আমরা সমাজের সাথে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কেও জানা যায়।  সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তাঃ  মানুষের প্রয়োজনেই সমাজের উদ্ভব। আর সমাজের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণের জন্য সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি। সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ১। মানব সভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভঃ  সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে আমরা মানব সভ্যতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি।আদিম যুগে মানুষ কিভাবে বসবাস করত । তাদের জীবনযাত্রা কেমন ছিলো তাদের আচার আচরণ, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার অন্যতম উৎস হলো সমাজবিজ্ঞান (sociology)। ২। মানুষ সম্পর্কে জ্ঞান লাভঃ  মানুষ সৃষ্টির...

একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর Discuss the origin and evolution of sociology as an independent science

একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও  ক্রমবিকাশ আলোচনা  (Discuss the origin and evolution of sociology as an independent science) অথবা, সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর। অথবা, সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব ও বিকাশ আলোচনা কর। সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করায় মানুসের স্বভাব। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। মানুষের এসব সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি । সমাজবিজ্ঞান একদিনেই  সৃষ্টি হয়নি। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমে সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি। অগাস্ট কোঁৎ এর হাত ধরে সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি তাই তাকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশঃ  সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ একদিনে হয়নি এবং এ নিয়ে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত। নিম্নে সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- ১। প্লেটোর অবদানঃ  সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে প্লেটো আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যেটি ছিলো তার আদর্শ সমাজ কাঠামো। ২। এরিস্টটলের অবদানঃ  এরিস্টটল ছিলেন গ্রিক দার্শনিক এবং প্লেটোর ছাত্র। তিন...

পুঁজির ধরনগুলো আলোচনা কর।

পুঁজির ধরনগুলো আলোচনা কর। জেমস স্যামুয়েল কোলম্যান ছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিক একজন আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী, তাত্ত্বিক এবং প্রয়োগিক গবেষক। আমেরিকান সমাজবিজ্ঞান সমিতি এর একজন সভাপতি ছিলেন। কোলম্যান শিক্ষা সমাজবিজ্ঞান এবং জননীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তাছাড়া সামাজিক পুঁজি প্রত্যয়টি ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন জেমস কোলম্যান। তাঁর রচিত The Adolescent Society (1961), এবং Coleman report (Equality of educational oppertunity, 1966) গ্রন্থ দুইটি শিক্ষা সমাজতত্ত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচ্য।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় শিক্ষা নীতির পূনর্বিন্যাস, উৎপাদনমুখিতা এবং সমতার অনুঘটক নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোলম্যানের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। কোলম্যানের সামাজিক পুঁজিঃ প্রখ্যাত আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী জেমস স্যামুয়েল কোলম্যান তাঁর Fundations of social Theory গ্রন্থে সামাজিক পুঁজি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন অসংখ্য সম্পদ পারিবারিক সম্পর্ক এবং সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠনের মধ্যে পাওয়া যায়। তিনি বিশ্বাস করেন শিশুর জ্ঞানগত এবং সামাজিক বিকাশের জন্য সামাজিক পুঁজি অপরিহার্য। 'সামা...

CERD কী? CERD এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

  CERD কী? অথবা, convention on the elimination off all forms of racial discrimination কী?  CERD স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ কোনভাবেই তার নাগরিক তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, অর্থনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে তাদের সাথে কোনরুপ অসম রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করবে না, কোনো জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় আইন বৈষম্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করবে না। CERD চুক্তিঃ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৯৬৫ সালে ২১ শে ডিসেম্বর পৃথিবীর সর্বপ্রথম বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণে একটি সাধারণ সনদ উপস্থাপন করা হয় । যাতে পৃথিবীর অধিকাংশ কার্যাবলির ১৯ নং প্রতিবেদন হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়। এই অধিবেশনকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় CERD বা convention on the elimination off all forms of racial discrimination এই অধিবেশনে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাকে CERD চুক্তি বলা হয়। CERD এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ CERD চুক্তি মূলত তৎকালীন বিশ্ববাস্তবতার কতকগুলো বিষয়কে সামনে রেখে কিছু সাধারণ সমস্যা দূরীকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের  মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণঃ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এবং জীব ও প্রাণী জম্মগতভাবে স্বাধীন...

রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর

Image
  প্রশ্নঃ রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ 👉👍(প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স) (সমাজবিজ্ঞান ‍বিভাগ) (বিষয়কোড-৪১২০০৯) (রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান) ভূমিকাঃ  রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান (political sociology) হলো মূলত একটি মিশ্র প্রকৃতির বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সমন্বয়ে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান লাভ করে। এই দুই বিজ্ঞানের মধ্যে চলমান সংযোগ সম্পর্কের ফলে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব হয়েছে। বিশ শতাব্দির পূর্ব থেকেই মানুষের জ্ঞান চর্চার অগ্রগতির ফলে সমাজবিজ্ঞানের শাখা সমূহ পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।আর এই শাখাগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়। আর এই শাখাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের আবির্ভাব মূলত আধুনিককালে। যদিও এর আবির্ভাব আধুনিককালে তারপরও এর বিকাশ এখনও  বর্তমান। বর্তমানে বিশ্বের গতিশীল রাজনীতিতে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের নতুন নতুন ধারা সংযোজিত হচ্ছে যার ফলে মানুষের নিকট রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশঃ   সমাজবিজ্ঞান বিভাগ সমূহের মধ্যে রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব মূলত আধুনিককালে। এট...

সুশীল সমাজ বলতে কী বোঝায়?

Image
  সুশীল সমাজ বলতে কী বোঝায়? একটি গণতান্ত্রিক দেশে সুশীল সমাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার জন্য সুশীল সমাজ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পাল করে। উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুশীল সমাজ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।কারণ সুশীল সমাজ সবসময় সরকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বজায় রাখে যাতে সুযোগ পায় দেশে র জনগণ এবং সরকার ও জনগণ উভয় যাতে রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে। কারণ সরকার সবসময় জনগণের জন্য কাজ করে ও জনগণ সরকারের আনুগত্য প্রকাশ করে। সুশীল সমাজঃ সুশীল সমাজের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Civil Society সুশীল সমাজ হলো এমন এক ধরনের গোষ্ঠী যারা সবসময় জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে। সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ স্বতন্ত্র কোন রাজনীতি করে না। কারণ এরা কোন দলের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে না, হোক সরকারি বা বিরোধী কোন দল। সুতরাং সুশীল সমাজ হলো এমন এক ধরনের গোষ্ঠী যারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সংযুক্ত না থেকে সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে। প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সুশীল সমাজের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কয়েকটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় সংজ্ঞা ...

বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির পার্থক্য লিখ।

Image
বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির পার্থক্য লিখ। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন আবিষ্কার করে এবং তা তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে যা তাদের সংস্কৃতি বহন করে। মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি, বিচার, বিবেচনা, কলাকৌশল ইত্যাদি দ্বারা আবিষ্কার করে এসব বস্তু সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে। আর এ বিষয়গুলো মানুষের নৈতিক থেকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা, জ্ঞানের অগ্রগতি সাধন সবই সংস্কৃতির অবদান। বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির পার্থক্যঃ বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির পার্থক্য সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি কি সেটা জানতে হবে। বস্তুগত সংস্কৃতিঃ যেসব সংস্কৃতির আকার আছে অর্থাৎ বস্তুগত উপাদান দ্বারা তৈরী বা অস্তিত্ব বিদ্যমান তাই বস্তুগত সংষ্কৃতি। যেমন- ঘরবাড়ি, দালানকোটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ইত্যাদি ।  অবস্তুগত সংস্কৃতিঃ যেসব সংস্কৃতির আকার নেই বা দেখা যায় না তাই অবস্তুগত সংস্কৃতি। যেমন- মানুষের মূল্যবোধ, চেতনা, নীতি, নৈতিকতা এগুলোর সমন্বিত রুপই অবস্তুগত সংস্কৃতি। নিম্নে বস্তুগত ...

উন্নয়নশীল দেশ কাকে বলে? উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ

Image
প্রশ্নঃ উন্নয়নশীল দেশ কাকে বলে?  উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ মাস্টার্স ফাইনাল- উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের সমাজবিজ্ঞান বিষয় কোড-৩১২০০৫ উন্নয়নশীল শব্দটি একটি গতিশীল অবস্থাকে নির্দেশ করে। তাই বলা যায়, যে সব দেশের জনগণ উন্নত জীবনযাত্রার মানের আশায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে সচেতনভাবে উন্নতির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দেশের সম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রমশ উন্নতির পথে ধাবিত হচ্ছে, যার ফলে ভবিষ্যৎ এ এসব দেশের উন্নয়নের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব দেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলে। উন্নয়নশীল দেশঃ    উন্নয়নশীল দেশ  বলতে সে সব দেশকে বোঝায় যে সব দেশে কিছুটা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং ক্রমশ উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে।  আবার,  উন্নয়নশীল দেশ বলতে স্বল্পোন্নত দেশ অথবা এলডিসি হিসেবে আখ্যায়িত প্রধানত নিম্ন আয়ের দেশকে বোঝায়।  এছাড়া যে সকল দোশের জীবনযাত্রার মান কম, অনুন্নত শিল্পাঞ্চভিত্তিক এবং মানব উন্নয়ন সূচক অপরাপর দেশের তুলনায় নিম্নমুখী সেগুলো উন্নয়নশীল দেশরুপে চিহিৃন্ত করা হয়। উন্নয়নশীল দেশসমূহে জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান উন্নত দেশের তুলনায় কম। বস্তুত,  উন্নয়নশীল দেশ বলতে...

রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ অলোচনা কর?

Image
রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ অলোচনা কর? রাষ্ট্র হলো জনগণের চূড়ান্ত আশা ভরসার প্রতীক। মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ স্তরে চাহিদা পূরণ ও অধিকার সংরক্সণের জন্যই রাষ্ট্রে উৎপত্তি হয়েছে। রাষ্ট্র ছাড়া মানুষের পূর্ণ বিকাশ ঘটতে পারে না। তবে এই রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মাঝে বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রের উৎপত্তির কথা বলেছেন। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদসমূহঃ রাষ্ট্রে উৎপত্তি সংক্রান্ত যেসব উল্লেখযোগ্য মতবাদ রয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো- ১। ঐশী মতবাদঃ রাষ্ট্রে উৎপত্তি সংক্রান্ত প্রথম মতবাদ হলো ঐশী মতবাদ। এ মতবাদের মূল কথা হলো রাষ্ট্র ঐশ্বরিকভাবে সৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান।রাষ্ট্র মানুষের সৃষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান নয়। রাজা বা শাসক ঐশ্বরিকভাবে সৃষ্ট তাই তারা নির্ভূল। তারা যা বলবে তাই সঠিক। যেহেতু রাজা বা শাসক ঐশ্বরিক সৃষ্টি তাই তারা শাসককে সর্বময় হিসেবে মানতো এবং ভাবতো রাজাই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু এ মতবাদ গ্রহণযোগ্য নয়।কেননা এটা মেনে নিলে রাজা স্বৈরাচারী হয়ে উঠার সম্ভবনা বেশি থাকে।এতে রাষ্ট্রে কল্যাণ ব্যাহত হতে পারে। ২। সামাজ...

রক্ষণশীলতা কী? রক্ষণশীল ও প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে পার্থক্যসমূহ

Image
রক্ষণশীলতা কী? মানবসমাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।সময়ের সাথে সাথে সমাজেও লেগেছে ব্যাপক পরিবর্তনের ছোঁয়া। বর্তমান সমাজে আজও দুই ধরনের গোষ্ঠী দেখা যায়। একদল হলো প্রগতিশীল যারা নতুনকে গ্রহণ করতে চায়। অন্যদল হলো রক্ষণশীল যারা পুরাতনকে আকড়ে ধরে পড়ে থাকতে চায়। তারা পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারে না। রক্ষণশীলতাঃ রক্ষণশীলতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Conservatism.  যার অর্থ নতুন কোন বিষয়কে মেনে না নেওয়া। সাধারণভাবে রক্ষণশীলতা বলতে বুঝায় প্রগতিশীলতার বিপরীত ধারণাকে। অর্থাৎ যে সমাজে পরিবর্তন সহজে মেনে নেওয়া হয়না এবং প্রচলিত সমাজব্যবস্থাকে আকড়ে ধরে ধর্মীয় নীতিবোধ, রীতিনীতি ও আদর্শকে প্রাধান্য দেওয়া হয় সে সমাজকে রক্ষণশীল সমাজ বলা হয়। যারা অতীত ঐতিহ্য, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কার, কর্ম, পন্থা, প্রথা ইত্যাদি সবকিছুকে অতীত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বজায় রাখতে চায় এবং পরিবর্তনশীল মনোভাব তৈরি করতে পারে না। নতুনকে গ্রহণ করার অভ্যাস তাদের নেই তারা পুরাতনকে নিয়ে পড়ে থাকতে চায় তাকে রক্ষণশীলতা বা রক্ষণশীল সমাজ বলে। উদাহরণস্বরুপঃ সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বী তারা তাদের পুরাতন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চায়। তারা পুরাতন সব প্রথাকে মেনে চলে। এমনকি ...

গণসংখ্যা নিবেশন কী? গণসংখ্যা নিবেশনের বৈশিষ্ট্যসমূহ

Image
  গণসংখ্যা নিবেশন কী?  গণসংখ্যা তত্ত্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণসংখ্যা নিবেশন হলো এমন একটি পরিসংখ্যান প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় উপাত্তসমূহকে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিতে বিভক্ত করে। আবার তথ্যগুলোর উপর ভিত্তি করে গণসংখ্যার পুনরাবৃত্তি ঘটে  আর তার সংখ্যাগুলোর সংখ্যাকে ঐ পরিমাণ বা গণসংখ্যা বলে। গণসংখ্যা নিবেশন এ সীমা নির্ধারণের সহায়তা করে থাকে এবং শ্রেণি অন্তর্ভূক্ত নির্দেশ করে। গণসংখ্যা নিবেশনঃ  গণসংখ্যা নিবেশন হলো চলক সম্পর্কিত বিস্তৃত ও বিশৃঙ্খল রাশি তথ্যের সারণিকরনের মাধ্যেমে সংক্ষিপ্ত  আকারে প্রকাশ করার একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। বস্তুত কতকগুলো উপাত্তকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে এগুলোকে কোনভাগে পড়লবা অন্তর্ভূক্ত হলো তা দেখবার জন্য  যে সারণি বা টেবিল পাওয়া যায় তাকে গণসংখ্যা নিবেশনবা গণসংখ্যা বিন্যাস বলে। ড. শাহজান তপনের মতে প্রপ্ত স্কোরে প্রদর্শিত উপাত্ত হলো অবিন্যস্ত উপাত্ত এবং এই উপাত্তগুলোকেই যখন শ্রেণি নির্দেশ করে দেখানো হয় তখন তাকে বলা হয় শ্রেণিবদ্ধ উপাত্ত। যে বিন্যাস্ত উপাত্ত শ্রেণিতে ঘটন সংখ্যা বন্টন সুনির্দিষ্ট করে তাকে গণসংখ্যা নিবেশ...

সনেট ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর জীবনী

Image
  সনেট ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর জীবনী মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের সময়ে মধুসূদন প্রথম কাব্য চর্চা শুরু করেন। তাকে  এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন নিজ মাতৃভাষার প্রতি মনোযোগ দেন। এ পর্বে তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করেন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষ ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়নের উপ্যাখান অবলম্বনে রচিত মেঘনাবধ কাব্য নামক মহাকাব্য। মাইকেল মধুসূধন এর জম্মঃ মাইকেল মধুসূধন জম্ম গ্রহণ করেন ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি । পিতামাতাঃ পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত ও মাতার নাম জাহ্নবী দেবী। ছদ্মনামঃ টিমোথি পেনপোয়েম। ...

মেগাসিটি কি? প্রধান শহর ও মেট্টোপলিটন শহরের মধ্যে পার্থক্য লিখ

Image
মেগাসিটি কি? বিশ্বব্যাপী নগরায়ন প্রক্রিয়ায় মেগাসিটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। একটি বিশাল এলাকায় অপরিমেয় বাড়তি জনঘনত্ব নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে এবং একটি নতুন মাত্রার বিকশিত হয়েছে যা অবকাঠামোগত আর্থসামাজিক এ পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি করেছে। অধিকন্ত এর উত্তরণের প্রবৃদ্ধির ফলে মেগাসিটির জনসংখ্যা অর্থনৈতিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা চরম সীমায় পৌঁছাতে পারে। মেগাসিটিঃ আধুনিক যুগে মেগাসিটি বলতে এমন মেট্টোপলিটন এলাকাকে বুঝায় যার জনসংখ্যা ১কোটির বেশি। আবার অনেক জনসংখ্যা বিশরদ মনে করেন যে শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ২০০০ জন ন্যূনতম তাকেই মেগাসিটি বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় মেগাসিটি বলতে একক মেট্টোপলিটান এলাকাকে বুঝায় কিংবা সমন্বিতভাবে কয়েকটি মেট্টোপলিটান এলাকাকে বুঝায় যোগুলো ধীরে ধীরে একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়ে। আদমশুমারীর সংজ্ঞা অনুযায়ী  যদি কোন মেট্টোপলিটন এলাকার জনসংখ্যা ৫০  লক্ষ বা তার বেশি হয় তবে উক্ত মেট্টোপলিটন এলাকাটিকে মেগাসিটি হিসেবে অভিহিত করা হয়। সর্বশেষ বলা যায় ঢাকাকে বাংলাদেশের একমাত্র মেগাসিটি বলা যেতে পারে। এটি প্রায় দুই দশক ধরে মেগাসিটি হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। প্রধা...

বিবর্তন কি? হার্বার্ট স্পেন্সারের সামাজিক বিবর্তন তত্ত্ব

Image
বিবর্তন কি? হার্বার্ট স্পেন্সারের সামাজিক বিবর্তন তত্ত্ব ভূমিকাঃ  সমাজ স্বাভাবিকভাবেই একটা  ‘super-organic system’ যা কতকগুলি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যক্তির জীবন ধারনের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরী করে। এছাড়া সমাজ কতকগুলি সুশৃঙ্খল কর্মকান্ডের মাধ্যমে পরিবেশের সাথে সংগ্রামে লিপ্ত, সেখানে হয় সে টিকে থাকে নয়তো তার ভাঙন ঘটে, এভাবেই সমাজ এগিয়ে চলে বিবর্তনের পথে। বিবর্তনঃ  হার্বার্ট স্পেন্সার ১৮২০ সালে  ইংল্যান্ডের ডার্বি নগরে জম্মগ্রহণ করেন। উনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে নতুন ধারণা প্রবর্তিত হয়, ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশিত হয় অনেক বক্তব্য।  তাত্ত্বিকদের চিন্তা হয়ে উঠে পার্থিব। বিবর্তন বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজম্ম থেকে প্রজম্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর ক্রমপরিবরতনকে বোঝায়। তখন এ বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হয় যে, মানুষ বিশেষ ধারায় বিবর্তনের মাধ্যমে এই বর্তমানে এসে পৌছেছে।  H. Spencer তাঁর প্রখ্যাত ‘Social Statics’ গ্রন্থে সামাজিক বিবর্তনের উপর নতুন দর্শন প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন বিবর্তন হচ্ছে সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা একটি নির্দিষ্ট ...