প্যারেটোর যুক্তি পরীক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে লিখ।
ভূমিকা: সমাজ চিন্তার ইতিহাস এ প্যারেটোর অবদান এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।সমাজ সম্পর্কিত তার চিন্তা ও তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা, বিশেষ, বৈশিষ্ট্য ও সমৃদ্ধ। তিনি যুক্তিবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তার যুক্তিবাদ যেন পূর্ববর্তীকালের ডেকার্টের যুক্তি থেকে ভিন্ন। প্যারেটোর সমাজতাত্ত্বিক আলোচনার অন্যতম মৌলিক বিষয় যুক্তি পরীক্ষণ পদ্ধতি।
প্যারেটোর যুক্তি পরীক্ষণ পদ্ধতি
প্যারেটো মনে করেন, মার্কসবাদ একটি অগ্রহণযোগ্য মতবাদ। তবুও ইতালীয় যুবকদের কাছে কেন এটি এক জনপ্রিয় হয়ে উঠল এ নিয়ে তিনি জোর গবেষণা শুরু করেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি অনুভব ধরণের যে, মানুষেরয় কর্মশীলতা ও কর্মকান্ড কোন Rational কার্মকান্ড দ্বারা চালিত এবং ভাবাবেগ দ্বারা নিঃসৃত।
প্যারেটোর সমাজতাত্বিক আলোচনার অন্যতম যৌলিক বিষয় হলো যুক্তি পরীক্ষণ পদ্ধতি। তাঁর সমাজতত্ত্ব মূলত যুক্তি পরীক্ষণ (Logico experimental) পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল। এ পদ্ধতির মূলসূত্র হলো পরীক্ষণ ও যুক্তির আশ্রয়ে সমাজ বিশ্লেষণ। এখানে দূরকল্পনামূলক বা স্বজ্ঞার (Speculation or Intuition) জোন ভূমিকা নেই। প্যারেটোর যুক্তি পরীক্ষণ পদ্ধতি তিনটি মৌল উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
যথা- ১. পর্যবেক্ষণ (Observation);
২. বস্তুনিষ্ঠ (Objective) এবং অভিজ্ঞতা (Experience),
৩. পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞত্য থেকে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া।
এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এই পদ্ধতি আরোহ (inductive) পদ্ধতির অন্তর্গত। উল্লেখ্য, এ যুক্তি পরীক্ষণ প্রক্রিয়ার চিন্তার আধারে ভাবাবেগ (Sentiment) সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত, যদিও অধিকাংশ ভাবাবেগ থেকেই সৃষ্ট আচরণের নির্দেশক হিসেবে কাজ করছে যুক্তি পরীক্ষণ চিন্তা (Logico-Experiment thinking)।
প্যারেটো মানুষের মধ্যকার দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন।
যথা: ক. যৌক্তিক ক্রিয়া (Logical Action)। যেমন-Science and Logic.
খ. যৌক্তিকতাবিহীন ক্রিয়া (Non-Logical Action)। যেমন-Sentiment.
প্যারেটো মনে করেন, সমাজে মানুষের অধিকাংশ কর্মকাণ্ডই যুক্তিহীন, যা Sentiment বা আবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়। অপরদিকে অল্প কিছু কর্মকাণ্ড আছে যা যুক্তিযুক্ত, এগুলো বিজ্ঞান দ্বারা পরিচালিত। তাই প্যারেটো মনে করেন যে, সমাজে মানুষ যুক্তির চেয়ে Sentiment দ্বারাই বেশি পরিচালিত হয়। তাঁর মতে মানুষ কোন কাজ করার আগে চিন্তা করে না এবং কোম কাজ করার পর বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে তাকে Rationalization করার চেষ্টা করে। যেমন-অযথাই চাকরকে চড় মেরে ঘটনাকে যৌক্তিক করার জন্য বলা হয় যে, চাকর চা আনতে দেরি করেছে। যুক্তিহীন ক্রিয়া ও যৌক্তিক ক্রিয়া সম্পর্কে Finer বলেন, "যদি তুলনা করে দেখা হয় তাহলে কোনটা যুক্তিসংগত ও কোনটা অযৌক্তিক তা বেরিয়ে আসবে। মূলত ভা নিজেই নির্ধারণ করবে। যখন তুলনা করে উভয় দিক হতে প্রমাণিত হবে কোন কর্মকাণ্ড যৌক্তিক তখনই তা বৈধতা পাবে।" (Thus the criterion as to what is logical and what is non logical is a comparism, a comparism between the ends-meansclalship as by the performer as seen by the observer. Where the two correspond the action is logical, where they fail to correspond the action is non logical.)
প্যারেটোর Method কে আমরা নিম্নোক্তভাবে উপস্থাপন করতে পারি-
i. Non-Logical Experiment;
ii. Sentiment is the predominate force in the society.
iii. Not laws but tendences are atomost achievement of social research society is not govern by laws.
iv. Social System কে Mind দ্বারা ব্যাখ্যা করতে হবে।
v. Many action is mostly guided by non rational act.
vi. মানুষের সামাজিক ব্যবহারে দুটি বিপরীত ধর্মীয় প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। যথা a. Logic b. Seatiment.
vii. সমাজবিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতোই যৌক্তিক হতে পারে।
vili. Society is system in which inquire is distributed.
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, প্যারোটা যুক্তি পরীক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যথা: যৌকিক ক্রিয়া ও যৌক্তিকতাহীন ক্রিয়া: প্যারেটো যৌক্তিক ক্রিয়া বলতে সেসব ত্রিকাকে বুঝিয়েছেন যা যুক্তি যারা প্রভাবিক ও পরিচালিত। আর যে ক্রিয়ার উদ্দেশ্য ও উপায় সম্পূর্ণ অসংগত এবং তাদের মাধ্য সামঞ্জস্যহীনাতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তখন তাকে স্মৃতিহীন ক্রিয়া বলা হয়।