নেতৃত্বের কার্যাবলি কি কি?

নেতৃত্বের কার্যাবলি কি কি?

ভূমিকাঃ- বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তাই এখানে যে কেউ ভোট প্রদান করতে পারে আবার যে কেউ নেতা হতে পারে এর মূল কারণ এখানে সবাই সমান। তাই কারো কোন কাজে এখানে বাধা নেই। আমাদের দেশে যে ধরনের নেতা রয়েছে তার অধিকাংশই দলীয় নেতা। গ্রাম থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যন্ত একজন নেতা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত। যা আমাদের দেশের জন্য অপরিহার্য। কারন নেতা ছাড়া যেমন সমাজ চলতে পারে না তেমনি রাজনীতি নেতা ছাড়া পরিচালিত হতে পারে না। তাই এখানে নেতৃত্বে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

নেতৃত্বের কার্যাবলি  কি কি

নেতৃত্বের কার্যাবলিঃ একজন নেতার বেশ কিছু গুণাগুণ থাকবে যা তার কার্যাবলি হিসেবে পরিচিতি পায়। নিম্নে নেতৃত্বের কার্যাবলি আলোচনা করা হলো।

১।  দলীয় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও অনুপ্রেরণা প্রদানদলীয় শান্তি শৃংঙ্খলা ও অনুসারীদের অনুপ্রাণীত করার জন্য তাদেরকে ভালো কাজের জন্য মাঝে মাঝে পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়।

২।  দলীয় নীতিমালা অনুসরণ: দলীয় লক্ষ্যের স্বার্থে সকল নেতাগণ তার দলের দেওয়া নীতিমালা অনুসারে কাজ করে যায়। যা একদিকে দলীয় স্বার্থ বজায় থাকে অন্যদিকে জনগণের সেবা করা যায়।

৩। সম্পদের যথাযথ ব্যবহার: দলীয় স্বার্থ এ লক্ষ্য আর্জনের জন্য দলীয় সমস্ত বস্তুগত ও অবস্তুগত সম্পদ ব্যবহারের ক্ষমতা নেতার থাকতে হয়। এতে দলীয় স্বার্থ যেমন রক্ষা পায়, তেমনি জনগণের কল্যাণও নিশ্চিত হয়।

৪। সংগঠিতকরণদলীয় সদস্যদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ভিত্তিতে সংগঠিতকরণ করতে হবে। সবাইকে একটি সাধারণ উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা একজন নেতার বিশেষ দক্ষতা।

৫। পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসুষ্ঠু ও সু-উপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে দলীয় লক্ষ্য অর্জনের দিকে  লক্ষ্য রেখে সফলভাবে কাজ করতে হবে।

৬। কর্মসূচির মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা প্রদান: দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জনগণ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন ধরনের  কোন্দল সৃষ্টি করা যাবে না। তাহলে দেশের রাজনীতির সুনাম নষ্ট হবে বরং শান্তিপূর্ণ বার্তা দেওয়া একজন নেতার দায়িত্ব। এতে রাজনৈতিক সহনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং দেশের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।

৭। সম্পর্ক ও প্রশিক্ষণ উন্নয়নদলীয় সদস্যসহ এলাকায় সকল ব্যক্তির মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখাসহ বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তন হয় এবং মানুষের বিভিন্ন কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

৮। সম্মান প্রদর্শন: একজন আদর্শ নেতা তার দলের লোকজনের প্রতি যেমন সম্মান প্রদর্শন করবে তেমনি অন্যদলের লোকজনের প্রতি ও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। যা রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখতে সহায়তা করে

উপরের আলোচনা হতে পরিশেষে বলা যায় যে, নেতৃত্ব কেবল একটি পদ নয়, এটি দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমষ্টি । আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের জন্য নেতার নেতৃত্ব মানা অপরিহার্য। কারন, কোন দোশ বা সমাজ পরিচালনার জন্য নেতার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই তাই আমাদের সবার নেতার নোতৃত্ব মেনে চলতে হবে। তবে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন সাধিত হবে।

No comments:

Post a Comment