শত্রু সম্পত্তি আইন কী? 'ত্রিত্ববাদ' বলতে কী বুঝ

শত্রু সম্পত্তি আইন ও ত্রিত্ববাদ বলতে কী বুঝ?

ভূমিকা: ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে তখন যারা তাদের সম্পত্তি রেখে পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ আগ করে ভারতে স্থায়ীভাবে চলে গিয়েছিল তাদের হলয়িগুলোই শত্রু সম্পত্তি নামে অভিহিত। ১৯৭৪ সাল থেকে এর নাম অর্পিত সম্পত্তি দেওয়া হয়। ২০১১ সালে এ আইনের কিছু সংশোধনী হয়।

শত্রু সম্পত্তি আইন কী? 'ত্রিত্ববাদ' বলতে কী বুঝ

শত্রু সম্পত্তি আইন: ভূমিসংক্রান্ত যে আইনে শত্রু সম্পত্তিকে স্বর্ণিত সম্পত্তি হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটাই শত্রু সম্পত্তি আইন। ১৯৯৫ সালে 'ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস' ঘোষিত বিধিমালা অনুসারে ১৯৬৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব নাগরিক পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায় তাদের পরিতাক্ত সম্পত্তি 'শত্রু সম্পত্তি হিসবে তালিকাভুক্ত হয়। এয়ায় ১৯৭৪ সালে 'শত্রু সম্পত্তি এম শরিবর্তন করে "অর্পিত সম্পত্তি" রাখা হয়। এ সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে মূল মালিকদের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে "হদির সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন ২০০১" প্রণয়ন করা হয়। তবে তা বস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা জারি না করায় আইন সুগার দীর্ঘকাল কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সুম্ভব হয়নি। এ মাইন ২০০১ সালে ও ২০১১ সালে সংশোধন করা হয়। প্রসাশন্বিত আইনের ৯ক ধারা অনুযায়ী সরকারি গেজেটে মৌজাভিত্তিক জেলাওয়ারি তালিকা প্রকাশের পর কোনো বাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেকে অর্পিত সম্পত্তির বাতিদাহ মনে করলে আর দাবি সমর্থন প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ সরকারি গেজেট প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি অথবা ট্রাইব্যুনালে উক্ত সম্পত্তি অবযুক্তির জন্য আবেদন করার পারবেন। বর্তমানে ২০১১ সালের সংশোধিত আইনের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ছোট তফসিল প্রকাশিত হয়েছে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, এ আইনের সুফল মাতে বঞ্চিতদের নিকট পৌঁছে যায় সেজন্য পরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। এখানে দেওয়ানি কার্যবিধির সীমিত প্রয়োগ রয়েছে। এ আইন অনুযায়ী প্রত্যার্পণযোগ্য সম্পন্তির হয়ায়র নিষিদ্ধ। শত্রু সম্পত্তি আইন বাংলাদেশে ভুমি জটিলতা দূর করতে কিছুটা সহায়তা করেছে। তাই এর গুরুত্ব নিঃসন্দেহে অনেক।


'ত্রিত্ববাদ' বলতে কী বুঝ? 

ভূমিকা: ত্রিত্ববাদ বা Trinity খ্রিষ্টান ধর্মের একটি ধারণা। খ্রিষ্টধর্মের আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে ত্রিভুবাদের জন্ম। জিতুবাদ দ্বার। মানুষকে ব্যাখ্যা করায় ডেটা করা হয় বাইবোল। যেকোনো একক বিষয় এখানে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।

ত্রিত্ববাদ: ত্রিত্ববাদ বা Trinity খ্রিষ্টধর্মে পিতা, খুত্র ও গ্যাকে বুঝায়। খ্রিষ্টান বাইবেলে পবিত্র ঈশ্বর, পবিত্র যিশু খ্রিষ্ট এবং পবিত্র আত্মাকে একত্রে না রেখে পৃথকভাবে ব্যাখ্যার মাধ্যমে ত্রিত্ববাদ ধারণার জন্ম। এটি খ্রিষ্টান ধর্মের একটি আধ্যাত্মিক বিষয়। খ্রিষ্টধর্মে চার্চের পোগ নয় বরং তারও উর্ধো এথনিক রীতিনীতি অনুযায়ী ত্রিত্ববান ব্যাখ্যা করা হয়। এখানে পবিত্র ঈশ্বরকে তিনটি, ভাগে ভাগ করে যেমন পরিত্র ঈশ্বর নিজে, তার পুত্র যিশু খ্রিষ্ট এবং পবিত্র আত্মা এই ডিনটি বিষয় পৃথকভাবে দেখিয়ে ত্রিভুবাদ বলা হয়েছে। এই পৃথক তিন বিষয়ে বিশ্বাস স্থাগমই ত্রিত্ববাদ, যা খ্রিষ্টান বাইবেল বর্ণিত।

এখানে পৃথক তিন বিষয়ের তিনটি পৃথক পৃথক কাজ দেখানো হয়। এভাবে যেকোনো মানুষকে তারা ত্রিত্ববাদ দ্বারা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে থাকে। তারা বলে এখানে ব্যক্তি নিজে এবং তার পিতা এবং যার তাত্মা এই তিনটি বিষয় একটি মূল ভিত্তি থেকে এসেছে। এরপর পৃথিবীতে তিনটি পৃথকভারে কাজে নেয়ে গড়েছে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ত্রিত্ববাদ ধারণা খ্রিষ্টান ধর্মের একটি প্রচলিত মিথ মাত্র। যদিও বাইবেলে এর কিছুটা অংশের দেখা মিলে। খ্রিষ্টান ডাইমেনশনডগোতে স্নিত্ববাদ একটি মানসিক ধারণা। এর বাস্তবভিত্তিক কোনো প্রমাণ নেই। তাই ত্রিত্ববানকে খ্রিষ্টান মিথ হিংসান বিবেচনা করাই যুক্তিযুক্ত।।

No comments:

Post a Comment