উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপন, গুরুত্ব ও সমস্যা আলোচনা
ভূমিকা: বর্তমানে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িক তথ্য বিভিন্ন ধরনের লৈখিকন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে। পরিসংখ্যানে তথ্যগুলোকে সহজে বোধগম্য করার জন্য উপাত্তের লৈখিকা উপস্থাপনের প্রয়োজন হয়।
উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপন: উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপন কথাটির অর্থ হলো উপাত্তসমূহকে লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন পরিসংখ্যানের উপাত্তগুলোকে সহজে বোধগম্য করার জন সাধারণত শ্রেণি বিন্যাস ও ছক বিন্যাসিত উপাত্ত থেকে সেগুল্যে প্রকৃতি সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা যায় না। এক্ষেত্রে উপাত্তসমূহতে যদি লেখচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তাহলে উপাত্তগুলো তাৎপর্য সহজে বোধগম্য হয়। যখন পরিসংখ্যানিক উপাত্তসমূহতে লেখচিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করা হয় বা প্রদর্শিত হয় তম তাকে লেখচিত্রের সাহায্যে উপাত্তের উপস্থাপন বলে।
উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপনের গুরুত্বসমূহ
ভূমিকা: গাণিতিকভাবে উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে তাদের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করা যায় না বিধায় লেখচিত্রের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপনের গুরুত্ব নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
১. সহজবোধ্যতা: লেখচিত্র সারণিবদ্ধ তথ্যের মধ্যে কোনো সংযোগ করে না। তবে তাদেরকে সুসংবদ্ধ এবং সহজবোধ্যভাবে করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২. চাক্ষুস বিশ্লেষণ: একবার দেখলেই লেখচিত্রের তথ্য সম্পর্কে মোটামুটি জন লাভ করা যায়। গাণিতিয় হিসেবে এটি ব্যবহার নয়।
৩. উপাত্তের তুলনা: লেখচিত্রের মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত উপাত্তের তুলনা সারণির চেয়ে অনেক সহজ হয়ে থাকে।
৪. সময় ও ব্যয় হ্রাস: সারণির মাধ্যমে উপায়সমূহ বিশ্লেষণ সময় সাপেক্ষ এবং যায়সাধ্য। এবং কম পরিশ্রম হয়।।
৫. আকর্ষণীয়তা: লেখচিত্র সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। লেখচিত্র দেখতে আকর্ষণীয় ও কৌতূহলোদ্দীপক। এটি বিজ্ঞানের কাজে লাগে।
৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণ: পরিসংখ্যান বিদ্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে লেখচিত্রের উপস্থাপন সারণির চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী।
৭. ভুলত্রুটি উদঘাটন: সংগৃহীত তথ্যসমূহের মধ্যে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে লেখচিত্রের সাহায্যে তা সহজেই উদঘাটন করা যায়।
৮. পরিসংখ্যান প্রণালিতে লেখচিত্র: কতকগুলো পরিসংখ্যান প্রণালি, যেমন- Inter polanon. Extrapolation Median, Mode Regression analysis ইত্যাদি উপস্থাপনে লেখচিত্র বেশি উপযোগী।
উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপনের সমস্যা আলোচনা কর।
ভূমিকা: লেখচিত্র উপাত্তকে সহজবোধগম্য করে। লেখচিত্র উপাত্তকে সহজভাবে ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। লেখচিত্রের সাহায্যে উপাত্ত উপস্থাপনের যেমন অনেক উপযোগিতা রয়েছে তেমনি রয়েছে এর কিছু সীমাবদ্ধতা। এর গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম।
যে উপাত্তের লৈখিক উপস্থাপনের সীমাবদ্ধতা নিম্নে বর্ণনা করা হলো
১. লেখচিত্রের দ্বারা প্রকাশিত উপাত্তের বিস্তায়িত উপাত থাকে না।
২. লেখচিত্র থেকে কোনো চলকের সঠিক মান নির্ণয় করা যায় না।
৩ লেখচিত্রে উপাত্তসমূহ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহৃত হয়।
৪. মৌলিক উপাত্ত সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় না। এ লেখচিত্র এ নিয়ে জটিল পরিসংখ্যানিক উপাত্ত উপস্থাপন করা সম্ভব নয়।
৬. দ্বি-চলকের উপাত্তসমূহ বেশি হলে লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এবং উপাত্তটি কঠিন হয়ে যায়
৭. লেখচিত্রের মাধ্যমে উপাত্তের উপস্থাপন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
৮. লেখচিত্র পরিসংখ্যানের সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না।
৯. লেখচিত্রে উপার উপস্থাপনের যথাযথ অবলম্বন না করলেও যত্নশীল না হলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা নাকে।
পরিশেষে বলা যায় যে, লেখচিত্র উপাত্তসমূহতে সহজ ও বোধগম্য করে এবং লেখচিত্রের উপাত্তসমূহকে ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রের লেখচিত্রের মাধ্যমে উপাত্ত উপস্থাপন অতান্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

No comments:
Post a Comment