উপনিবেশবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের পার্থক্য আলোচনা কর

উপনিবেশবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের পার্থক্য আলোচনা কর

উপনিবেশবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের বৈশাদৃশ্যগুলো আলোচনা কর।

ভূমিকা: ঔপনিবেশিক শাসন আন্তর্জাতিক রাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। শক্তিশালী দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে বিভিন্ন উপায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে দখল করে ঔপনিবেশিক শাসন কায়েম করে। প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রভূমিগুলো যেমন- প্রাচীন মিশর, পারস্য, রোম, গ্রিস যুদ্ধের মাধ্যমে অন্য দেশে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে। ইউরোপের দেশগুলোই ঔপনিবেশিক, সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে, আরব, মোঙ্গল এবং চৈনিকরাও এক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ ছিল না।

উপনিবেশবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের পার্থক্য আলোচনা কর


উপনিবেশবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের মধ্যে পার্থক্য

অনেকে নব্য উপনিবেশবাদ ও উপনিবেশবাদকে একই আর্থ ব্যবহার করেন। আসলে উভয়ের মধ্যে আদর্শ, উদ্দেশ্য, ধরন ও কাঠামোগত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। নিম্নলিখিত আলোচনার মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে:

১. উদ্দেশ্যগত পার্থক্য (Motivational difference): নব্য উপনিবেশবাদের উদ্দেশ্য হলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা। অন্যদিকে, উপনিবেশবাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করার জন্য ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ কায়েম করা।

২. আদর্শগত পার্থক্য (Idealization difference): ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র থেকে অর্থনৈতিক শোষণের মাধ্যমে নিজ ছিল। বলা হয়, "Colonialism in its sest sense is a দেশের সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা উপনিবেশবাদের আদর্শ natural overflow of nationality." অন্যপক্ষে, নব্য উপনিবেশবাদের আদর্শ হলো সরাসরি অর্থনৈতিক শোষণ নয়, সমাজবাদী ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহের উৎপাদিত পণ্যের ভার সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক শোষণ শোষণ।

৩. সময়মত পার্থক্য (Time difference): সময়মত পার্থক্য হলো উপনিবেশবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের অন্যতম প্রধান পার্থক্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত উপনিবেশবাদ ছিল। মূলত উপনিবেশবাদের পরিসমাপ্তি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ঘটে। অপরদিকে, নব্য উপনিবেশবাদের যাত্রা শুরু হয় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র নব্য ঔপনিবেশিক শক্তি।

৪. স্বার্থগত পার্থক্য (Egoistic difference): নিজেদের স্বার্থে প্রায়শই ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদীরা দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হতো এবং এক্ষেত্রে তারা বহির্বিশ্বের চাপকে ভয় পেত না। অপরপক্ষে, কারণ ছাড়া নব্য ঔপনিবেশিক কোনো শক্তি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের দিক থেকে বা নিজেদের স্বার্থে যখন তখন দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে বিশ্বশান্তি বিনষ্ট করতে পারত না।

৫. কৌশলগত পার্থক্য (Technical Difference): শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য অধিবাসীদেরকে পৃথিবীর সকল ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো অনুন্নত Colony-গুলোর রাখার চেষ্টা করে এবং অর্থনৈতিকভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এর মূল লক্ষ্য হলো পরনির্ভরশীলতা সৃষ্টি করা। কিন্তু নব্য উপনিবেশবাদে স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য কারিগরি সাহায্য প্রদান করে থাকে।

৬. শিক্ষা ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য (Educational and cultural difference): সরাসরিভাবে নিজেদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রসমূহে অনুপ্রবেশ করিয়ে সাম্রাজ্যবাদকে শক্তিশালী করা উপনিবেশবাদের লক্ষ্য ছিল। অন্যদিকে, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে যেমন- ডিস এন্টেনা, বি বি সি, সি এন এন এবং বিভিন্ন বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সাবেক ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদী দেশসমূহের সংস্কৃতিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলে পরিচিত ঘটানো নব্য উপনিবেশবাদের লক্ষ্য।

৭. শাসন ও শোষণগত পার্থক্য (Domination and exploitation difference): নব্য উপনিবেশবাদের উদ্দেশ্য হলো নিজেদের অস্ত্রের বাজার টিকিয়ে রাখার জন্য এক রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের সীমানাগত কৌশল ও দ্বন্দ্ব বজায় রাখা। অন্যদিকে, উপনিবেশবাদের উদ্দেশ্য ছিল ঔপনিবেশিক রাজ্যের অভ্যন্তরে যোগাযোগ সৃষ্টি করে নিজেদের শাসন ও স্বার্থকে টিকিয়ে রাখা।

৮. সামরিক কৌশলগত (Military technical): নব্য উপনিবেশবাদে দেখা যায়, অনুন্নত রাষ্ট্রের সাহায্যে সহযোগিতার নামে উন্নত রাষ্ট্রগুলো নিজেদের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে। অপরপক্ষে, উপনিবেশবাদের ঔপনিবেশিক রাজ্যগুলো থেকে লোক সংগ্রহ করে তাদের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করে।

৯. রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পার্থক্য (Difference in political sector) : রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উপনিবেশবাদে প্রত্যক্ষভাবে শাসকরা শোষণ করে। ঔপনিবেশিক রাজ্যগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উপনিবেশবাদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু নব্য উপনিবেশবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও মৌলবাদকে উৎসাহিত করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।

১০. অর্থনৈতিক পার্থক্য (Economical difference): - উপনিবেশবাদে ঔপনিবেশিক শক্তিসমূহ কলোনিগুলোতে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ চালাত। স্বীয় স্বার্থে তারা জনগণের উপর বিভিন্ন নীতি আরোপ করতো। অন্যদিকে, নব্য উপনিবেশবাদে স্বাধীন দেশগুলোতে নানা অর্থনৈতিক সাহায্য ও সহযোগিতা এ প্রদান করে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোটের মাধ্যমে শোষণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

১১. জাতীয় শক্তির ক্ষেত্রে (Sector of national power): নব্য উপনিবেশবাদে বর্তমানে কোনো রাষ্ট্র তার জাতীয় শক্তি বাড়াতে পারে অন্য রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু উপনিবেশবাদে কোনো রাষ্ট্র ইচ্ছা করলেই তার জাতীয় শক্তি বৃদ্ধি করতে পারত না।

১২. আধুনিক অর্থে (Modern perspective) : উপনিবেশবাদের শাসন ছিল বর্বর যুগের। কারণ সেখানে দেখা গেছে ঔপনিবেশিক জনগণ ছিল অসহায় ও সম্বলহীন। অপরদিকে, নব্য উপনিবেশবাদে দেখা যাচ্ছে আধুনিক পদ্ধতি এখানে সকল মানুষই কমবেশি জানে। কিন্তু তারা অর্থনৈতিক দিক থেকে অধস্তন বলে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা করে।

১৩. পদ্ধতিতে পার্থক্য (Methodological Difference): নব্য উপনিবেশবাদের শাসন ও শোষণের পদ্ধতি হচ্ছে পরোক্ষ। অপরদিকে, উপনিবেশবাদে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের পদ্ধতি ছিল প্রত্যক্ষ।

১৪. কাঁচামালের ক্ষেত্রে (Sector of raw-material): নব্য উপনিবেশবাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের বিশ্ব বাজার গড়ে তোলা এবং কাঁচামাল সংগ্রহ করা। অন্যদিকে, উপনিবেশবাদের মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের উৎপাদনের জন্য সস্তায় শ্রম ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা।

১৫. স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে (Sector of duration): নব্য উপনিবেশবাদের স্থায়িত্ব উপনিবেশবাদের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু উপনিবেশবাদের স্থায়িত্ব ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

উপনিবেশবাদের বর্তমান প্রকৃতি (Present nature of colonialism):

উপনিবেশবাদ বর্তমান আন্ত র্জাতিক রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে বিশেষ করে ১৯৩৯ সালের পূর্বে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বের দুর্বল রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে বিশ্বের দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসে ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। নিচে উপনিবেশবাদের বর্তমান প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ তুলে ধরা হলো:

১. বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ: বৃহৎ বা একক শক্তি হিসেবে রাষ্ট্রের পরিচিতি লাভ করা উপনিবেশ স্থাপনের অন্যতম। কারণ। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ব্রিটিশদের যে উপনিবেশ ছিল, তার মূলভিত্তি বৃহৎ আকারের ভূখণ্ড। অর্থনৈতিক, সামাজিক, ভূখণ্ড এবং সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে এটা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে বৃহৎ আকারের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর।

২. শাসনব্যবস্থার প্রকৃতি: উপনিবেশভুক্ত অঞ্চলে ঔপনিবেশিক যুগে বিশেষ করে দখলকৃত অঞ্চলে দখলদার দেশ বা প্রভু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বা শাসকের নামে সমস্ত শাসনকার্য চালানো হতো। যেমন- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ও পূর্বে রাজা বা রানির নামে শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তা বর্তমানেও স্বীকৃত। এ শাসনব্যবস্থার উপনিবেশভুক্ত অঞ্চলগুলোতে রাজা বা রানি দেশের প্রতিনিধি তথা মন্ত্রিপরিষদের মাধ্যমে শাসনকার্য চালাতেন।

৩. রাজনৈতিক অবস্থার গতিধারা: রাজনৈতিক পরাধীনতা স্বীকার করে নেওয়া উপনিবেশবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি। সাধারণত উপনিবেশভুক্ত অঞ্চলগুলোতে রাজনৈতিক স্বাধীনতা রক্ষা করা হতো না। এসব অঞ্চলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তেমন একটা পরিলক্ষিত হয় না। অর্থাৎ, তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা। ছিল না। কিন্তু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক আন্দোলন জোরদার করা হয় ঔপনিবেশিকতার শেষের দিকে।

৪. জাতীয়তাবাদী চরিত্র: জাতীয়তাবাদী চরিত্র হিসেবে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গতিধারাকে ত্বরান্বিত করা উপনিবেশবাদের আরেকটি লক্ষ্য। বিশেষ করে, স্বাধীনতা লাভের জনা আপামর জনতা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের দিকে ঝুঁকে পাড় ঔপনিবেশিক শাসনের শেষ পর্যায়ে ঔপনিবেশিক বা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে বিতাড়িত করে।

৫. সামরিক হস্তক্ষেপ: ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলো তাদের সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে উপনিবেশিবাদ এর বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিজেদের তাঁবেদার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং সামরিক বাহিনীর আয়তন বৃহৎ করার নিমিত্তে তাদের ঔপনিবেশিক অঞ্চলগুলোতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করতো।

৬. অর্থনৈতিক লাভ: অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি লাভ করা উপনিবেশবাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। অর্থাৎ, উপনিবেশিক অঞ্চলগুলোতে অর্থনৈতিক শোষণের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। বিভিন্ন প্রকার কর আরোপ, জমিদারি প্রথা প্রবর্তন প্রভৃতির মাধ্যমে জনগণের উপর অর্থনৈতিক শোষণ চালাত। তাছাড়া, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো তাদের দখলকৃত অঞ্চল থেকে কাঁচামাল শোষণ করে তা থেকে তৈরিকৃত দ্রব্যাদি পুনরায় তাদের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে বিক্রি করতো।

৭. ধর্মীয় অনুভূতি: সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র বা প্রভু রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব Colony বা উপনিবেশভুক্ত এলাকাগুলোতে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য বিভিন্ন মিশনারিজ ও দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলতো। কারণ, উপনিবেশবাদের ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনভূতি যথেষ্ট ইন্ধন যুগিয়েছে। এভাবে তারা সাধারণ জনগণকে প্রভাবিত করতো।

৮. সামাজিক কারণ: সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করা উপনিবেশিকবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। এ কারণে উঁচুনিচু শ্রেণির মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়। ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র বা Colony উপনিবেশভুক্ত জনগণের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সৃষ্টি করে। এ বৈষম্য বর্তমানেও বিদ্যমান।

৯. সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ: উপনিবেশবাদের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে সংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ তথা সাংস্কৃতিক কারণকে চিহ্নিত করা যায়। ঔপনিবেশিক অঞ্চলগুলোতে নিজস্ব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতো। এ কারণে সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ হিসেবে ঔপনিবেশিক শক্তি নিজেদের সংস্কৃতিকে ঔপনিবেশিক এলাকাগুলোর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

১০. পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তন: পাশ্চাত্য শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করা উপনিবেশবাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। এলিট শ্রেণি তৈরি করার জন্য পাশ্চাত্য শিক্ষার অনুপ্রবেশ ঘটায় আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, নিজস্ব রাষ্ট্রের প্রতিপত্তি স্থাপন করে Colony বা উপনিবেশগুলোকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে দাবিয়ে রাখা। এজন্য বলা যায় উপনিবেশবাদের প্রকৃতিগুলোকে এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সময়ে এর ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকগুলো জনগণের কাছে বেশি পরিচিত পায়। তবে, উপনিবেশবাদের নেতিবাচক দিকের সাথে কিছু ইতিবাচক প্রভাবকেও অস্বীকার করা যায় না।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post