বহুপর্যায়ী নমুনায়ন কী? স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য লিখ

বহুপর্যায়ী নমুনায়ন কী?  স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য

উত্তর: নমুনায়ন হলো একটি কৌশল। নমুনা নির্বাচন কর হয় কৌশলের মাধ্যমে। এ কৌশলকে সাধারণত দু'ভাগে ভাল করা যায়। যথা সম্ভাবনা ও নিঃসম্ভাবনা নমুনায়ন। সম্ভাবন নমুনায়ন পদ্ধতির অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে বহুপর্যায়ী নমুনায়ন।

বহুপর্যায়ী নমুনায়ন কী? স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য

বহু পর্যায়ী নমুনায়ন: এই পদ্ধতি গুচ্ছ নমুনায়নে একটি বর্ধিত রূপ। এই পদ্ধতিতে প্রথমে সমগ্রকটিকে কয়েকটি গুচ্ছে পরিণত করে দৈব নমুনায়নের সাহায্যে কয়েকটি গুচ্ছ চয়া করা হয়। চয়নকৃত গুচ্ছগুলোকে প্রথম পর্যায়ী একক বলে তারপর পর্যায়ী একক বা গুচ্ছগুলোকে আবারও গুচ্ছে পরিণ করে সেখান থেকে দৈবচয়নের সাহায্যে নতুন কিছু গুচ্ছ চায় করা হয়। অনুরূপভাবে প্রয়োজন অনুসারে কয়েক পর্যায়ে গুল চয়ন করে শেষ পর্যায় থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে নমুনার জন্য একক সংগ্রহ করা হলে তাকে বহু পর্যায় নমুনায়ন বলা হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, বহুপর্যায়ী নমুনায়ন ক্রমান্বয়ে তথ্য সমা করে। বিশেষ ক্ষেত্রে বহু পর্যায়ী নমুনায়নের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।


স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য

উত্তর: স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়ন সরল চোখে। দেখলে অনেকাংশে একই রকম মনে হলেও এদের মধ্যে কতকগুলো পার্থক্য দৃশ্যমান।

স্তরিত সমুনায়ন ও বহুপর্যায় নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্য: নিচে স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়নের মধ্যকার পার্থক্যগুলো নিচে দেওয়া হলো।

১. সমগ্রকের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে বিভক্ত করে যে দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তাকে স্তরিত নমুনায়ন বলা হয়। অন্যদিকে, একাধিক পর্যায় নির্বাচন করার পদ্ধতিতে বহুপর্যায়ী নমুনায়ন বলা হয়।

২. স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতিতে খরচ বেশি পড়ে। অপরদিকে, বহুপর্যায়ী নমুনায়ন পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলক বেশি।

৩. স্তরিত নমুনায়নে নমুনা বিচ্যুতির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়। বহুপর্যায়ী হওয়ার কারণে, নমুনা বিচ্যুতি বেশি হয়।

৪. অধিক প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনার প্রয়োজন হলে স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, বহুপর্যায়ী নমুনায়নে পর্যায়ের সংখ্যা বেশি হলে বহুপর্যায়ী পদ্ধতির ব্যবহার দেখা যায়।

৫ স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতিতে সমগ্রকের বিশেষ উদ্দেশ্যে কতগুলো অংশে ভাগ করা হয় এবং এ ভাগগুলোই হলো স্তর। বহুপর্যায়ী নমুনায়নে প্রথমেই সমগ্রককে যে কতগুলো বড় বড় নমুনা এককে  বিভক্ত করা হয়। সেগুলোকে প্রাথমিক নমুনা একক বলা হয়।

৬. প্রতিটি স্তর থেকে দৈবচয়িতভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বহুপর্যায়ী নমুনায়নে প্রাথমিক নমুনা একককে পুনরায় ক্ষুদ্র ক্ষুন্ন অংশে বিভক্ত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

৭. স্তরিত নমুনায়নের ক্ষেত্রে পূর্বনির্ধারিত বৈশিষ্ট্য এর ভিত্তিতে স্তরবিন্যাস করা হয়। বহুপর্যায়ী নমুনায়নে অনুসন্ধানের ক্ষেত্র বড় হলেই পর্যায় সৃষ্টি করা হয়।

৮. স্তরিত নমুনায়ন তুলনামূলকভাবে সহজ ও সরল পদ্ধতি। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন জটিল এবং ধাপে ধাপে পরিচালনা করতে হয়।

৯. স্তরিত নমুনায়ন-এ তথ্য সংগ্রহ হয় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অনুসারে গঠিত স্তর থেকে। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন-এ তথ্য সংগ্রহ হয় বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে।

১০. স্তরিত নমুনায়ন বেশি নির্ভুল ও সঠিক ফলাফল প্রদান করে, কারণ প্রতিটি স্তরের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন-এ পর্যায় বেশি হলে সঠিকতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।

স্তরিত নমুনায়ন ও বহুপর্যায়ী নমুনায়ন উভয়ই সম্ভাব্য নমুনায়নের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। স্তরিত নমুনায়ন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সমগ্রককে স্তরে ভাগ করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে বেশি নির্ভুল ও সঠিক ফলাফল দেয়। অপরদিকে, বহুপর্যায়ী নমুনায়ন পদ্ধতি বড় আকারের এবং জটিল সমগ্রকে ধাপে ধাপে ভাগ করে নমুনা সংগ্রহে সহায়ক, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সময়।


সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য লিখ। সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা আলোচনা কর।

সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য ও সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধাসমূহ

ভূমিকা: সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণ উভয়ই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত চলকের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা ও গতির ধারা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।

সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য লিখ। সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা আলোচনা কর।

সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্য: সহসম্বন্ধ ও নির্ভরণের মধ্যে পার্থক্যগুলো নিম্নে দেওয়া হলো-

১. সহসম্বন্ধ এর উদ্দেশ্য হলো দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে পরিবর্তনের কোন যোগসূত্র আছে কি না তা প্রকাশ করা।

অপরদিকে, নির্ভরণ বিশ্লেষণসহ সম্বন্ধপূর্ণ দুটি চলকের একটি অপরটির উপর কতখানি নির্ভর করে তা প্রকাশ করে।

২. সহসম্বন্ধ দ্বারা দুটি চলকের পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্ক কতটুকু তা পরিমাপ করা গেলেও একটি চলকের পরিবর্তনের তুলনায় অন্য চলকের সম্ভাব্যের কি পরিবর্তন ঘটবে তা নির্ণয় করা যায় না। অন্যদিকে, নির্ভরণ এর সাহায্যে একটি চলকের তুলনায় অন্য চলকে গড় পরিবর্তন কিরূপ হবে তা পরিমাপ করা যায়।

৩. দুটি চলকের সহসম্বন্ধ দ্বারা চলকটির পরিবর্তনের কোন কারণগত সম্পর্ক প্রকাশিত হয় না। নির্ভরণ বিশ্লেষণ দ্বারা একটি চলকের পরিবর্তন যে অন্য চলকের পরিবর্তনের কারণ একথা প্রমাণিত হয়।

৪. সহসম্বন্ধ বিশ্লেষণ ব্যবসায়ের বিভিন্ন কার্যকলাপের বা উপাদানের মধ্যে সম্পর্ক নিরূপণে ব্যবসায়ীকে সাহায্য করে।

নির্ভরণ বিশ্লেষণ কোন উপাদানের গতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে অন্য উপাদানে যে গতিশীলতা পরিলক্ষিত হয় সে সম্পর্কে যথার্থ পূর্ব অনুমানে পৌঁছাতে ব্যবসায়ীকে সাহায্য করে।

৫. সমসম্বন্ধের সংখ্যাত্মক প্রকাশকে সহসম্বন্ধ অংক বলে। নির্ভরণের সংখ্যাত্মক প্রকাশকে নির্ভরাঙ্ক বলে।

একই বা বিপরীত দিকে দুই বা ততোধিক চলকের পরিবর্তিত হওয়ার প্রবণতাকে সহসম্বন্ধ বলে। আর একটি চলকের প্রভাবে অন্য চলকের মধ্যে পরিবর্তন সাধিত হলে তা নির্ণয় করার পদ্ধতি হলো নির্ভরণ। এদের মধ্যে সামান্য কিছু মিথ্যা থাকলেও আসলের পাল্লাটাই ভারী।

সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতা বা সমস্যাসমূহ তুলে ধর।

দুটি চলক পরস্পরের মধ্য কিভাবে এবং কি পরিমানে সম্বন্ধযুক্ত সেটা সহসম্বন্ধ নির্দেশ করে। সামাজিক পরিসংখ্যানে একাধিক চলকের মধ্য পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়ে সহসম্বন্ধ  একটি আলোচিত পরিসংখ্রানিক পদ্ধতি।

সহসম্বন্ধ সহগ: দুটি চলকের মধ্য কি পরিমাণে সহসম্বন্ধ বিদ্যমান সেটা জানার প্রয়োজন হয়। দুই ও ততোধিক পরিবর্তনশীল চলকের সম্পর্কের প্রকৃতি এবং পরিমাণের গানিতিক পরিমাণকে সহসম্বন্ধ সহগ বলে।যা r প্রতীকের সাহায্য প্রকাশ করা হয়।

সহসম্বন্ধ  সহগের অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতা

সহসম্বন্ধ  সহগের মান ধনাত্মক ও ঋণাত্মক উভয়ই হতে পারে। তবে এর মান -১ থেকে +১ এর মধ্য সীমাবদ্ধ থাকে। নিম্নে সহসম্বন্ধ সহগের অসুবিধা দেওয়া হয়।

  • পরিবর্তকের সাধারণ সম্বন্ধ নির্দেশ করে মাত্র। এর সঠিকতা নিরুপণ করতে পারে না।
  • সহসম্বন্ধ পদ্ধতি একটি জটিল পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কোন বিষয়ে ভূল ব্যাখ্যা প্রদান করা হতে পারে।
  • সহসম্বন্ধ  নির্ণয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। কেননা, এটি নির্ণয় পদ্ধতি জটিল।
  • সহসম্বন্ধ কোন দফার প্রান্তিক মান দ্বারা প্রভাবিত।
  • অনেক সময় সহসম্বন্ধ  সহগের তুলনায় নির্ভরণের প্রয়োজন হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, সহসম্বন্ধের বহুবিধ সুবিধা থাকলেও ক্ষেত্রে বিশেষ এর কতকগুলো অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। অসুবিধাগুল্যেই মূলত সীমাবদ্ধতা। তবে সুবিধার তুলনায় এর অসুবিধাগুলো খুবই নগণ্য।

নমুনায়ন কি? নমুনায়নের প্রকারভেদ আলোচনা কর

নমুনায়ন কি? নমুনায়নের প্রকারভেদ

উত্তর: নমুনায়ন হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সমগ্রকের একটি অংশ পরীক্ষা করে সমগ্রক সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যায়। সামাজিক গবেষণায় নমুনায়ন বা Sampling এর ভূমিকা অপরিসীম। কারণ, গবেষণায় সমগ্রক হতে তথ্যসংগ্রহ অনেক সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। নমুনায়ন বা Sampling এই ব্যয়ভার এবং সময় সামাজিক গবেষণায় দুটোই কমিয়ে এনেছে।

নমুনায়ন কি? নমুনায়নের প্রকারভেদ আলোচনা কর

নমুনায়ন: বিভিন্নভাবে নমুনায়নের সংজ্ঞায়ন করা যায়। বিভিন্ন মনীষী, বিজ্ঞানী নমুনায়নের সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে প্রদান করেছেন। নিচে কয়েকজন গবেষক এর সংজ্ঞা আলোকপাত করা হলো। যথা-

Goode and Hatt বলেন, "A sample, as the name implies is a smaller representation of a large whole."

P.V. Young বলেন, "পরিসংখ্যানিক নমুনা হচ্ছে কোনো সমষ্টির একটি ক্ষুদ্র অংশ, যা সমগ্রক থেকে চয়ন করা হয়ে থাকে।"

নমুনায়নের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে R. Babbie বলেছেন, "নমুনায়ন হলো সমষ্টি এককের একটি বিশেষ অংশ যাকে পর্যবেক্ষণ করে গোটা সমষ্টি এককের প্রকৃতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করা হয়।"

কোনো জরিপের বিষয়বস্তুর একটি প্রতিনিধিত্বশীল মূলক অংশকে নমুনায়ন বলে বিবেচিত হয়।

এ প্রসঙ্গে W.G. Good - and P.K. Hatti বলেন যে, "আক্ষরিক অর্থে নমুনায়ন হলো - বৃহৎ সমষ্টির প্রতিনিধিত্বশীল অংশ বা ক্ষুদ্রাংশ।"

C.R. Kothari তাঁর রচিত 'Research methodology method and technique' নামক গ্রন্থে বলেন যে, "A Sampling design is a definite plan for obtain a sample from a given population. It refers to the technique or the procedure the researcher would adopt in selecting items for the sample." অর্থাৎ বলা যায় যে, যে পদ্ধতির সাহায্যে নমুনা নির্বাচন করা হয়, তাকে নমুনায়ন বা Sampling বলে।

সুতরাং বলা যায়, এই নমুনায়ন হচ্ছে একটি পরিসাংখিক পদ্ধতি যে পদ্ধতির মাধ্যমে সমগ্রকের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অংশ বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান বা পরীক্ষা করে সমগ্রক সম্পর্কে - সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সে পদ্ধতির নামই নমুনায়ন বা Sampling বা নমুনা পদ্ধতি।

নমুনায়নের প্রকারভেদ লিখ

(ক) দৈবচয়িত নমুনায়ন পদ্ধতি: যে পদ্ধতিতে তথ্য বিষ্বের প্রতিটি একক বা উপাদান নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা সমান থাকে বা স্বাধীনভাবে নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা সমান থাকে তাকে দৈবচয়িত নমুনায়ন বা সম্ভাবনা নমুনায়ন বলে। দৈবচয়িত নমুনায়নের শ্রেণিবিভাগগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

১. সরল দৈব নমুনায়ন: দৈবচয়িত নমুনায়ন পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও সরল পদ্ধতি হলো সরল দৈব নমুনায়ন। এটি সরল নমুনায়ন পদ্ধতির ভিত্তিস্বরূপ। এ পদ্ধতিকে আবার দু ভাগে ভাগ করা যায়।

(ক) লটারি পদ্ধতি: এ পদ্ধতিতে তথ্য বিশ্বের N সংখ্যক একক হতে পুনঃস্থাপন করে অথবা পুনঃস্থাপন না করে উভয়ভাবে নমুনা নির্বাচন করার পদ্ধতিকে বলা হয় লটারির মাধ্যমে সরল দৈব নমুনায়ন।

(খ) দৈব সংখ্যার সারণী পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে প্রথম তথ্যর এককগুলোকে ক্রমিক নং অনুসারে সাজাতে হয়। সারাবিশ্বের আকার যত দৈব সংখ্যা সারণী হতে তত অংকের একটা কলাম বেছে নিতে হবে। তথ্যবিশ্বের আকারের সর্বোচ্চ গুণিতক গণ্য করে গুণিতকের অধিক দৈবসংখ্যা বাতিল করতে হবে। তারপর নির্বাচিত দৈবসংখ্যাকে তথ্যবিশ্বের আকার দিয়ে ভাগ করে যে ভাগশেষ পাওয়া যায় সেই সংখ্যানুযায়ী ক্রমিক নং এককই হবে নির্বাচিত একক। ভাগশেষ শূন্য হলে তথ্যবিশ্বের শেষ একক নির্বাচিত একক। একই নম্বর যুক্ত একক দুবার নির্বাচিত হলে সে নির্বাচন বাতিল করতে হবে।

২. স্তরকৃত দৈব নমুনায়ন: কোনো সমগ্রককে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভক্ত করে প্রতিটি বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় নমুনা দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করার পদ্ধতিকে স্তরকৃত দৈব নমুনায়ন বলে। এ পদ্ধতিতে সমগ্রক বিশেষ উদ্দেশ্য কতকগুলো অংশভাগ করা হয়। এ ভাগগুলোকে বলা হয় স্তর। প্রতিটি স্তর হতে নমুনা দৈবচয়ন ভাবে সংগ্রহ করা হয়।

৩. গুচ্ছে নমুনায়ন: গুচ্ছ নমুনায়ন হলো এমন নমুনায়ন পদ্ধতি যেখানে সমগ্রক থেকে নমুনা উপাদান বা একটি করে নির্বাচন না করে দল বা গুচ্ছে হিসাবে নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি এ সমগ্রকের ক্ষুদ্র প্রতিনিধিত্বকারী হতে নেয়া হয়।

৪। বহুপর্যায়ী নমুনায়ন: একাধিক পর্যায়ে নমুনা নির্বাচন করার পদ্ধতিকে বহুপযোগী নমুনায়ন বলে। এ পদ্ধতিতে প্রথম তথ্য বিশ্বকে কতকগুলো বড় বড় নমুনা এককে বিভক্ত করা হয়। অতঃপর প্রতিটি বড় নমুনাকে আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয়।

৫. কোটা নমুনায়ন:  কোটা নমুনায়ন কেবল সরকারি চাকুরি ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দৈবচয়িত প্রক্রিয়া থেকে নিরুপণ করা হয়। সরকার প্রতিটি এলাকা বা গোষ্ঠীকে কোটাভুক্ত করে দৈবচয়িত নমুনায়ন প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এলাকা বা বিশেষ গোষ্টিকে কোটাভুক্ত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে এটিকে কোটা নমুনায়ন বলে।

(খ) উদ্দেশ্যমূলক নমুনায়ন: যে পদ্ধতিতে অনুসন্ধানকারী উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নমুনা নির্বাচন করেন, তাকে উদ্দেশ্যমূলক নমুনায়ন বলে। এ পদ্ধতিতে অনুসন্ধানকারী গবেষণার উদ্দেশ্য প্রতি লক্ষ্য রেখে নমুনা নির্বাচনে তার নিজের বিচার পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে না।

এছাড়া অন্যান্য আরো কিছু নমুনায়ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-

১. পর্যায়ক্রমিক নমুনায়ন।

২. থোকে নমুনায়ন;

৩. অন্তঃপ্রবেশ নমুনায়ন ও

৪. রেখা নমুনায়ন।

নমুনায়নের সুবিধা অসুবিধাগুলো আলোচনা কর

 নমুনায়নের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আলোচনা কর

উত্তর: গবেষণা মাত্রই তথ্যসংগ্রহ আবশ্যক। তথ্যসংগ্রহের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তবে গবেষণার জন্য দুটো পদ্ধতিতে সর্বাধিক তথ্যসংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে শুমারি একটি এবং অপরটি হলো নমুনায়ন। শুমারি পরিচালনার জন্য বাস্তবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর অন্যদিকে নমুনায়নে অনেক সমস্যা থাকে না। তাই সামাজিক গবেষণায় তথ্যসংগ্রহের জন্য নমুনায়ন বা Sampling অধিক গ্রহণযোগ্য এবং সুবিধাসম্মত উপায়।

নমুনায়নের সুবিধা অসুবিধাগুলো আলোচনা কর

নমুনায়নের বিভিন্ন সুবিধাবলি

১. মিতব্যয়ী পদ্ধতি: শুমারি অপেক্ষা নমুনায়ন একটি মিতব্যয়ী পদ্ধতি। কারণ শুমারিতে প্রতিটি একক হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আর নমুনায়ন পদ্ধতিতে সমগ্রকের একটি নির্বাচিত অংশ হতে তথ্যসংগ্রহ করা হয় বলে এটি কম ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এর ফলে আর্থিক মিতব্যয়িতা সে নমুনায়নের বৈশিষ্ট্য তা সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে দাঁড়ায়।

২. স্বল্পসময়: শুমারিগুলোতে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি এককের নিকট পৌঁছাতে হয় বলে, এতে সময় বেশি লাগে। আবার সমগ্রকের একটি অংশের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় বলে কম সময়ে এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।

৩. দ্রুত ফলাফল: এমন অনেক সামাজিক গবেষণা আছে যেগুলো তুলনামূলক দ্রুততম সময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হয়। তখন শুমারি পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের চেয়ে নমুনায়ন পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহ করে সঠিকভাবে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ কর। সম্ভবপর হয়ে উঠে।

৪. কম পরিশ্রম: শুমারি পদ্ধতিতে অধিক তথ্য সংগ্রহের কারণে শ্রমের অপচয় হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক থাকে, তবে নমুনা জরিপে তুলনামূলক অল্পসময় এবং কম পরিশ্রমে অতি সহজেই সুনির্দিষ্ট তথ্যসংগ্রহ করা সম্ভব।

৫. গবেষণা মূল্যায়ন: সামাজিক গবেষণায় অধিকাংশ সময়েই গবেষণার মূল্যায়ন বার বার করা হয়ে থাকে। তাই শুমারি পদ্ধতিতে মূল্যায়নের জন্য অধিক সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। অপরদিকে, নমুনা জরিপে খুব সহজেই গবেষণার মূল্যায়ন সম্ভব।

৬. ব্যাপক ও সঠিক তথ্য: নমুনায়ন বাছাইকৃত বা নির্বাচিত এককগুলোর তথ্যানি মাঠ পর্যায় হাত সংগৃহীত হয়। ফলে প্রাপ্ত তথ্যাদির সূক্ষ বিশ্লেষণ ও কার্যকরি ফলাফল লাভ করা যায়। কিন্তু শুমারির ক্ষেত্রে এক ব্যাপক তথ্যাদির যুদ্ধ বিশ্লেষণ সম্ভব হয় না।

৭. সহজ পরিচালনা পদ্ধতি: নমুনায়ন প্রক্রিয়ার দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাপ্ত লোকের উপস্থিতিতে সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় ঘটিয়ে খুব সহজেই গবেষণা পরিচালনা করে দ্রুত নির্ভরশীল ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু শুমারি জারিপ পদ্ধতি পরিচালনা বেশ দুরূহ, সময়সাপেক্ষে ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এজন্য সামাজিক গবেষণায় তথ্য সংগ্রাহ নমুনায়ন আর্থিক সুবিধাজনক পদ্ধতি।

৮. বিজ্ঞানভিত্তিক: নমুনা জরিপে তথ্যসংগ্রহ করার জন্য নানাবিধ নমুনায়ন কৌশল ব্যবহৃত হয়। কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় সেগুলোকে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে এবং অভিজ্ঞতামূলক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু শুমারি জরিপের তেমন কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি নেই।


নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ

১. প্রতিনিধিত্বের সমস্যা: নমুনায়নের সমস্যাগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুতর সমস্যা হলো প্রতিনিধিত্বের সমস্যা। এই সমস্যা হলো সমগ্রক হতে একক অর্থাৎ গবেষণার বস্তু হতে যেসব একক বাছাই করা হয় নমুনা নিয়ে তথ্য গ্রহণের জন্য সেই সকল একককে প্রতিনিধিত্বশীল একক বলে। এখন এই প্রতিনিধিত্বশীল একক যদি ভুল বাছাই হয়, তবে গবেষণার উপাদানের সঠিক ও নির্ভরযোগ্য বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।

২. নমুনা প্রাপ্তির সমস্যা: নমুনা প্রাপ্তির সমস্যা নমুনায়নের অন্যতম প্রধান সমস্যা। গবেষণায় যেসব ব্যক্তি বা বস্তুকে নমুনা হিসেবে ধরা হয় তার উপর নির্ভর করে গবেষণার ফলাফল। কিন্তু অনেক সময় নির্বাচিত নমুনাগুলোকে যথাসময়ে পাওয়া যায় না। ফলে গবেষণাকর্মে ব্যাপক সমস্যা হয় এমনকি গবেষণার ফলাফল পর্যন্ত ভুল আসতে পারে।

৩. দক্ষ গবেষকের সমস্যা: যেকোনো গবেষণাকে বিজ্ঞানসম্মত ও বাস্তবভিত্তিক করে তোলার জন্য প্রয়োজন দক্ষ অভিজ্ঞ ও নিষ্ঠাবান গবেষক বা গবেষণাকর্মীর। কেননা মঞ্চ গবেষক বা গবেষণাকর্মীই পারে সঠিক উপযুক্ত নমুনা সংগ্রহ করতে। কিন্তু বাস্তবে এরকম দক্ষকর্মীর অভাব প্রকট। এর ফলে কম দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তির দ্বারা গবেষণা পরিচাল করা হয়। ফলশ্রুতিতে গবেষণার ফল সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ হয় না।

৪. নমুনার বৈচিত্র্য: সমগ্রকের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি এককস্থ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট। ধারণ করে। কাজেই প্রতিটি একই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নমুনায়ন পদ্ধড়িতে একটি নির্দিষ্ট অংশকে নমুনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে কেবল নির্বাচিত অংশের বৈশিষ্ট্যগুলো নমুনা হিসেবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু ভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বৃহৎ বা একটা অংশ বাদ পড়ে যায়।

৫. বাস্তবতা বর্জিত: যনি বাছাইকৃত প্রতিনিধিত্বশীল এককে ধর্মের বা বৈশিষ্ট্যের সাথে সমগ্রকের ধর্মের না বৈশিষ্টোয় মিল না থাকে তাহলে গবেষণার ফলাফল বাস্তবতা বর্জিত হবে।

৬. পক্ষপাতিত্ব সমস্যা: গবেষক বা তথ্য সংগ্রাহক অনেক সময় মানবিক বা যেকোনো কারণেই নিজের পরিচিত বা বিশেষ গ্রুপের সাথে একাত্ব হয়ে গবেষণা কর্ম পরিচালনা করে ফলে নিরপেক্ষ ফল হয় না। এর ফলে গবেষণা কর্ম প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

৭. সমগোত্রীর এককের সমস্যা: নমুনায়নের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করলে শুধু সেটা সমগোত্রীর গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে প্রযোগ্য হবে। কিন্তু সমগ্রকের প্রতিটি উপাদান যদি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয় তাহলে নমুনায়ন দ্বারা তথ্যসংগ্রহ সম্ভব নয়। সমগোত্রীয় এককের উপস্থিতি ছাড়া নমুনা জরিপ সম্ভব নয়।

উপসংহার: নমুনায়নের ভূমিকা গবেষণা কাজে অপরিহার্য। উপরোক্ত আলোচনা হতে বুঝা যায় যে নমুনায়নের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য নমুনায়ন পদ্ধতির সুবিধাই বেশি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

 প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

www.dpe.gov.bd

তারিখঃ

২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

০৫ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

নম্বর: ৩৮.০১.০০০০.১৪৩.১১.০১০.২৫-২০৭

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক" এর শূন্যপদে অস্থায়ীভাবে নিম্নবর্ণিত বেতনস্কেলে নিয়োগের জন্য রংপুর, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলার সকল উপজেলা/শিক্ষা থানার স্থায়ী নাগরিকদের নিকট থেকে নিম্নে উল্লিখিত নির্দেশনা/শর্ত অনুযায়ী দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে।

পদের নাম: সহকারী শিক্ষক

বেতনস্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ (গ্রেড-১৩) বেতনস্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী) 

পদসংখ্যা- ১০,২১৯

বয়সসীমা- ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স হবে যথাক্রমে ২১-৩২ বৎসর।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

(ক)  যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ সহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী।


(খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

অনলাইনের ফরমপূরণ নির্দেশিকা

শর্তাবলী:

(১) আগ্রহী প্রার্থীগণকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ০৮ নভেম্বর ২০২৫ (সকাল ১০:৩০ মি:) এবং শেষ হবে ২১ নভেম্বর ২০২৫ (রাত ১১:৫৯ মি:);

(২) http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আনলাইনে Application Form পূরণের নির্দেশনা পাওয়া যাবে। উক্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক অনলাইনে Application Form পূরণ করে Submit করা হলে ওয়েবসাইট হতে প্রার্থীর User IDসহ Unpaid স্ট্যাটাস সম্পন্ন Draft Applicant's Copy তৈরি হবে যা প্রিন্ট করে আবেদনে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে হবে;

(৩) আবেদন ফি জমা দানের পূর্বে Draft Applicant's Copy একাধিকবার পড়ে প্রার্থী তার প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে তার বিপরীতে আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে না এবং এই বিজ্ঞপ্তির ২নং শর্ত অনুসরণ করে নতুন করে Application Form সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণপূর্বক নতুন User ID সংবলিত Unpaid স্ট্যাটাস সম্পন্ন Draft Applicant's Copy প্রিন্ট নিয়ে পুনরায় প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে হবে।

(8) নির্ভুলভাবে পূরণকৃত Application Form-এর বিপরীতে প্রদত্ত User ID ব্যবহার করে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে Draft Applicant's Copy-তে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক যে কোন টেলিটক প্রি-প্রেইড মোবাইল নম্বর হতে SMS-এর মাধ্যমে অফেরতযোগ্য ১০০.০০ (একশত) টাকা আবেদন ফি এবং টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ১২.০০ (বার) টাকাসহ একত্রে মোট ১১২.০০ (একশত বার) টাকা পরিশোধ করতে হবে;

(৫) আবেদন ফি পরিশোধের পর আবেদনে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে আবেদনকারীকে User ID-সহ একটি Password দেয়া হবে। এরপরে http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের Download Applicant's Copy" ট্যাবে ক্লিক করে মোবাইলে প্রাপ্ত User ID ও Password Submit করে Paid স্ট্যাটাস সম্পন্ন Final Applicant's Copy পাওয়া যাবে। Final Applicant's-এর রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষাবধি আবশ্যিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কেবলমাত্র আবেদন ফি পরিশোধের পরেই আবেদনটি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং আবেদনে আর কোন তথ্য সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা একই প্রার্থীর নতুনভাবে Application Form পূরণের সুযোগ থাকবে না;

(৬) পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থাদি চূড়ান্ত করার পর প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীকে SMS-এর মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের লিংক প্রদান করা হবে যা ব্যবহার করে আবেদনকারী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। User ID এবং Password পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন হলে উক্ত লিংকে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পুনরুদ্ধার করা যাবে;

(৭) Online আবেদনপত্রে প্রার্থীর প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় যোগাযোগ সম্পন্ন করা হবে বিধায় উক্ত নম্বরটি সার্বক্ষণিক সচল রাখা, SMS পড়া এবং প্রাপ্ত নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়;

(৮) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ এ বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজ উপজেলা/থানায় নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদনকারী যে উপজেলা/শিক্ষা থানার স্থায়ী বাসিন্দা তার প্রার্থিতা উক্ত উপজেলা/শিক্ষা থানার অনুকূলে নির্ধারিত থাকবে এবং তার নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তদনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে;

(৯) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ এবং উক্ত বিধিমালার ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের সংশোধন অনুযায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে;

(১০) বিবাহিত মহিলা প্রার্থীগণ আবেদনে তাঁদের স্বামী অথবা পিতার স্থায়ী ঠিকানার যে কোন একটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে এ দুটি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে তিনি যেটি আবেদনে উল্লেখ করবেন তার প্রার্থীতা সেই উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য বিবেচিত হবে

(১১) অসত্য/ভুয়া তথ্য সংবলিত/ত্রুটিপূর্ণ/অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত/প্রদত্ত কোন তথ্য বা কাগজপত্র নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে যে কোন পর্যায়ে বা নিয়োগপ্রাপ্তির পরেও অসত্য/ভুয়া প্রমাণিত হলে তার দরখাস্ত/নির্বাচন/নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং মিথ্যা/ভুয়া তথ্য সরবরাহ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত/প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;

(১২) উপজেলা/শিক্ষা থানাভিত্তিক নিয়োগ করা হবে। প্রার্থী যে উপজেলা/ শিক্ষা থানার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি সে উপজেলা/ শিক্ষা থানার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনে নিজ জেলা, থানা/উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে;

(১৩) নির্বাচিত প্রার্থীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী নিজ উপজেলা/শিক্ষা থানায় চাকরি করতে হবে। তাঁর বদলি নিজ উপজেলা/শিক্ষা খানার বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে সীমিত থাকবে;

(১৪) ধুমপানসহ যে কোন ধরনের মাদক গ্রহণের অভ্যাস থাকলে আবেদন করার প্রয়োজন নেই;

(১৫) লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত/মনোনীত প্রার্থীকে নিম্নবর্ণিত সত্যায়নকৃত কাগজপত্রাদি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে;

(ক) অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদনের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ২ (দুই) কপি ছবি;

(খ) শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সকল প্রকার মূল/সাময়িক সনদপত্র;

(গ) সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদপত্র;

(ঘ) জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধনের কপি;

(ঙ) লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি;

(চ) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি;

(ছ) শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;

(জ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকা হলে জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিচিতি বিষয়ক সনদপত্র;

(১৬) প্রার্থীর সনদপত্র ও ছবি সত্যায়নকারী কর্মকর্তার (৯ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা) স্বাক্ষরের নীচে নামসহ সীল থাকতে হবে;

(১৭) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোন প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।

(১৮) Online-এ আবেদন দাখিলের বিষয়ে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় অথবা যে কোন টেলিটক নম্বর হতে টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার 121 নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের 'Help' ট্যাবে টেলিটকের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ঠিকানা পাওয়া যাবে;

(১৯) কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলী পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন বা বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। আবেদনপত্র গ্রহণ/বাতিল ও নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে কোন আপত্তি উত্থাপন করা যাবে না;

(২০) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কারণে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা গ্রহণ কিংবা প্রার্থিত পদে নিয়োগ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে না। কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।