প্রজনন ক্ষমতা কী? বাংলাদেশের প্রজননশীলতা হ্রাসে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ।

প্রজনন ক্ষমতা কী? বাংলাদেশের প্রজননশীলতা হ্রাসে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ।

প্রজনন ক্ষমতা কী?

নারী পুরুষের প্রজননিক ক্ষমতা প্রজনন ক্রিয়ার ফলশ্রুতি। প্রজনন ক্ষমতা বলতে সন্তান ধারনের দৈহিক সামর্থ্যকে বুঝায়। প্রজনন বাসনায় যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়াকে প্রজনন ক্রিয়া বলা যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে সন্তান জম্মদানকে প্রজনন বলা হয়। সন্তানের উপস্থিতি বা বাস্তব সন্তান সংখ্যাকে প্রজননিক ক্ষমতা বলা যায়।
প্রজনন ক্ষমতা কী? বাংলাদেশের প্রজননশীলতা হ্রাসে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ


প্রজনন ক্ষমতাঃ প্রজননশীলতার অর্থ হলো প্রজনন ক্ষমতা। আর, প্রজনন ক্ষমতা হলো সন্তান ধারনের দৈহিক সামর্থ্য। এতএব, প্রজননশীলতা বলতে আমরা বুঝি জৈবিক সন্তান উৎপাদনের স্বেচ্ছ্বায় প্রণোদিত আগ্রহের মনস্তাত্ত্বিক ক্ষমতাকে। প্রজননশীলতা বলতে জম্মগ্রহণকারী মৃত জনসংখ্যাকে না বুঝিয়ে জীবিত জম্মগ্রহণকারী সংখ্যাকে ধরা হয় এখানে জম্মকে জম্মশীলতা বুঝানো হয়না বরং বাস্তবে ভ্রুণ জম্মদানে সক্ষমতাকে প্রজননশীলতা বলা হয়।
প্রামান্য সংজ্ঞাঃ নিম্নে প্রজনন ক্ষমতা সম্পর্কে কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো।
W. T. Thomson and David T. Leuis এর মতে "প্রজননশীলতা বলতে বুঝায় সন্তান ধারণ করা এবং জম্মদানের মানসিক ক্ষমতাকে।"
O. S. Sribastava বলেন "প্রজনন ক্ষমতা হলো একজন নারীর সন্তান ধারনের ক্ষমতা।"
উইলিয়াম পি স্কট বলেন- প্রজননশীলতা হলো একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনসংখ্যা  জম্মদানে নারীদের অত্যাবশ্যকীয় মানসিক দক্ষতা ও সন্তান ধারনের পরিণত সম্ভাব্য শর্তসমূহ উপস্থিত থাকে।"
সাধারণত কোন নারী বা নারীগোষ্ঠীর প্রকৃত সন্তান জম্মদানের ক্ষমতা বুঝানোর জন্য প্রজননশীলতা শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত জীবীত সন্তান জম্মগ্রহণকারী জনসংখ্যাকে বুঝায়। এক্ষেত্রে  দৈহিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষমতা থাকা বাঞ্চনীয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, জনসংখ্যার আলোচনায় প্রজননশীলতা একটি শুধু গ্রহদৃষ্টিই নয় বরং এটি সাধারণ মরণশীলতা ও অভিগমনের মাত্রাকে অতিক্রম করে। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি প্রধান নির্ধারক ও জনসংখ্যা বন্টনের উপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশের প্রজননশীলতা হ্রাসে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ।


১। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিবাহ বয়স নিম্ন ২৫ বছর ও ছেলেদের ৩০ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
২। মহিলা শিক্ষিতের হার পুলুষদের পাশাপাশি দ্রুত বৃদ্ধি করতে হবে।
৩। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে এবং মৃত্যু হার হ্রাস করাতে হবে।
৪। জনসংখ্যা সমস্যা বিষয়ক সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।
৫। তৃতীয় সন্তানের পর সন্তান নিরে বাৎসরিক সুবিধা বন্ধ করতে হবে।
৬। দম্পতির একটি সন্তান থাকলে শিক্ষেক্ষেত্রে ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করতে হবে।
৭। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় দেশের ভবিষ্যৎ ভালোমন্দ সম্পর্কে নারী-পুরুষকে জাগ্রত করতে পারলে জনসংখ্যা সমস্যা অনেকটা কমানো সম্ভব।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post