এমিল ডু্রখেইম এর পরিচয় দাও । এমিল ডুর্খেইমএর শ্রমবিভাজন নীতিটি সংক্ষেপে লিখ।

এমিল ডু্রখেইম এর পরিচয় দাও । এমিল ডুর্খেইমএর শ্রমবিভাজন নীতিটি সংক্ষেপে লিখ।

 📚প্রশ্নঃ এমিল ডু্রখেইম এর পরিচয় দাও।

অথবা, এমিল ডুর্খেইম এর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণণা দাও।

সমাজবিজ্ঞান>মাস্টার্স ১ম বর্ষ

এমিল ডুরখেইমঃ সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে যে সব মনীষীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে এমিল ডুর্খেইম অন্যতম। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিবার অধিকারী। সমাজ সম্পর্কে তিনি অনেক মতবাদ তৈরী করেন। সমাজকে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণে তার অবদান অপরিসীম

এমিল ডু্রখেইম এর পরিচয় দাও । এমিল ডুর্খেইমএর শ্রমবিভাজন নীতিটি সংক্ষেপে লিখ।

এমিল ডুরখেইম এর পরিচয়ঃ নিম্নে এমিল ডুর্খেইম এর পরিচয় উল্লেখ করা হলো-
👉১। জম্মঃ এমিল ডুরখেইম ১৮৫৮ সালের ১৫ এপ্রিল ফ্রান্সের নরিন প্রদেশের ইপিনামে এক ধর্মভীরু পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন।
👉২। সমাজবিজ্ঞানী হিসেবেঃ এমিল ডুরখেইমের আর একটি পরিচয় হলো তিনি ছিলেন ফ্রান্সের একজন নামকরা সমাজবিজ্ঞানী। সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশে তার অবদান অতুলনীয়।
👉৩। দার্শনিক হিসেবেঃ এমিল ডুরখেইম শুধু সমাজাবজ্ঞানী ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক । সমাজ নিয়ে তিনি দার্শনিকের মত চিন্তা করতেন।
👉৪। লেখক হিসেবেঃ এ,লি ডুরখেইম ছিলেন একজন লেখক । সমাজবিজ্ঞানের উন্নতি ও বিকাশে তিনি অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো- The Division of labour in society, The Rules of Sociological method,Third Famous ইত্যাদি।
👉৫। সংস্কারক হিসেবেঃ এমিল ডুরখেইম ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি সমাজের অসঙ্গতি দুর করেন । সমাজের বিকাশে তিনি শ্রমবিভাজন, আত্মহত্যা, পুঁজিবাদ ইত্যাদি মতবাদ আলোচনা করেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, এমিল ডুরখেইম ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী । তিনি ছিলেন কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও দার্শনিক । সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশে এমিল ডুর্খেইম এর অবদান অপরীসীম।

📚এমিল ডুরখেইম এর শ্রমবিভাজন নীতিটি সংক্ষেপে লিখ?

অথবা, ডুর্খেইম এর শ্রমবিভাজন তত্ত্বটি উল্লেখ কর।

চিন্তা জগৎ এর ইতিহাসে এব অনবদ্য কৃতিত্বের অধিকারী ব্যক্তিরুপে এমিল ডুরখেইম (Emile Durkhim) ঘটে। তিনি তার The Division of labour গ্রন্থে শ্রমবিভাজন সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সমাজকে তিনি বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করে শ্রমবিভাজনের কথা উল্লেখ করেছেন । শ্রমবিভাজনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন- The Division of labour is a low of nature, also a moral rale of human conduct.
শ্রমবিভাজনঃ এমিল ডুরখেইম (Emile Durkhim) সমাজতাত্ত্বিক আলোচনার যেসব মতবাদ আলোচনা করেছেন তার মধ্য অন্যতম হলো সমাজে শ্রমবিভাজন সম্পর্কিত তত্ত্ব। তিনি যে মতবাদের ভিত্তিতে সমাজে শ্রমবিভাজন করেন সেটি হলো সামাজিক সংহতি বা যৌথ প্রতিরুপ।
 শ্রমবিভাজন সম্পর্কে ইংরেজি অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে বলা হয়- একটি প্রক্রিয়ার বিভাজন বা অংশগুলির মধ্যে একটি নিয়োগ, যার প্যাচ একটি পৃথক ব্যক্তি দ্বারা সঞ্চালিত হয়
ডুর্খেইম তার ‘Division of labour’ পুস্তকে শ্রমবিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিসত্তার সাথে সমাজ সত্তার সম্পর্ক আছে আর এখান থেকে তিনি এ ধরনের প্রেণা পান । তিনি দেখান যে, সমাজে শ্রম বিভক্তির দিক থেকে দুই ধরনের সমাজ পাওয়া যায়- ১। যান্ত্রিক সংহতি (mechanical solidarity) ও ২। জৈবিক সংহতি (Organic solidarity)।
পরিশেষে বলা যায় যে, এমিল ডুরখেইম নৈতিকতার ষমাজবিজ্ঞানী হিসেবে বিশেষ মূল্যায়নের যোগ্য । শ্রম বিভাজনের  সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি নৈতিকতার প্রশ্নটি প্রথম সারিতে নিয়ে আসেন। যাইহোক তিনি সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে তার অবদান অপরীসীম।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post