📚 Auguste Comte দৃষ্টবাদ কী? অথবা What is Positivism?
অগাস্ট কোঁৎ একজন বিখ্যাত সমাজ দার্শনিক। তিনি সমাজদর্শনের জনক হিসেবে পরিচিত। অগাস্ট কোঁৎকে (Auguste Comte) সমাজদর্শনের জনক বলার কারণ হলো তার পূর্বে আর কোন দার্শনিক এত সুস্পষ্টভাবে সমাজবিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করেনি। অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte) সমাজ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞানের এক নতুন শাখা, ভিত্তি ও দৃষ্টিকোন তৈরী করেন।
দৃষ্টবাদ (Positivism): অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte) এর তাত্ত্বিক নীতিগুলোর মধ্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিলো দৃষ্টিবাদ। তিনি বৈজ্ঞানিকভাবে এ নীতির ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রাকৃতিক নিয়মকে অপরিবর্তনীয় বলে অভিহিত করেছেন এবং পৃথিবীর যাবতীয় সামাজিক প্রপঞ্চের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে Auguste Comte (অগাস্ট কোঁৎ) তাঁর দৃষ্টিবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।
দৃষ্টিবাদের উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমেএ আমরা কতকগুলি মৌলিক দিকের উল্লেখ করতে পারি। যথা-
- দৃষ্টিবাদ (Positivism) কোন অতিপ্রাকৃত বিষয় নই বরং এটি বাস্তব প্রপঞ্চকে ব্যাখা করে।
- এটি জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত।
- দৃষ্টিবাদ (Positivism) পরিবর্তনশীল এবং Relative truth এর সাথে সম্পৃক্ত।
- এটি চেতনায় এবং চর্চার মাধ্যেমে ঐক্যর উদ্ভব হতে পারে।
- দৃষ্টিবাদ (Positivism) কোন কাল্পনিক বিষয় নয়। এটি বৈজ্ঞানিক।
- পৃথিবীর অপরিবর্তনীয় নীতিসমূহকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জানা যায় ।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে দৃষ্টিবাদ (Positivism): অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte) দৃষ্টিবাদকে একটি বিজ্ঞানসম্মত মতবাদ বলে মনে করেন। মানব সমাজের বস্তুগত, বুদ্দিগত ও নৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি তার দৃষ্টিবাদি (Positivism) মতবাদ প্রণয়ন করেছেন। তার দৃষ্টিবাদকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
(ক) বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম ও নীতি শাস্ত্রঃ অগাস্ট কোঁৎ কোন অতীন্দ্রীয় সত্তার মাধ্যেমে ধর্ম ও নীতিশাস্ত্রের ব্যাখ্যা প্রদান করেননি। একটি বিজ্ঞানসম্মত ও হিতকর নীতির উপর তিনি জোর দিয়েছেন।
(খ) দৃষ্টিবাদী (Positivism) রাজনীতিঃ অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte) যুদ্ধবিরোধী মনোভাব পোষণ করেন। যুদ্ধের ভয়াবহতা ও এর ক্ষতিকর দিকের কথা বিবেচনা করে তিনি তার যুদ্ধ বিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
(গ) বিজ্ঞানসমূহের দর্শনঃ অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte) বিজ্ঞানে অনেক শাখা ও পদ্ধতির পরিবর্তে একটি মাত্র পদ্ধতি থাকার কথা বলেন। একটি সূত্র দ্বারা বিজ্ঞানের সকল শাখাকে বেধে রাখার কথা বলেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, দৃষ্টিবাদি নীতির মাধ্যমে তার নীতি মৌলিক চিন্তার অভিব্যক্তি ঘটেছে। তিনি মানুষকে যে নৈতিকতাবোধে উদ্ধুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন এবং পৃথিবীকেএকটি শান্তিময় উদ্যানে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। চিন্তাজগৎ এর ইতিহাস এক অন্যন্য আদর্শ হিসেবে থাকবে।