পরিবারের প্রকারভেদ উল্লেখ কর
পরিবার হলো সমাজের ক্ষুদ্রতম ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যয় পরিবার। পরিবার হলো এমন এক সামাজিক সংগঠন যা সমাজস্বীকৃত পন্থায় নারী পুরুষ একত্রে বসবাস করে। পরিবার গঠনের পূর্বশর্ত হলো বিবাহ। বিবাহ ছাড়া আধুনিক ও সভ্য সমাজে পরিবার গঠন সম্ভব নয়। পরিবারের সদস্যদের বিপদে আপদে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবার সভ্যতা বিকাশে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পরিবারের প্রকারভেদঃ পরিবারের ধরন নির্ধারণের ক্ষেত্রে একক কোনো ভিত্তিক প্রাধান্য দেয়া হয় না। নিম্নে পরিবারের প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো-
১। একক পরিবারঃ বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় পরিবার ব্যবস্থা হচ্ছে একক পরিবার।একজন মাত্র স্বামী এবং তার একজন মাত্র স্ত্রী নিয়ে এ পরিবার গঠিত হয়। একক পরিবারে সন্তান থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।
২। যৌথ পরিবারঃ যৌথ পরিবার সামাজিক বন্ধন এবং জাতিগত ঐতিহ্যের প্রতীক। এ ধরনের পরিবারে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, সন্তানাদি, ভ্রাতৃ বধু ও পুত্রবধুরা একত্রে বসবাস করে থাকে।
৩। বর্ধিত পরিবারঃ বর্ধিত পরিবার মূলত তিন পুরুষের পরিবার। তিন একক পরিবারের বর্ধিত রুপ বলেই একে বর্ধিত পরিবার বলে। এটি যৌথ পরিবারের কাছাকাছি।
৪। বহুপত্নিক পরিবারঃ একজন স্বামী যদি একাধিক স্ত্রী বিবাহ করে পরিবার গঠন করে তখন তাকে বহুপত্নিক পরিবার বলা হয়ে থাকে।
৫। বহুপতি পরিবারঃ একজন স্ত্রী যদি একাধিক স্বামীকে বিয়ে করে পরিবার গঠন করে তবে তাকে বহুপতি পরিবার বলা হয়।
৬। গোষ্ঠীভিত্তিক পরিবারঃ একাধিক পাত্র একাধিক পাত্রীকে বিয়ে করে পরিবার গঠন করলে এ ধরনের গোষ্ঠীভিত্তিক পরিবার গঠিত হয়।
৭। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারঃ যে পরিবারে পিতাই পরিবারের প্রধান থাকেন পরিবারের সকল দায়িত্ব পিতার হাতেই থাকে তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে।
১। একক পরিবারঃ বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় পরিবার ব্যবস্থা হচ্ছে একক পরিবার।একজন মাত্র স্বামী এবং তার একজন মাত্র স্ত্রী নিয়ে এ পরিবার গঠিত হয়। একক পরিবারে সন্তান থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।
২। যৌথ পরিবারঃ যৌথ পরিবার সামাজিক বন্ধন এবং জাতিগত ঐতিহ্যের প্রতীক। এ ধরনের পরিবারে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, সন্তানাদি, ভ্রাতৃ বধু ও পুত্রবধুরা একত্রে বসবাস করে থাকে।
৩। বর্ধিত পরিবারঃ বর্ধিত পরিবার মূলত তিন পুরুষের পরিবার। তিন একক পরিবারের বর্ধিত রুপ বলেই একে বর্ধিত পরিবার বলে। এটি যৌথ পরিবারের কাছাকাছি।
৪। বহুপত্নিক পরিবারঃ একজন স্বামী যদি একাধিক স্ত্রী বিবাহ করে পরিবার গঠন করে তখন তাকে বহুপত্নিক পরিবার বলা হয়ে থাকে।
৫। বহুপতি পরিবারঃ একজন স্ত্রী যদি একাধিক স্বামীকে বিয়ে করে পরিবার গঠন করে তবে তাকে বহুপতি পরিবার বলা হয়।
৬। গোষ্ঠীভিত্তিক পরিবারঃ একাধিক পাত্র একাধিক পাত্রীকে বিয়ে করে পরিবার গঠন করলে এ ধরনের গোষ্ঠীভিত্তিক পরিবার গঠিত হয়।
৭। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারঃ যে পরিবারে পিতাই পরিবারের প্রধান থাকেন পরিবারের সকল দায়িত্ব পিতার হাতেই থাকে তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে।
৮। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারঃ যে পরিবারে মাতাই পরিবারের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হন মাতার হাতে পরিবারের সকল দায়িত্ব থাকে তাকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ জম্ম থেকে মৃত্যু পযন্ত পরিবারে লালিত পালিত হন। পরিবার মানুষকে সংগঠিত, সংঘবদ্ধ ও স্থায়িত্ব দান করেছে। পরিবার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সব পরিবারের উদ্দেশ্য হলো পরিবারে সদস্যদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।