পানি দূষণের কারণসমূহ আলোচনা কর

পানি দূষণের কারণসমূহ আলোচনা কর

প্রশ্নঃ পানি দূষণের কারণসমূহ আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ পানির অপর নাম জীবন পুথিবীতে সকল উদ্ভিদ প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য পানি অপরিহার্য।পানি ছাড়া কোন জীবনের অস্তিত্ব টিকে থাকে না।কিন্তু পানি নানা কারণে দূসিত হয়ে থাকে যা পুথীব সকল জীবের জন্য মারাত্মক হুমকি কারণ।এসকল পানি দূষণের জন্য প্রধান দায়ী করা মানুষকে। কারণ মানুষ সৃষ্টির জীব।

পানি দূষণের কারণসমূহ আলোচনা কর


পানি দূষণের কারণসমূহঃ বিভিন্ন কারণে পানি দূষিত হয়ে থাকে। নিম্নে কয়েকটি কারণ আলোচনা করা হলো।

১। করকারখানার বর্জ্যঃ বর্তমানে পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার শিল্পায়নের ফলে কলকারকানার বর্জ্য বেড়ে গেছে। তবে এসব নিষ্কাশনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। এগুলি পানির সাথে মিশে যাচ্ছে পানি দূষিত হচ্ছে। আর পানি দূষণের ফলে আমরা বিভিন্ন অসুকে ভুগতেছি।

২। কীটনাশকের ব্যবহারঃ বর্তমানে কৃষিতে উন্নতি সংগঠিত হওয়ার ফরে কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছেঅ কিটনাশকের ব্যবহার একদিকে যেমন ফসলের উপকার করছে অন্যদিকে তেমনি মানুষের ক্ষতি করছে। কারণ জমিতে প্রয়োগকৃত এসব কীটনাশক পানির সাথে মিশে পুকুর, নদীনালা, খালবিলের পানিকে দূষিত করছে যাতে মাছসহ অন্যান্য প্রানী ও মারা যায়।

৩।রাসায়নিক সার সরঞ্জামঃ বর্তমানে কৃষিতে ফলন বাড়ানোর জন্য রাসায়নিক সার ও সরঞ্জাম ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে।কি্তু এসব রাসায়নিক সার বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পুকুর, খালবিল, নদীর পানি দূষণ করছে। আর পরিবেশ মারাত্মকভাবে খতিগ্রস্থ হচ্ছে।

৪। ময়লা আবর্জনাঃ ময়লা আবর্জনা পানি দূষণের জন্য বেশি দায়ী। কারণ ময়লা আবর্জনা যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে তবে সেটা ড্রেন বা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদীর পানিতে যায়। যা নদীর মাছের জন্য ক্ষতিকর।এতে নদীর মাছ মারা যায় মাছের সাথে মানুষেরো ব্যাপক ক্ষতি হয় যদি সেটা গোছল ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।

৫। আর্সেনিকঃ আর্সেনিক কথাটি বর্তমান সময়ে বিষের সাথে সম্পৃক্ত।আর্সেনিক এম একটি জৈব যেটা মাটির নিচে থাকে। মাটির নীচে থেকে ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করছে। কারণ আর্সেনিকের কারণে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয় যা মানুষসহ সকল প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

৬। প্লাস্টিকের ব্যবহারঃ বর্তমকনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। প্লাস্টিক মাটি যেমন দূষিত করে পানিও তেমন দূষিত করে।

৭। অজৈব রাসায়নিক পদার্থঃ সীসা, পারদ, দস্তা, ইত্যাদি পানিতে থাকলে সে পানি দূষিত হয়ে যায়। কারণ অজৈব রাসায়নিক পদার্থ পানিকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে।

৮। ডিটারজেন্ট ব্যবহারঃ বর্তমানে কাপড় পরিষ্কারক হিসেবে ডিটারজেন্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পুকুরের পানিতে যদি ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করা হয় তবে পুকুরের পানি দূষিত হয় এতে পুকুরের মাছের জীবনযাত্রা ব্যহত হয়।

৯। গবাদি পশুর গোছল করানোঃ যদি পুকুরের পানিতে গবাদি পশুর গোছল করানো হয় তবে পুকুরের পানি দূষিত হয়ে যায়।

১০। তেল নিঃসরণঃ বর্তমানে তেল নিঃসরণ ব্যাপকভাবে পানি দূষণ করছে। গত বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন মাছ, কচ্ছপ ইত্যাদি প্রাণী মারা যায়। তেলের কারণে পানিতে থাকা মাছের প্রজনন কমে যায়। ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের উপকূলে তেলবাহী জাহাজ হতে তেল উপছে পড়ে হাজার হাজার সামদ্রিক মাছ মারা যায়।

পরিশেষে বলা যায়, পানি দূষণের জন্য বেশকিছু নিয়ামক দায়ী। এসব নিয়ামকগুলোর ব্যবহার না কমানো গেলে পরিবেমের মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাই পানি দূষণ রোধ করা অতি জরুরি।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post