কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী
➤ভূমিকাঃ- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক । মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি সাহিত্যিক জীবনে এক বিশাল সম্রাজ্য গড়েছিলেন।
কাজী নজরুল এর জম্মঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ২৪ মে ১৮৯৯ , চুরুলিয়া বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত ( বর্তমান- পশ্চিম বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত) জম্মগ্রহণ করেন।
পিতা-মাতাঃ পিতা- কাজী ফকির আহমদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
অন্যান্য নামঃ দুখু মিয়া
জীবনসঙ্গীঃ আশালতা সেনগুপ্ত (প্রমিলা) এবং নার্গিস আসার খানম (প্রথম স্ত্রী)
সন্তানঃ কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী (জোষ্ঠ পুত্র), কাজী অনুরুদ্ধ (কনিষ্ঠপুত্র)
জাতীয়তাঃ ব্রিটিশ ভারতীয় ১৮৯৯-১৯৪৭, ভারতীয় ১৯৪৭-১৯৭২, বাংলাদেশী ১৯৭২-১৯৭৬
পেশাঃ কবি, উপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, সম্পাদক।পিতা-মাতাঃ পিতা- কাজী ফকির আহমদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
অন্যান্য নামঃ দুখু মিয়া
জীবনসঙ্গীঃ আশালতা সেনগুপ্ত (প্রমিলা) এবং নার্গিস আসার খানম (প্রথম স্ত্রী)
সন্তানঃ কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী (জোষ্ঠ পুত্র), কাজী অনুরুদ্ধ (কনিষ্ঠপুত্র)
জাতীয়তাঃ ব্রিটিশ ভারতীয় ১৮৯৯-১৯৪৭, ভারতীয় ১৯৪৭-১৯৭২, বাংলাদেশী ১৯৭২-১৯৭৬
কর্মজীবনঃ ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবহিনী (১৯১৭-১৯২০) হাবিলদার পদে ৪৯তম বাঙালি রেজিমেন্ট ইউনিটে নিযুক্ত ছিলেনএবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ যোগ্য কর্মঃ চল্ চল্ চল্, বিদ্রোহী, নজরুলগীতি, অগ্নিবীণা, বাঁধন হারা, ধুমকেতু, বিষের বাঁশি, গজল।
আন্দেলনঃ বাংলার নবজাগরণ।
পুরষ্কারঃ জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পুরস্কার ১৯৪৫, একুশে পদক পুরষ্কার ১৯৭৬, স্বাধীনতা পুরষ্কার ১৯৭৭, পদ্মভূষণ।
মৃত্যুবরণঃ কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যু ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে (৭৭ বছর) ঢাকা, বাংলাদেশ।
সমাধিস্থানঃ কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি সমাধিসৌধ।
জম্ম ও প্রাথমিক জীবনঃ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। নজরুল ইসলাম পিতামহ কাজী আমিন উল্লাহর পুত্র কাজী ফকির আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের ৬ষ্ঠ সন্তান। কাজী নজরুলের পিতা ফকির আহমেদ ছিলেন মসজিদের ইমাম। কবি নজরুলের ডাক নাম ছিলো “দুখু মিয়া” । কাজী নজরুল গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন । মক্তবে কুরভবন, ইসলাম, ধর্ম, দর্শন ও ইসলামী ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। ১৯০৮ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর কাজী নজরুল এর বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। পিতার মৃত্যুর পর পারিবারিক অভাব অটনের কারনে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্থ হয় তাই ১০ বছর বয়সে তাকে জীবিকা অর্জনের কাজে নেমে যেতে হয়। এ সময়ে মক্তব থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মক্তবেই শিক্ষাকতা শুরু করেন সাথে হাজী পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মোয়াজ্জিনের (অযান দাতা) কাজ করেন। এই সব কাজের মাধ্যমে অল্প বয়সে তিনি ইসলামের মৌলিক আচার অনুষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পান যা পরবর্তীতে তার সাহিত্যকর্মে বিপুলভাবে প্রভাবিত করে। মক্তব, মসজিদ, মাজারের কাজে কাজী নজরুল বেশিদিন ছিলেন না কারণ বাল্য কাল থেকেই লোকশিল্পের প্রতি কাজী নজরুল আকৃষ্ট ছিলেন । তাই তিনি সে সময়ে লেটোদল (নাট্যদল) এর সাথে যোগদেন। কাজী নজরুলের চাচা বজলে করিম লেটো দলের উস্তাদ ছিলেন চাচার প্রভাবেই কাজী নজরুল লেটো দলে যোগ দিয়েছিলেন। এই দলের সঙ্গে কাজী নজরুল বিভিন্ন স্থানে যেতেন , তাদের সাথে থেকে অভিনয় শিখতেন, তাদের নাটকের জ্য গান ও কবিতা লিখতেন। নিজ কর্ম ও অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলা এবং সংস্কৃতি সাহিত্য অধ্যয়ন শুরু করেন কাজী নজরুল। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন করতে থাকেন। সেই অল্প বয়সেই তার নাট্য দলের জন্য বেশকিছু লোকসংগীত রচনা করেন। তারমধ্য উল্লেখ্য হলো চাষার সঙ, শকুনীবধ, রাজা যুথিষ্ঠির সঙ, দাতা কর্ণ, আকবর বাদশাহ, কবি কালিদাস,বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ ও মেঘনাবধ। একদিকে মসজিদ, মাজার ও মক্তব জীবন অপরদিকে লেটো দলের বিচিত্র অভিজ্ঞতা কাজী নজরুলকে সাহিত্যিক জীবনের অনেক উপাদান সরবরাহ করে। ১৯১০ সালে নজরুল লেটো দল ছেড়ে ছাত্র জীবনে ফিরে আসে। এই নতুন জীবনে তার প্রথম স্কুল ছিলো রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুল তারপর তিনি ভর্তি হন মাথরুন উচ্চ উংরেজি স্কুলে যা পরবর্তীতে নবীনচন্দ্র ইনিস্টিটিউট নামে পরিচিতি লাভ করে। মারথুন স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন কুমুদরঞ্জন মল্লিক যিনি সেসময়ে বিখ্যাত কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন । তার সান্নিধ্য নজরুলের অনুপ্রেণার উৎস। আর্থিক সমস্যার কারণে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ার পর আবার কাজী নজরুল কে কাজ এ ফিরে যেতে হয়। তারপর প্রথমে যোগদেন বাসুদেবের কবিদলে। এরপর একজন খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং সর্বশেষে চা রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নেন।
এই দোকানে কাজ করার সময় আসানসোলের দারোগা রফিজউল্লাহর সাথে পরিচিত হয় । দোকানে একা বসে কাজী নজরুল বেসব কবিতা ও ছড়া রচনা লিখতেন তা দেখে রফিজউল্লাহ তার প্রতিভার পরিচয় পান । তিনি তখন কাজী নজরুলকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে আবার রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ফিরে যান এবং সেখানে ৮ম শ্রেণীতে পড়ালেখা শুরু করেন। ১৯১৭ পযন্ত এখানেই পড়ালেখা করেন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকেমাধ্যমিকে প্রিটেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে সেনাবহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন।
সৈনিক জীবনঃ ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে কাজী নজরুল সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। প্রথমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত প্রদেশ নওশেয়ার যান। প্রশিক্ষণ শেষে করাচি সেনানিবাসে সৈনিক জীবন কাটাতে শুরু করেন । তিনি ১৯১৭- ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পযন্ত অথাৎ আড়াই বছর চাকরী করেন । এই সময়ের মধ্য তিনি ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিক কর্পোরাল থেকে কোয়াটার মাস্টার হাবিলদার পযন্ত হয়েছিলেন । উক্ত সময়ের মধ্য রেজিমেন্টের এক পাঞ্জাবী মৌলভীর কাছে ফার্সি ভাষা শিখেন। এছাড়া সৈনিকদের সাথে দেশী বিদেশী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র যোগে সঙ্গীতের চর্চা চালু রাখেন। করাচী সেনানিবাসে বসে যেসব রচনা সম্পন্ন করেন তার মধ্য উল্লেখযোগ্য বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথ গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা), গল্প- হেনা,ব্যাথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে ইত্যাদি। সৈনিক থাকাবস্থায় তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। এ সময়ে জরুলের বাহিনীর ইরাক যাবার কথা ছিলো তবে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার আর যাওয়া হয়নি। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে যুদ্ধ শেষ হলে ৪৯ বেঙ্গল রেজিমেন্টের ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর কাজী নজরুল সৈনিক জীবন ত্যাগ করেনও কলকাতায় ফিরে আসেন।
সাংবাদিক জীবনঃ যুদ্ধ শেষে কলকাতায় এসে নজরুল ৩২ নং কলেজ স্ট্রিটে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির অফিসে থাকতেন অন্যতম কর্মকর্তা মুজফফর আহমদ খান এর সাথে। এখান থেকেই তার সাহিত্য-সাংবাদিকতা জীবনের মূল কাজগুলো শুরু হয়। প্রথম দিকেই মেসলেম ভারত, বঙ্গীয় মুসলমান, সাহিত্য পত্রিকা, উপাসনা প্রভৃতি পত্রিকায় নজরুলের কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। একইসাথে মুজফ্ফর আহমদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিতা ও সঙ্গীতের চর্চাও চলতে থাকে।
পারিবারিক জীবনঃ ১৯২১ সালের এপ্রিল-জুন মাসের দিকে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমিতির গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের সাথে পরিচিত হন। আলী আকবরের সাথেই নজরুল প্রথম কুমিল্লার বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে আসেন। আর এখানেই পরিচিত হন প্রমীলা দেবীর সাথে যার সাথে তার প্রথমে প্রণয় ও পরে বিয়ে হয়েছিল। তবে এর আগে নজরুলের বিয়ে ঠিক হয় আলী আকবর খানের ভগ্নী নার্গিস আসার খানম এর সাথে । বিয়ে সম্পন্ন হবার পরে নজরুল ঘর জামাই থাকতে অস্বীকার করেন এবং বাসর সম্পন্ন না করে নার্গিসকে রেখে কুমিল্লা শহরে বিরজাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চলে যান। তখন নজরুল খুব অসুস্থ ছিলেন এবং প্রমিলা দেবী নজরুলের সেবা করেন। এক পর্যায়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিদ্রোহী নজরুলঃ দেশজুড়ে যখন অসহযোগ আন্দোলন বিপুল উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তখন কাজী নজরুল কিছুদিনের জন্য কুমিল্লা থেকে দৌলতপুরে আলী আকবর খানের বাড়ি ছেড়ে আবার কুমিল্লায় ফিরে যান ১৯শে জুনে।এখানে যতদিন ছিলেন ততদিনে তিনি পরিণত হন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীতে। তার মূল কাজ ছিল শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে গান গাওয়া। তখনকার সময়ে তার রচিত ও সুরারোপিত গানগুলির মধ্যে রয়েছে "এ কোন পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়, আজি রক্ত-নিশি ভোরে/ একি এ শুনি ওরে/ মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে" প্রভৃতি। এখানে ১৭ দিন থেকে তিনি স্থান পরিবর্তন করে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে আবার কুমিল্লায় ফিরে যান। ২১ নভেম্বর ছিল সমগ্র ভারতব্যাপী হরতাল এ উপলক্ষে নজরুল আবার পথে নেমে আসেন; অসহযোগ মিছিলের সাথে শহর প্রদক্ষিণ করেন আর গান করেন, "ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী"
অসুস্থতা ও চিকিৎসাঃ নবযুগে সাংবাদিকতার পাশাপাশি নজরুল বেতারে কাজ করছিলেন। এমন সময়ই অর্থাৎ ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তার অসুস্থতা সম্বন্ধে সুষ্পষ্টরূপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। এরপর তাকে মূলত হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এতে তার অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন।
বাংলাদেশে আগমন প্রয়াণ ও মৃত্যুঃ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।তারপর বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। অবশেষে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সম্মামনাঃ ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাংলা সাহিত্যের সর্বোচ্চ পুরস্কার জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান। ১৯৬০ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় কবি মর্যাদা দেওয়া হয় । বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নজরুলকে একুশে পদকে ভূষিত করেন।